বাড়ানো
শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে বেবিচক: বেবিচক চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া বলেছেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মান বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে বেবিচক।
তিনি বলেন, এতে করে আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বেবিচক সদর দপ্তরে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সাংবাদিক সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সঙ্গে সাক্ষাতে বেবিচক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ধারণক্ষমতার থেকেও অনেক বেশি যাত্রীর চাপ সামাল দিতে হচ্ছে। সেবা বৃদ্ধিতে বেবিচক সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। নতুন আরও বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যেগুলোর কার্যক্রম চলমান।
তিনি বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে প্রবাসীদের জন্য শাহজালালের বহুতল কার পার্কিংয়ের দ্বিতীয় তলায় বিশেষ লাউঞ্জের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ লাউঞ্জে প্রবাসীদের বিশ্রাম নেওয়া এবং স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম, এটিজেএফবি সভাপতি তানজিম আনোয়ার।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
ভর্তুকি ও মূল্য বাড়ানো সত্ত্বেও ২০২৫ সালে বাড়বে পিডিবির লোকসান: সিপিডি
সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে ২০২৫ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চলমান লোকসান ১৯৬ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
এছাড়াও বিদ্যুতের দাম ও সরকারি ভর্তুকি বাড়ানোর পরও পিডিবি বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছে সিপিডি।
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাকে 'জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তাবিত করণীয়' শীর্ষক উপস্থাপনায় এসব কথা তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আরও পড়ুন: ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২৭৭৬ টাকা করার সুপারিশ সিপিডির
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরকারের পরিকল্পনা অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা। সেসময় ২৫ শতাংশ বাড়তি মজুদ থাকলেও সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎই যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত সক্ষমতার কারণে জ্বালানি সংকট এবং বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও লোডশেডিং হচ্ছে।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, আবার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। ফলে পিডিবির লোকসান বাড়ছেই। এর প্রভাবে গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দামও বাড়ছে।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও সরকার ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের অতিরিক্ত খরচ (ক্যাপাসিটি চার্জ) বহন করছে। এই সক্ষমতা দেশের অর্থনীতির জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক মোয়াজ্জেম বলেন, দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন না করলেও তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। এই চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা এখন সরকারি তহবিল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ব্যবহার না করা হলেও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে কেন?
সিপিডির গবেষণা পরিচালক আরও বলেন, সরকার এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি করেছে তা ২০৩০ সালেও প্রয়োজন হবে না। আজ থেকে ৬ বছরের মধ্যে চাহিদা ১৯৪০০ মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে। ২৫ শতাংশ মজুদ বিবেচনায় নিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রয়োজন ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াট।
তিনি আরও বলেন, সক্ষমতা বাড়লেও দেশে লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রীষ্মে গড় লোডশেডিং হয় ১১০০ মেগাওয়াট। বাজেটে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। এ খাত নিয়ে সরকার কী করবে সে বিষয়ে সবাই অন্ধকারে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ কে আজাদ।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ দাবি করে দাম বাড়ানো হলেও লোডশেডিং কমেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস এনে ডিজেল দিয়ে কারখানা চালাতে হয়। এতে খরচ বেড়েছে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
সভায় আরও ছিলেন- বুয়েটের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম তামিম, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ভোক্তা অধিকার সংস্থা ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
আরও পড়ুন: বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিফলন নেই: সিপিডি
আর্থিক অভিজাতদের সহায়তা করতে সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা: সিপিডি
৫ মাস আগে
শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের জরিমানার অংক বাড়ানো হয়েছে: আইনমন্ত্রী
