সূচি
ফুটবলাররা ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই: ঠাঁসা সূচি প্রসঙ্গে রদ্রি
ফুটবলের ঠাঁসা সূচির কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে খেলোয়াড়দের। অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রভাব পড়ছে তাদের শরীরেও, একের পর এক চোটে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন খেলোয়াড় থেকে কোচ- সবাই। এবার এ প্রসঙ্গে কার্যত হুমকি দিলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড রদ্রি।
কাজের চাপ যে হারে বাড়ছে, তাতে ফুটবলারদের ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই বলে মনে করেন সিটি ও স্পেন জাতীয় দলের এই অধিনায়ক।
সব মিলিয়ে ৬৩টি ম্যাচ খেলে ১৪ জুলাই ইউরোর ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে গত মৌসুম শেষ করেছেন রদ্রি।
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটের কারণে ম্যাচ আরও বেড়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবর্তিত ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা নেশন্স লিগ ও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। সব মিলিয়ে গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে ফুটবলারদের ব্যস্ততা আরও বেশি।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
এর ফলে ফুটবলাররা কি তাহলে ধর্মঘটে নামতে পারে- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে রদ্রি বলেন, ‘আসলে আমরা এর থেকে (ধর্মঘট) বেশি দূরে নেই। এটা বুঝতে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়! আমার মনে হয়, যেকোনো ফুটবলারকে আপনি এই প্রশ্ন করলে একই উত্তর পাবেন।’
‘এটি রদ্রির মন্তব্য নয়, সব ফুটবলারদের সাধারণ মতামত এটি। আর যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের (ধর্মঘটে নামা ছাড়া) আর কোনো উপায় থাকবে না। আমার সত্যিই তাই মনে হয়।’
২৮ বছর বয়সী এই কন্ট্রোলিং মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি জানি না, (এ বিষয়ে ভবিষ্যতে) কী হতে চলেছে, তবে এর ভুক্তভোগী তো হচ্ছি আমরাই।’
২০১৯ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে ক্লাব ফুটবলের প্রায় সব প্রতিযোগিতায় খেলার কারণে রদ্রির গেম টাইম এমনিতেই বেড়ে গেছে। ক্লাব বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ঘরোয়া লিগ মিলিয়ে একেক মৌসুমে গড়ে অর্ধশতাধিক ম্যাচ খেলে থাকেন তিনি। চলতি মৌসুমে তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৮৫টি ম্যাচ খেলতে হতে পারে তার।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
অর্ধশতাধিক ম্যাচই একজন ফুটবলারের জন্য বেশি বলে মনে করেন রদ্রি, সেখানে ৮০টির বেশি ম্যাচ খেলা একেবারেই অমানবিক বলে মনে করেন তিনি।
‘দেখুন, ৪০-৫০টি ম্যাচে একজন খেলোয়াড় তার সেরাটা দিতে পারে। এরপর তার পারফরম্যান্স ধরে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেখানে আমাদের প্রতি মৌসুমে ৬০-৭০টি করে ম্যাচ খেলা লাগে। আর এ বছর তা ৭০-৮০ ম্যাচে গিয়ে দাঁড়াবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় (একটি ক্লাব) কতদূর যাবে, তার ওপর নির্ভর করছে ফুটবলারদের খেলার পরিমাণ। আমার কাছে এটি অত্যন্ত বেশি বলে মনে হয়।’
উল্লেখ্য, ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পর স্পেনের হয়ে ইউরো জিতে এবারের ব্যালন দ’র জয়ের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন রদ্রি।
৩ মাস আগে
মেট্রোরেলের সূচিতে পরিবর্তন, ৮ মিনিট অন্তর ছাড়ছে ট্রেন
যাত্রীদের চাহিদার বিবেচনায় মেট্রোরেলের সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী পিক আওয়ারে ৮ মিনিট পরপর ছাড়ছে ট্রেন। এর আগে ট্রেন ছাড়ার মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান ছিল ১০ মিনিট।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নতুন সময়সূচিতে চলাচল করছে মেট্রোরেল।
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন ছিদ্দিক জানান, মেট্রোরেলে ট্রিপ সংখ্যা ২৬টিতে উন্নীত হওয়ায় প্রতিদিন ১৫২টির পরিবর্তে এখন ১৭৮টি ট্রেন চলাচল করবে।
আরও পড়ুন: এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মেট্রোরেল চলাচল শুরু
নতুন সময়সূচি সম্পর্কে সিদ্দিক বলেন, এখন থেকে প্রতিদিন উত্তরা থেকে ৭টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিনটা ট্রেন চলবে। এটা স্পেশাল অফপিক। এরপর ৭টা ৩১ মিনিট থেকে ১১টা ৪৮ পর্যন্ত (পিক আওয়ারে) ৮ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। এরপর ১১টা ৪৯ মিনিট থেকে ৩টা ১১ মিনিট পর্যন্ত (অফপিক আওয়ারে) আগের মতই ১২ মিনিট সময় থাকবে। ৩টা ১২ মিনিট থেকে ৮টা ১১ মিনিট পর্যন্ত (পিক আওয়ারে) ৮ মিনিট পর পর ট্রেন চলবে।
মিরপুর-১১ রেলস্টেশনে মেট্রোরেলের নিয়মিত যাত্রী নজরুল ইসলাম বলেন, নতুন সময়সূচির কারণে যাত্রীদের চাপ তুলনামূলক কম এবং এটি মানুষের জন্য স্বস্তির।
