৭ জন
দেশে আরও ৭ জনের করোনা শনাক্ত
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। এসময় নতুন করে ৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৩৫৩ জনে। এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত
সোমবার (৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা কেউ সুস্থ হয়নি। এ নিয়ে মোট করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৯৮৬ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৭ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ৫ জনের করোনা শনাক্ত
৪ মাস আগে
দেশে আরও ৭ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে নতুন করে ৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৩১৫ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৯ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার ৫ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৬ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত
৪ মাস আগে
অর্থ আত্মসাৎ মামলা: মেজর মান্নানসহ ৭ জনের জামিন বাতিল বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানসহ ৭ জনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
তাদের জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের পর বুয়েটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের প্রতিক্রিয়া
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পাওয়া অন্যরা হলেন– বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) সাবেক পরিচালক আ ন ম জাহাঙ্গীর, রইস উদ্দিন, রোকেয়া ফেরদৌস, ডিএমডি ইনামুর রহমান, পরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ফখরে ফয়সল।
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের রাজিয়া সুলতানার নামে বিআইএফসি হতে মোট ৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯২ টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তর ঘটিয়ে আত্মসাৎ করেন।
এ মামলায় গত ৭ মার্চ মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ তাদের জামিন দেন। পরে জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
আরও পড়ুন: বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
সাজেকের পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
৮ মাস আগে
জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, আ. গফুর, সোহাগ, তৌফিকুল ইসলাম, জুয়েল ওরফে বখতিয়ার ও হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল। এদিকে সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আব্দুর রহিম ২০০০ সালের ৭ জানুয়ারি নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে যায়।
১১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে দিবাগত রাত পর্যন্ত আর বাড়ি ফিরে আসেন না তিনি। পরদিন সকালে ওই গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত রবিবার এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ফেনসিডিল বহনের দায়ে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটে যুবক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
৮ মাস আগে
মন্ত্রিসভায় নতুন ৭ জনকে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি
মন্ত্রিসভার জন্য আরও সাত প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় শপথ নেবেন তারা।
শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
এতে বলা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেবেন।
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
৯ মাস আগে
ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৪৯
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৭৪ জনে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৫৯
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক হাজার ৮৯১ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৫৪০ জন এবং ১ হাজার ৩৫১ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৩০৫ জন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩১১
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪১৩
১ বছর আগে
ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫১
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫০ জনে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৫১ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৬৯
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৪ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ৩৮৪ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৬১৫ জন এবং এক হাজার ৭৬৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ১৬ হাজার ৪১১ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৩৭৭ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৩৭
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৬৬
১ বছর আগে
কিশোরগঞ্জে কৃষক হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কৃষক মানিক মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে রায় ঘোষণার সময় ছয়জন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
নিহত মানিক মিয়া চরআলগী গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল মিয়া, লিঙ্কন, এমদাদুল হক, মাজেদুল হক ও রইসউদ্দিন।
তাদের মধ্যে শফিকুল পলাতক রয়েছেন। তারা সবাই হোসেনপুরের সীমান্তবর্তী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআলগী গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিদের সঙ্গে একই গ্রামের মানিক মিয়াদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসব নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়াবিবাদ ও দরবার সালিস হলেও বিরোধ কমছিল না। এর জের ধরে ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে কৃষক মানিক কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের হাজিপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। আসামিরা তাকে কুপিয়ে মরাত্মকভাবে জখম করে। পরে মুর্মূষু অবস্থায় তাকে গফরগাঁও উপজেলা হাসপতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার দুদিন পর ৪ নভেম্বর নিহতের বড়ভাই আনিছুর রহমান সাতজনের নাম উল্লেখ করে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। হত্যার ১৮ বছর পর মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
আরও পড়ুন: নাটোরে হত্যা ও ধর্ষণের পৃথক মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে
ল্যাবএইডের ৬ চিকিৎসকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
ভুল চিকিৎসায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাহসিন হোসাইনের মৃত্যুর অভিযোগে ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ্ দিবা ছন্দার আদালতে তাহসিনের বাবা মনির হোসেন মামলাটি করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমন্ডি থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতাল এবং সার্জ ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল্লাহ, সহকারী সার্জন ডা. মাকসুদ, ডা. সাব্বির আহমেদ, ডা. মোশারফ, ডা. কনক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ. এম. শামীম ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (ধানমন্ডি) মো. শাহজাহান।