মালিকপক্ষ শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই সাজা হিসেবে জরিমানা ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইএলও’র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মালিকদের জরিমানা বাড়াতে আইএলওর পরামর্শ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে, এখানে মালিকদের সাজা বাড়ানোর কথা ঠিক না।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব সংকটে থাকলে আবোল-তাবোল বলে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিষয়টা হচ্ছে, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে সেখানে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ছিলো। সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে, তবে সেটা সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করে, মালিক, শ্রমিক এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করেই করা হবে।
শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে দর কষাকষির প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনো দর কষাকষির মধ্যে নেই। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) হচ্ছে সারা বিশ্বের একটি সংগঠন। এখানে সব সময় শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সে বিষয়ে সব সময় তাদের বক্তব্য থাকে। তাদের সঙ্গে আমরা আজকে বসেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমরা এখন শ্রম আইন সংশোধন করছি। এটা সংশোধিত হয়েছিল গত সংসদে। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে যায়, সেখানে পৌঁছানোর পরে দেখা যায় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল, যে জন্য এটা আবার ফেরত আনা হয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, শ্রম আইন যখন প্রণয়ন করা হয়, তখন বিশ্বের প্রাকটিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। সেখানে আইএলওর একটি অংশগ্রহণ থাকে। আপনারা এও জানেন যে, আইএলওয়ের যে গর্ভনিং বডিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কিছু দেশ নালিশ করেছিল ২০১৯ সালে।
তারপর আমরা বহুবার আইএলওয়ের গর্ভনিং বডির মিটিংয়ে বলেছি, আমাদের শ্রমিকদের শুধু অধিকার রক্ষাই হয়নি, শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রম আইনটাকে সঠিকভাবে সম্পূর্ণভাবে সংশোধন না করছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্টেকহোল্ডার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাকে শোনাব।
তিনি বলেন, আজকের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ৭ মে আইএলওর পরামর্শ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটিতে উপস্থাপন করবে। ১২ মের সভায় শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলওয়ের বক্তব্য বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য রাখব।
আইএলওয়ের পরামর্শ সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে ৩০ হাজারের অধিক শ্রম আছে যেসব কারখানায় সেখানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন বা সংগঠন করতে হলে ২০ শতাংশ সমর্থনের প্রয়োজন হতো। এখন সেটা কমিয়ে সব কারখানার জন্য ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা তাদের মেনে নিয়েছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানে সংঘ কিছু সার্বিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে সেটা করা হবে।
আইএলও তো ১০ শতাংশ থ্রেসোলের কথা বলেছিল সেটার কী হলো এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা নিয়ে আজকে কোনো কথা হয়নি। তারা ১৫ শতাংশেই রাজি হয়েছেন। কারণ আমি অত্যন্ত পরিষ্কার ভাবে বলেছি এখন ১৫ শতাংশ হবে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ১০ শতাংশে যাওয়া।
আরও পড়ুন: আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় অধিকার: আইনমন্ত্রী
যে কোনো কারখানায়ই শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা যাবে: আইনমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ
ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করার জন্য ভূমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভূমি সংস্কার বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: সরকারি-খাস জমি রক্ষায় সর্বদা সতর্ক থাকার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
ভূমিমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ কিংবা মফস্বলের পতিত কিংবা অনাবাদি জমি, উর্বর কৃষি জমি, আবাসিক, বিলাসবহুল, শিল্প, শহরের বাণিজ্যিক এলাকার জমির ই-নামজারি ফি একই হওয়া উচিত নয়। জমির ব্যবহার ও মূল্যভিত্তিক ই-নামজারি নির্ধারণের আইনি দিক পরীক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর ও নামজারি ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
নারায়ন চন্দ্র কর্মকর্তাদের বলেন, সারা দেশে খাস জমি, খাল-বিল ও জলমহল চিহ্নিত করতে হবে এবং ভূমি ডেটা ব্যাংকে এসবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য আপলোড করতে হবে।
তিনি বলেন, অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি উদ্ধার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ভরাট হয়ে যাওয়া খাল-বিল পুনঃখননের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভূমিমন্ত্রী নাগরিকদের ভূমি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন যোগাযোগ ও প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনের কথা কেবল মুখে বললে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিলে হবে না, জাতির পিতার দর্শন হৃদয়ে ধারণ করে কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
