নেচার
নেচারের শীর্ষ ১০ ব্যক্তির তালিকায় ড. ইউনূস
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ২০২৪ সালে শীর্ষ ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক প্রকাশনা নেচার।
প্রকাশনাটি সমাজে তার প্রভাবশালী অবদানের জন্য তাকে 'জাতি নির্মাতা' হিসাবে বর্ণনা করেছে।
নেচার শীর্ষ দশের তালিকায় গত এক বছরে বিজ্ঞানের মূল বিকাশ এবং যারা এই অগ্রগতির নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের তুলে ধরেছে।
নেচারের ওয়েবসাইট অনুসারে, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতাগুলো গুরুত্ব দিতে এবং বিশ্বকে গঠনে অবদান রাখা ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য নেচারের সম্পাদকরা তালিকাটি তৈরি করে থাকেন।
আরও পড়ুন: সংস্কার ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে চলতি মাসেই ঘোষণার ইঙ্গিত ড. ইউনূসের
এ বছরের অর্জনগুলো আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা থেকে শুরু করে একটি জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়া পর্যন্ত অসাধারণ অবদান রেখেছে।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া ড. ইউনূস তার প্রথম জীবনে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে উল্লেখযোগ্য ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছেন।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর চট্টগ্রাম পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৬০-এর দশকে ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেন। ওই সময় তিনি পরিবেশগত অর্থনীতির অগ্রদূত নিকোলাস জর্জেস্কু-রোগেনের পরামর্শদাতা ছিলেন। এই ক্ষেত্রটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এবং প্রাকৃতিক বিশ্বের মধ্যে সম্পর্ক বোঝার চেষ্টা করে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ নামের একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ড. ইউনূস সদ্য স্বাধীন জাতি গঠনে অবদান রাখতে দেশে ফিরে আসেন।
ড. ইউনূস ক্ষুদ্রঋণে তার অগ্রণী কাজের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। সুবিধাবঞ্চিতদের ক্ষমতায়নের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ হিসেবে প্রায়শই ১০০ ডলারেরও কম দিয়ে থাকেন। ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী কিছু কোম্পানি যখন উচ্চ সুদে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শোষণ করে সমালোচনার মুখে পড়েছে, তখন ড. ইউনূস দেখিয়েছেন যৌক্তিক ঋণ প্রদান কীভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবন বদলে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা শ্রম আইনের ৫ মামলা বাতিলের রায় বহাল
১ সপ্তাহ আগে
‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করে কৃত্রিম ইঁদুর ভ্রূণ তৈরি
শুক্রাণু ও ডিম্বানু ছাড়াই ‘স্টেম সেল’ থেকে ইঁদুরের কৃত্রিম (সিন্থেটিক) ভ্রূণ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবারে নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপতত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যার গবেষক হচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ম্যাগডালেনা জের্নিকা-গোয়েটজ ও তার সহকর্মীরা।
স্টেম সেল হচ্ছে প্রাণীদেহের আদি কোষ। যা ব্যবহার করে নতুন কোষ তৈরি করা যায়।
পরীক্ষাগারে তৈরি করা এই ভ্রূণ নিষিক্তকরণের সাড়ে আটদিন পর্যন্ত একটি প্রাকৃতিক ইঁদুর ভ্রুণের মতো কাঠামো বহন করে যা অনেকটা স্পন্দিত হৃদয়ের মতো।
বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক বিকাশ পর্ব ও বিস্তার সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা এই কৃত্রিম ভ্রুণ ব্যবহার করবেন বলে আশা করছেন। এতে জীবিত প্রাণী হত্যার প্রয়োজন পরবে না। তাছাড়া এটি ভবিষ্যতে গবেষণার জন্য কৃত্রিম মানব ভ্রুণ তৈরির ভিত্তি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
স্পেনের ন্যাশনাল বায়োটেকনোলজি সেন্টারের একজন গবেষক অধ্যাপক লুইস মন্টোলিউ বলেন,‘নিঃসন্দেহে আমরা একটি নতুন প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মুখোমুখি হচ্ছি,যদিও এখন তা অপ্রতুল। তবে রয়েছে অবারিত সম্ভাবনা।’
গবেষণাপত্রটিতে কৃত্রিক ইঁদুর ভ্রুণ সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য দেয়া আছে।
ইসরায়েলের উইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের জ্যাকব হানা ও তার সহকর্মীদের অনুরূপ একটি গবেষণাপত্র সেল জার্নালে মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত হয়। নেচারে প্রকাশিত গবেষণা পত্রের একজন সহলেখক হচ্ছেন হানা।
আরও পড়ুন: মা আক্রান্ত হলেও গর্ভের সন্তানের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কম: গবেষণা
২ বছর আগে