আরও পড়ুন: বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারি
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফয়সাল বিন আসাদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তার ছেলে তাহসিন কিছুদিন থেকে অসুস্থবোধ করায় গত ২৭ মার্চ ল্যাবএইডের ডা. সাইফুল্লাহকে দেখান। তিনি তাৎক্ষণিক তার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, তার অবস্ট্রাক্টিভ স্মল গাঁট বা নাড়ির প্যাঁচ রয়েছে। যার কারণে তার পেটে ব্যথা এবং সে মলত্যাগ করতে পারছে না। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরে গত ২৮ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাহসিনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাকসুদ বাদীকে জানান, অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। রোগীকে সুস্থ করতে হলে আবার অপারেশন করতে হবে। এরপর ৬ এপ্রিল দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করেন ডা. সাইফুল্লাহ।
দ্বিতীয়বার অপারেশনের পরেও রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসা চলার পর গত ২৩ জুন ভিকটিমের মৃত্যু হয়। তিন মাসে তাকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়।
চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় ২৭ লাখ টাকা বিল করে। এর মধ্যে দশ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে হাসপাতাল থেকে তার সন্তানের লাশ গ্রহণ করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিন তাহসিনের বাবা মনির হোসেন বলেন, আমি ডা. সাইফুল্লাহকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছি আমার ছেলের সমস্যা কী? কিন্তু উনি কোনোবারই সঠিক করে কিছুই বলতে পারেননি। অথচ তার দুইবার অপারেশন করা হয়েছে। তিনি যে আমার ছেলের ভুল চিকিৎসা করেছেন, তা একশ ভাগ নিশ্চিত।
এ সময়ে আমার ছেলেকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। আমি প্রথম অপারেশনের পর এখান থেকে রিলিজ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্রও দেননি।
আরও পড়ুন: সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: আইজিপি
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
১ বছর আগে
মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তিনিসহ সাতজনকে আসামি করে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আগামী সপ্তাহে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।
বাবুল আক্তার ছাড়া অন্যরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ ভোলো, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া।
অন্যদিকে, মিতু খুনের মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দিয়েছে পিবিআই।
তারা হলেন- মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু, নুরুন্নবী, রাশেদ ও গুইন্যা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাবুল আক্তার বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত ছিলেন। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশে খুন হন স্ত্রী মিতু। মূল অভিযোগপত্র ৯ পৃষ্ঠার। তবে এর সঙ্গে ১০ খণ্ডের নথি সংযুক্ত করা হয়েছে। মামলার সাক্ষ্যস্মারকে (এমওই) আমি এরইমধ্যে স্বাক্ষর করে দিয়েছি।
চার্জশিটের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিতু হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা বাবুল আক্তার- এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বাবুল আক্তার কক্সবাজারে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিদেশি এনজিও সংস্থার কর্মী গায়ত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এ কারণে বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে স্ত্রীকে খুন করান। নিজেকে আড়ালে রাখতে প্রচার করেন- জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে। মিতুকে খুনের মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের ‘সোর্স’ মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা। সঙ্গে ছিল আরও ছয়জন। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার মুসাকে ফোনে গা ঢাকা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
একটি বইয়ের লেখার সূত্র ধরে মামলার জট খোলে বলে তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। মামলার আলামত হিসেবে উপহার পাওয়া বাবুল আক্তারের একটি বই জব্দের পর হত্যাকাণ্ডের জট খোলে। গায়ত্রী বাবুলকে আহমেদ রশিদ রচিত ইংরেজি ভাষার ‘তালিবান’ নামে একটি বই উপহার দেন। ওই বইয়ের তৃতীয় পাতায় গায়ত্রী অমর সিংয়ের নিজের হাতে লেখা এবং শেষ পাতা ২৭৬-এর পরের খালি পাতাটিতে বাবুল আক্তারের হাতে লেখা ইংরেজিতে তাদের ‘প্রথম সাক্ষাত’র বিষয়সহ রোমান্সকর মুহূর্তের কিছু বিবরণ লেখা ছিল।
গ্রেপ্তার ভোলা, ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে মিতু হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এর মধ্যে ভোলা তার জবানবন্দিতে অপর আসামি মুসার সঙ্গে কথোপকথনের বিষয় উল্লেখ করে। সেখানে বাবুল আক্তার যে মুসাকে তার (বাবুল আক্তারের) স্ত্রীকে হত্যার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন সেটি উল্লেখ আছে। তাছাড়া সাইফুল ইসলাম নামে নিজের এক ব্যবসায়ীক অংশীদারের মাধ্যমে বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মিতুকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন সেটিও জবানবন্দিতে এসেছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে মুসা ও কালু পলাতক বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। কারাগারে আছেন- বাবুল আক্তার, ওয়াসিম, শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে হদিস মিলছে না কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসার। তার স্ত্রী পান্না আক্তার দাবি করেন, মুছাকে হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৬ সালের ২২ জুন প্রশাসনের কিছু লোক ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছে না। মিতু হত্যা মামলায় মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে ৯৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার এবং বাবুলের বন্ধু সাইফুলও রয়েছেন।
২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। পরদিন বাবুল আক্তার মামলায় আদালতে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই বছরের ১২ মে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন:বার্মিজ সেনাদের নৃশংসতা মানবতার বিরোধী এবং গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম।
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের পর্যবেক্ষণ মেনে মোশাররফের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একইসঙ্গে ওই মামলার ডকেট প্রথম মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্তের জন্য আবেদন করেন। আদালত অনুমতি দিলে শুধু বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটির তদন্তই চলমান থাকে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: সাতক্ষীরায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
২ বছর আগে