ভূমি সংস্কার বোর্ডের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ চলছে: ভূমিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
নানা অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে: জিএম কাদের
নানা অজুহাত দিয়ে দ্রব্যমূল্য একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার সম্পূর্ণভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। নানান অজুহাত দিয়ে দাম একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: রওশন এরশাদের অসুস্থতার সুযোগে কিছু লোক তার সইয়ে কাগজ তৈরি করছে: জিএম কাদের
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, দাম যেটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে আমি মনে করি এটা কখনই সফল হওয়া সম্ভব নয়। দাম বেঁধে দেওয়ার একটা নিয়ম ছিল। কতটুকু দাম যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। হিসাব নিকাশ করে সেটা জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, যৌক্তিকতার বাইরে কেউ নিলে একটা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হয়। সহনীয় যেটাকে বলা হবে তা যুক্তিসঙ্গত দাম। সেটার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যথেষ্ট ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়, ডাটা নিতে হয়, ইভেন চাহিদা ও যোগানের ওপর তা নির্ধারণ হয়। যদি সেটা ঠিক না থাকে, তাহলে আমি যতই চাপাচাপি করি এটা স্বাভাবিকভাবে ঠিক হবে না।
জিএম কাদের বলেন, সিন্ডিকেট সরকারকে কোনো পাত্তা দিচ্ছে না বলে আমি মনে করি। যেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ করার কথা, সরকারের কিছু দায়িত্ব থাকে। সেসব জায়গায় তারা সঠিকভাবে কিছু করছে এ ধরনের কোনো প্রমাণ আমরা পাই না। সে কারণে দ্রব্যমূল্য সরকার যাই বেঁধে দিয়ে থাকুক, বাজারে এর চেয়ে মূল্য বেশি।
তিনি বলেন, কৃষকরা অনেক সময় কম দামে দিচ্ছে শহরে তা অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, যেটা করা হচ্ছে অযৌক্তিকভাবে। তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনোরকম কোনো বন্দোবস্ত বা পদক্ষেপ জনগণের চোখে পড়ছে না। দ্রব্যমূল্যের চাপে মানুষ অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় আছে। এটা একটা দুর্বিসহ অবস্থা।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত চিন্তা করছি ৩০০ আসনে করব। ভবিষ্যতে কী করব, ভবিষ্যতের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা হবে। যেহেতু এখনও রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেক অস্থিতিশীল, অনিশ্চিত, অস্বচ্ছ। সবকিছু জেনে বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সবাই আমার মনে হয় এই অনিশ্চয়তার দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার এক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে, সরকারের বিপক্ষ আরেক ধরনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে। কোনো পদ্ধতিতে আসলে নির্বাচন হবে সেটাই আমরা জানি না। নির্বাচন সঠিক পথে সঠিক সময়ে হবে কিনা, এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে অনেক কানাঘুষা আছে সন্দেহ আছে, আশংকা আছে।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমরা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না সঠিকভাবে। শেষ পর্যন্ত কে লড়বেন আর কে থাকবেন সেটাও অনিশ্চিত। রংপুর-৩ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: টাকা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
১ বছর আগে
সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষক ও আসনসংখ্যা বাড়ানো হবে
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষক এবং আসনসংখ্যা আরও বৃদ্ধি করবো, যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিনা পয়সায় ডাক্তারি শিক্ষা লাভ করতে পারে৷
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দেশের হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আসন বাড়াচ্ছি। বেসরকারিতে সিট সাড়ে ছয় হাজারের মতো আছে। আর সরকারি মেডিকেল কলেজে সিট আছে সাড়ে চার হাজারের মতো। আমরা সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে গত তিন বছরে প্রায় ১২'শ সিট বাড়িয়েছি। এছাড়া আমরা আমাদের মেডিকেল কলেজের শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, নার্সিংয়ের শিক্ষা, ম্যাটস আইএইচটি-এ সবগুলোর বিষয়ে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি যে আমাদের শিক্ষকের হার খুব কম। প্রফেসর যা প্রয়োজন তার তুলনায় বাংলাদেশে বর্তমানে অর্ধেক আছে। আমরা এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। নতুন নিয়োগের মাধ্যমে, পদোন্নতি দিয়ে এবং ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আমরা এটি পূরণ করার চেষ্টা করবো। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটা নির্দেশনা আছে, গবেষণায় গুরুত্ব দেয়া৷ গবেষণা আমাদের দেশে খুব কম হয়। তাই আমরা এখন গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি৷
আরও পড়ুন:ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই টিকা পাবে শিশুরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে