সৎ মা
বরিশালে সৎ মায়ের ছোড়া গরম পানিতে কিশোরের মৃত্যু!
বরিশালের হিজলা উপজেলায় সৎমায়ের ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পাঁচ দিন পর সোমবার (২৩ জানুয়ারি) তার মৃত্যু হয়।
নিহত ছাইদুল ইসলাম (১৪) উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাউশিয়া গ্রামের নুরু মীরার ছেলে। সে মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী ছিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে নারিকেল গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
ছাইদুলের ভাই ছিদ্দিক বলেন, ছাইদুল প্রতিবন্ধী। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সৎ মা ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নাঘর থেকে গরম পানি ছুঁড়ে মারেন। এতে তার শরীর ঝলসে যায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর্যন্ত সৎমা তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেননি। পাঁচ দিন পর আমি নদী থেকে মাছ ধরে বাড়িতে এসে ছোট ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে উপজেলা স্বাস্থ্যে কমপ্লেক্সে নিই। পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশি ইউনুস সরদার বলেন, জন্ম থেকেই সাইদুল শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকে বিছানায় শুয়ে থাকতো। এক বছর আগে তার মা মারা গেছে। ছয় মাস আগে তার বাবা আবারও বিয়ে করেছে। তার বাবা ও ভাই মাছ শিকারে নদীতে থাকে।
ইউনুস সরদার আরও বলেন, সোমবার বিকালে সাইদুল বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যান্য প্রতিবেশিরা দেখতে যায়। সেখানে গিয়ে তারা শুনেছে, সাইদুল খেতে চেয়েছিলো। তখন সৎ মা ফাহিমা গরম পানি ছুঁড়ে মেরেছে। এতে শরীর ঝলসে গিয়েছে। কয়েকশ’ মানুষ বাড়িতে উপস্থিত হলে সৎ মা পালিয়ে গেছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জন্ম থেকে বিছানায় পড়ে ছিলো ছেলেটি। চামড়া উঠে গেছে। আপাতত অপমৃত্যুর মামলা করে ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙায় মোটরসাইলেক দুর্ঘটনায় কিশোরের মৃত্যু
১ বছর আগে
বান্দরবানে সৎ মাকে হত্যার দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বান্দরবানের লামা উপজেলার মেরাখোলা এলাকায় সৎ মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ মো. ফজলে এলাহী ভূইঁয়া এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে আসামিকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তের নাম আলী আহাম্মদ(৫৪)।
জেলা আইন কর্মকর্তা পিপি মো. ইকবাল করিম জানান, সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ১৯৯৮ সালের ৩০ জুন লামা উপজেলার মেরাখোলার বেগুনঝিরি নামক স্থানে ঐ এলাকার রওশন আলীর ছেলে আলী আহাম্মদ তার সৎমাতা ভিকটিম ফাতেমা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন আসামি ধরে থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মৃত ফাতেমা বেগমের ভাই বাদী লামা থানার একটি হত্যা মামলা রুজু করেন।
এ ঘটনায় আসামি আলী আহাম্মদ ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে দোষ স্বীকার করেছে। মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে জেএমবির ৩ সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হালদা নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার, ১ জনের কারাদণ্ড
নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
২ বছর আগে
লক্ষ্মীপুরে শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার, সৎ মা আটক
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে চার বছরের শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির সৎ মা কহিনুর বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার দরবেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু আহম্মদ শাহ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চর জিয়া নগর গ্রামের হাবীবুল্লাহ ছেলে। গত তিনদিন ধরে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। অভিযুক্ত কহিনুর হাবীবুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে স্বামীর বাড়ি হাজীগঞ্জ থেকে ছেলেকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে কহিনুর। পারিবারিক কলহের জের ধরে ২৬ আগস্ট কহিনুর তার বাবার ঘরে শিশু আহম্মদকে হত্যা করে খাটের নিচে মাটিচাপা দিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যায়। এরপর শিশুটি নিখোঁজ বলে প্রচারণা চালায়। সোমবার বিকালে শিশুটির নানার ঘরের খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে । মঙ্গলবার সকালে শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘খবর পেয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কহিনুর নামে শিশুটির সৎ মাকে আটক করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে দু’দিন ধরে নিখোঁজ ৪ কিশোরী
লক্ষ্মীপুরে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে