সীলগালা
বন্ধ হলো চট্টগ্রামের জিয়া শিশু পার্ক
চট্টগ্রাম সদরের কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন জিয়া স্মৃতি শিশু পার্ক বন্ধ করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং ও রাকিবুল ইসলাম পার্কটি সিলগালা করেন।
সিলগালা শেষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া তাহেরকে জিয়া স্মৃতি শিশু পার্কের জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে লাশ উদ্ধার
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু এমং মারমা মং বলেন, শিশু পার্কের জায়গাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) যেসব শর্তে জমিটি ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল তার ব্যত্যয় ঘটায় শিশু পার্ক সিলগালা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ ও জিয়া স্মৃতি জাদুঘর সংলগ্ন জিয়া শিশু পার্কটি সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে আসছিল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
তবে, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পার্কটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিল।
এছাড়া এটি বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন সময় কয়েকটি সংগঠন মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
বরিশালে ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা
বরিশালে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
বন্ধ করে দেয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো- রয়েল সিটি সেন্টার, বরিশাল সিটি সেন্টার ও সাইন্স ল্যাব।
অভিযানের প্রথম দিনে বরিশাল নগরীর বান্দরোডস্থ শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কাগজপত্র বিহীন দুটি সিটি স্ক্যান সেন্টারসহ তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহীন খান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় আটশ’র মতো ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। আমরা বরিশাল নগরীতে অভিযান করছি। এছাড়া জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করছেন।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স নেই, খুলনার ২৬টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তালা
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে আমরা শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের মোট পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। এর মধ্যে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র সঠিক থাকায় সেটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে রয়েল সিটি স্ক্যান নামের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের বৈধ কোন কাগজপত্রই নেই।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটি সেন্টার নামের যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সেটির লাইসেন্স আছে ‘সি’ ক্যাটাগরির। কিন্তু সেখানে সিটি স্ক্যান করা হয়। সিটি স্ক্যানের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স থাকতে হবে। সেটা দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটি সেন্টারে অভিযানকালে দেখা গেছে, ‘হাসপাতালে ভর্তি রোগীকে একটি স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে সিটি স্ক্যান করার জন্য বরিশাল সিটি সেন্টারে পাঠিয়েচেন চিকিৎসক। স্লিপে চিকিৎসকের সিল ও সই রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
অপরদিকে, সুলতানা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ‘সি’ ক্যাটাগরির হলেও সেখানে হরমন টেস্ট করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী হরমন পরীক্ষার জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স থাকতে হবে। সেটা না থাকায় সুলতানা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের পূর্ব পাশে সাইন্স ল্যাব নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির কোন কাগজপত্রই নেই। সে কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ৩ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালকে জরিমানা
মাগুরায় নিবন্ধনবিহীন ৭ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ
২ বছর আগে