গৃহযুদ্ধ
সুদানফেরতদের পুনর্বাসনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সুদানে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার সুদান থেকে ৭ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিরাপদে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছে।
সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ রবিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রত্যাবর্তনকারী বাংলাদেশি কর্মীদের আর্থ-সামাজিক পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনার জন্য এক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে জেদ্দা হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫১ প্রবাসী বাংলাদেশি
সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
ক) যেসকল কর্মী দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আগ্রহী তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে তিন লাখ টাকা, সহ-জামানতে পাঁচ লাখ টাকা এবং জামানতসহ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ ঋণ দেওয়া হবে।
খ) সুদানফেরত যেসব কর্মী পুনরায় বিদেশ যেতে চান, প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসাপেক্ষে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের পছন্দের দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে।
বিশেষ করে সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বোয়েসেল জর্ডান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অন্য যেসব দেশে কর্মী পাঠায়, সেখানে অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদের নেওয়া হবে।
গ) আগ্রহী কর্মীদের বিনামূল্যে দক্ষতা উন্নয়ন/উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ/কাউন্সেলিং সেবা দেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহীত উদ্যোগসমূহ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য সুদানফেরত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি ডাটাবেস তৈরি করা হবে।
এ বিষয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড/সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের (ডিএমও) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ প্রত্যাগত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
এ ব্যাপারে সুদানফেরত সকলকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বিস্তারিত তথ্যের জন্য প্রত্যাগত কর্মীদের সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে (ডিএমও) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ডিএমও-এর ঠিকানা www.bmet.gov.bd-তে পাওয়া যাবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম এনডিসি, বোয়েসেল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঞা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ৫৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে
সুদান থেকে দেশে ফিরলেন আরও ২৬২ বাংলাদেশি
১ বছর আগে
লিবিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৩০, গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা
লিবিয়ায় সশস্ত্র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৩০ জন নিহত হওয়ার একদিন পর সরকার সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনী রবিবার রাজধানী ত্রিপোলির রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শনিবারের প্রথম দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ত্রিপোলি-ভিত্তিক সরকার সমর্থক মিলিশিয়াদের সঙ্গে জোটবদ্ধ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, গত এক মাস মোটামুটি স্থিতিশীল থাকার পর এ সংঘর্ষ লিবিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের দিকে ফিরে যেতে পারে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত অভিযানে দীর্ঘকালীন স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ও নিহত করার পর থেকে লিবিয়ায় রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থতা এবং প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দ্বেইবাহের পদত্যাগে অস্বীকৃতির কারণে বর্তমান অচলাবস্থা বেড়েছে।
শনিবারের সংঘর্ষে ভারী কামান ব্যবহার করা হয়েছে। সংঘর্ষে শত শত লোক আটকা পড়েছে এবং হাসপাতাল, সরকারি ও আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংঘর্ষের এলাকায় পোড়া যানবাহন ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত ও ১৫৯ জন আহত হয়েছে।
পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
লিবিয়ায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিশেল সার্ভেদেই বলেছেন, নিহতদের মধ্যে একজন ১৭ বছর বয়সী কিশোর এবং পাঁচ বছর বয়সী আরও চারজন আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে মুস্তফা বারাকা নামে একজন রয়েছেন। তিনি একজন কৌতুক অভিনেতা যিনি মিলিশিয়া এবং দুর্নীতিকে উপহাস করার জন্য তার সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ-স্ট্রিমিং করার সময় তাকে গুলি করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তাকে টার্গেট করা হয়েছিল কি না তা স্পষ্ট নয়।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস কয়েক ডজন বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছে। তারা তাদের বাড়ি, সরকারি ভবন ও হাসপাতালে আটকে পড়া নারী ও শিশুসহ মানুষের ভয়ঙ্কর দৃশ্য বর্ণনা করেছেন।
একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে অনেক পরিবারের সাথে আটকে পড়া একজন নারী বলেন, ‘আমরা আমাদের চোখের সামনে আমাদের বাচ্চাদের চোখে মৃত্যু দেখছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সেই নিরপরাধ শিশুদের রক্ষা করা, যেমনটি তারা গাদ্দাফির সময় করেছিল।’
পড়ুন: পারমাণবিক চুক্তি সম্মেলনে চূড়ান্ত নথিতে রাশিয়ার বাধা
২ বছর আগে