একই স্টেশনের আরেক যাত্রী হোসেন বলেন, সময়টা আরও কমিয়ে সাড়ে তিন মিনিট হলে সবচেয়ে ভালো হয়।
বর্তমানে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত উত্তরা-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চলাচল করছে। সকাল ৭টা ১০ মিনিট এবং সকাল ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া দুইটি মেট্রোতে শুধু এমআরটি এবং র্যাপিড পাস ব্যবহারকারী যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন। রাত ৮টার পর মতিঝিল স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া মেট্রোরেলেও শুধু এমআরটি এবং র্যাপিড পাস ব্যবহারকারী যাত্রীরা ভ্রমণ করতে পারবেন।
বর্তমান মেট্রোরেল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী পরিবহন করে। আগে প্রতিদিন ট্রেনের সংখ্যা ছিল ১৫২টি, শনিবার থেকে ২৬টি বেড়ে হয়েছে হয়েছে ১৭৮টি।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল এলাকায় ঘুড়ি ওড়ানোর বিরুদ্ধে অভিযানে গ্রেপ্তার ২
শনিবার থেকে ব্যস্ত সময়ে ৮ মিনিট পর পর ছাড়বে মেট্রোরেল
১০ মাস আগে
নতুন অফিস সূচি ‘স্থায়ী নয়’: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
সরকারি-স্বায়ত্বশাষিত প্রতিষ্ঠানে নতুন অফিস সূচি ‘স্থায়ী নয়’ বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, `আমরা বলেছি আপাতত এটা করেছি পরবর্তী প্রজ্ঞাপন না দেয়া পর্যন্ত। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই সময়সূচি কার্যকর থাকবে। তবে এটি স্থায়ী কোন সময়সূচি না। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।‘
বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি এবং সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, এখন দিন অনেক বড়। আলোটা পাচ্ছি অনেক আগে সেক্ষেত্রে আমরা সেই আলো ব্যবহার করতে চাই। আপাতত আমাদের সেচ ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও এটি কাজে লাগবে। তবে এটা পরে আবার আমরা অ্যাডজাস্টমেন্ট করবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে চমৎকার সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রজ্ঞাপন দিয়ে অফিস সময় এগিয়ে নেয়া হয়েছে। আগে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস থাকলে এখন সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে এনেছি। এক ঘণ্টা আগে অফিস বন্ধ করতে পারলেও আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারব।
তিনি বলেন, আমাদের যে বিদ্যুতের উৎপাদন সেটাকে আমরা ম্যানেজ করে নিতে চাই। অফিসকে এগিয়ে নিতে আমাদের পক্ষে এটা সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সকল সরকারি কর্মচারীরা কিন্তু এক ঘণ্টা আগে সঠিক সময়ে অফিসে এসেছেন। আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা এ কাজটা করতে পারছি। আমরা আশা করি সুন্দরভাবে সরকারের নতুন অফিসের সময়সূচি মেনে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের যে বিষয়টি সেখানে সকলেই সহযোগিতা পাবো এবং আমরা সুন্দরভাবে এটা অ্যাডজাস্টমেন্ট করে নিতে পারব।
তিনি বলেন, সকালে স্কুল আছে, সেক্ষেত্রে অফিসের নতুন সূচি কনফ্লিক্ট করবে কি না? এক্ষেত্রে আমরা চিন্তা করেছিলাম, আগে আমরা দেখি, এটা কনফ্লিক্ট করে কি না। কারণ আমাদের বেসরকারি অফিস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু ৯টা থেকে আগের সময়েই আছে। তবে আজকে আমরা যে পরিস্থিতি লক্ষ্য করেছি এটি সহনীয় ও সরকারি সিদ্ধান্তটি সঠিক আছে। এখানে কোনো সমস্যা নেই।
এখন আমাদের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বা এপিএ রয়েছে। সারা বছর আমরা কী কাজ করবো তা নির্ধারিত থাকে। আমরা সরকারি সেবাটা মানুষের কাছে পৌঁছে দেব, সেজন্য দরকার আন্তরিকতা। আমরা সব অফিস প্রধানকে নির্দেশনা দিচ্ছি, এ অল্প সময়ের মধ্যে তড়িৎ গতিতে স্মার্টলি আমাদের কাজগুলো করতে হবে।’
নতুন অফিস সূচিতে কাজের গতি বাড়বে বলেও আশা করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণত নামাজ ও খাবারের জন্য আমরা আধঘণ্টা সময় দিয়ে থাকি। যেহেতু আমরা এক ঘণ্টা সময় এগিয়ে নিয়েছি তারা যদি ১টায় খেতে যায় দেড়টার মধ্যে নামাজটা শেষ করে নেয়। তাহলে তিনি ৮টা থেকে ১টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে পাঁচ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। আধঘণ্টা বিরতি নেয় বাকি কাজগুলো করবে। আমরা দুই ঘণ্টা আগে বাসায় ফিরতে পারছি। এটা আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। আমরা মনে হয় না কোন কাজ পেন্ডিং থাকবে এবং সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না।
সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
আরও পড়ুন:সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে