ফরিদ আহাম্মদ
কম শিক্ষার্থী থাকা বিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: প্রাথমিক শিক্ষা সচিব
কম শিক্ষার্থী থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি প্রায় ১৫০টির কাছাকাছি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১০ থেকে ৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে।’
এ বিদ্যালয়গুলো পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব।
আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত আরও ১৫৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়: প্রাথমিক শিক্ষা সচিব
তিনি বলেন, ‘আমরা হুট করে সকল স্কুল বন্ধ করে দেব না।’
সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কথা বলেন।
কম শিক্ষার্থী থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয় একীভূত করার বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। ইন-জেনারাইলজড সিদ্ধান্ত না। আমাদের ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। আমাদের টার্গেট হলো ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় এলিমেন্টারি স্কুল করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ট্রেন্ডটা দেখছি। বিগত ১০ বছর বা ২০ বছর কোনো স্কুলে ১০ জন বা ২০ জন শিক্ষার্থী থাকে তাহলে আমরা শুধুমাত্র ওই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্কুল একীভূত করে দেব না।'
আরও পড়ুন: মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ৯ম গ্রেড ও শতভাগ পদোন্নতি দাবি এটিইওদের
উদাহরণ দিয়ে সচিব বলেন, ‘রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়খলিয়া ইউনিয়নে একটি স্কুলে ১০ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৫ বছর ধরে স্কুলটি চলছে। কিন্তু তার আশেপাশে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো স্কুল নাই। সুতরাং ওই স্কুলটি আমরা একীভূত করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবার বরিশালে রাস্তার এপারে একটি স্কুল আছে, বিপরীতে বা পার্শ্ববর্তী স্কুল আছে। এ স্কুলে ধরেন কয়েকজন শিক্ষার্থী আবার অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে ২০০- এর কাছাকাছি শিক্ষার্থী। ওই স্কুলটা আমরা একীভূত করে দেব।'
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘এটা একইধরনের (ইন-জেনারেলাইজড) সিদ্ধান্ত হবে না। চাহিদা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনা করে সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব।'
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হবে ১২ মার্চ
সিটিজেন সেবা মডিউলে থাকবে সব তথ্য
সচিব বলেন, ‘আমরা ইন্টিগ্রেটেড প্রাইমারি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম চালু করেছি। এটা আমাদের এক থেকে দেড় বছরের সাধনার ফল। এটাকে বলছি ওয়ান স্মার্ট প্ল্যাটফর্ম অল ডিজিটাল সার্ভিস।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিদ্ধান্তের আওতায় একটি মডিউল সংযোজন করেছি। সেটি হচ্ছে, সিটিজেন সেবা মডিউল। যে সব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচারযোগ্য সেসব তথ্য-উপাত্ত এখানে পাবেন।’
সচিব বলেন, ‘আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এটা সম্পন্ন (কমপ্লিট) হবে। সেখানে জরাজীর্ণ ভবন থেকে শুরু করে সব ধরনের তথ্য থাকবে।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বই ছাপানোর পরিকল্পনা
জুলাইয়ে ঢাকার ১০টি নতুন স্কুল ভবন উদ্বোধন
এই মুহূর্তে সারাদেশে ৮১ শতাংশ স্কুলে নতুন ভবন হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এখনো আমাদের ২০ শতাংশের মতো জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে। ঢাকা শহরের কথা আমরা বলতে পারব। ঢাকা শহরে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ৩৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বতন্ত্র স্থাপত্য শৈলীতে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আগামী জুলাই মাসে ঢাকার ১০টি স্কুল প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধন করাব। ইতোমধ্যে দুই শতাধিক বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান আমরা অনুমোদন করেছি। ৫০টি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ চলমান আছে। আগামী আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে ঢাকা শহরের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয়ে পরিণত হবে।’
সচিব আরও বলেন, ‘এটাকে আমরা পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি করছি, যদি সরকারের অনুমোদন পাই, আমরা সামনের দিকে যাব। জড়াজীর্ণ ভবনগুলো ভেঙে নতুন নির্মাণ আমাদের অগ্রাধিকার।’
আরও পড়ুন: নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
অষ্টম শ্রেণি চালুর জন্য প্রস্তুত আরও ১৫৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়: প্রাথমিক শিক্ষা সচিব
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার জন্য দেশের আরও ১৫৪ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেছেন, আগামী তিন বছরে আরও এক হাজার বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার অবকাঠামো আছে।
সচিবালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কথা বলেন।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘সিদ্ধান্তহীনতা কাটিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করার বিষয়ে আবারও তৎপর সরকার।’
মৌলিক শিক্ষা অধিকার: প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালুর অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘২০১০ সালের শিক্ষানীতিতে বলা আছে যে, প্রাথমিক শিক্ষা হবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এটি পর্যায়ক্রমে হবে। এটি আসলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘এখানে পলিসি মেকিংয়ে (নীতি নির্ধারণ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের সিদ্ধান্তে আমরা ৬৯৫ স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করেছি। আমরা ৭০০-এর বেশি স্কুলে চালু করেছিলাম। তবে একসময় সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগার কারণে নতুন স্কুলগুলো অন্তর্ভুক্ত করিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের সমন্বয় সভায় আবারও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ধারাবাহিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত ও শতভাগ অবৈতনিক করা।’
‘আমরা হিসেব করে দেখেছি, ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫ হাজারের কাছাকাছি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করতে পারি। এছাড়া মাধ্যমিকে ২৩ হাজারের কছাকাছি নিম্ন মাধ্যমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে, সেগুলো যদি তারা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে পারে, তাহলে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
ফরিদ আহাম্মদ আরও বলেন, ‘এটা করতে হলে তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে- অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ ও পদ সৃজন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। কারণ আমরা আমাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেই পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত।’
সচিব বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য উপাত্ত পেয়েছি, তাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে এই মুহূর্তে আরও ১৫৪ স্কুলে অষ্টম শ্রেণি চালু করতে পারি। পাশাপাশি আগামী তিন বছরে আরও এক হাজার স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করার মতো অবকাঠামো আছে। এটি একটি ধারাবাহিক ও নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়া।’
কবে নাগাদ সব স্কুলে পুরোপুরি অষ্টম শ্রেণি চালু হবে হবে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। অবকাঠামো, শিক্ষক নিয়োগ ও পদ সৃজন এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়গুলো রয়েছে। এই কাজগুলো আমরা শুরু করেছি। আগামী তিন বছরের একটা টার্গেট নিয়ে কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, “আমরা ‘স্মার্ট প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-৫’ এর দিকে যাচ্ছি। সেখানেও এ বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি যাতে অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধি, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক-কর্মচারীর পদ সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। পিডিপি-৫ এর কাজ শুরু হলে এই কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ মাসের জন্য স্থগিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম: হাইকোর্ট
৪ মাস আগে
১৫০ উপজেলায় চালু হচ্ছে স্কুল ফিডিং: গণশিক্ষা সচিব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানিয়েছেন, নতুন আঙ্গিকে দেশের ১৫০ উপজেলায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি চালু হবে।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। এটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ভিত রচনা করবে।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের একটি হোটেলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট-২০২২’ এর প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, এবারে শিশুদের পুষ্টি সমৃদ্ধ বিস্কুটের পাশাপাশি ভিন্ন রকমের খাবারও পরিবেশন করা হবে। যা হবে শিশুর কাছে আকর্ষণীয়।
তিনি আরও বলেন, এসব খাবার শিশুর চাহিদা পূরণ ও শরীর গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
সচিব বলেন, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালুর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়া রোধ হবে, স্কুলে আসার সংখ্যা বাড়বে। যা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে সরকারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটাবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তৃতা করেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দিলীপ কুমার বণিক, ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট, ব্রিটিশ হাইকমিশনের শিক্ষা উপদেষ্টা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শাহীনুর শাহীন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের মধ্যে নতুন বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
পাঠ্যপুস্তক শিশু মনে ভীতির নয়, প্রীতির ভাব জাগাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
১ বছর আগে
প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানিয়েছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষার ফল আগামী ২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক শিক্ষার উদ্যোগ এবং অর্জন নিয়ে তিনি একথা জানান।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও হচ্ছে না
তিনি বলেন, প্রাথমিক বৃত্তির ফল কবে নাগাদ ঘোষণা করা হবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, এ মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে আমরা চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে পারব বলে আমাদের অধিদপ্তরের ডিজি জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ না করার কারণে সরাসরি বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হবে। বৃত্তি পরীক্ষায় প্রায় ছয় লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৮০ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়া হবে। এর অর্ধেক ছাত্র, বাকি অর্ধেক ছাত্রী।
সচিব জানান, প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। দুই ঘন্টার মধ্যে চার বিষয়ের মোট ১০০ নম্বরের বৃত্তি পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা
এছাড়া ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা ৩০০ টাকা ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা ২২৫ টাকা হারে মাসিক বৃত্তি পেয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের গেজেট ছয় মাসের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী
নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রবিধান করা হচ্ছে: ফরিদ আহাম্মদ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ জানান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কাঁচা বাজারগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রবিধান করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘ঢাকা সাউথ সিটি ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ফুড সিস্টেম’ এর ১১তম বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সম্প্রতি আমরা একটা প্রবিধান করেছি। সেটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো যথাযথভাবে এড্রেস করব। আমরা আশাবাদী, আগামী দুই মাসের মধ্যে চূড়ান্ত একটি প্রবিধান পেয়ে যাবো। এরপরে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা কাঁচা বাজারগুলোয় শৃঙ্খলা নিয়ে আসতে সক্ষম হবো।
আরও পড়ুন: ঢাকার কাঁচাবাজার ও সুপারশপ বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে: ডিএমপি
প্রবিধানের অভাবে এতদিন ঢাকা শহরের অধিকাংশ কাঁচা বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা কষ্টসাধ্য ছিল উল্লেখ করে তিনি জানান, আমাদের তথ্য মতে, ঢাকা শহরে কাঁচা বাজারের সংখ্যা চার শতাধিক। কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাজারের সংখ্যা খুবই কম। এটা পঞ্চাশেরও নিচে। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী এটা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। এখানে বলা হয়েছে যে, প্রবিধান দ্বারা আমরা এই কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করব। এর আগে এই প্রবিধান করা হয়নি বলে বেসরকারি বাজারগুলোর নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও তদারকি করা সহজ ছিল না। কিন্তু প্রবিধান চূড়ান্ত হলে এই কার্যক্রম সহজতর হবে।
করপোরেশন কেবল এককভাবে নয়, সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাজারে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব উল্লেখ করে তিনি জানান, বাজার তদারকি ও নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের একটি স্থায়ী কমিটি রয়েছে। কিন্তু এককভাবে এই কমিটি তা পারবে না। আমরা আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, আমাদের স্থায়ী কমিটির পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, আমাদের স্যনিটারি পরিদর্শক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট এনজিগুলোর সমন্বয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করা হবে। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আশা করি সকলে মিলে ঢাকার কাঁচা বাজারগুলোর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে।
এছাড়াও বৈঠকে অঞ্চল-৩ এর বাবর আলী মীর, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৯ নম্বর আসনের শেফালী আক্তার ও ২১ নম্বর আসনের সেলিনা খাঁন, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শাহিদা আক্তার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকা ও ইনস্টিটিউট অব প্রফেশনাল ট্রেনিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট (আইপিটিএম) এবং কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা কাঁচাবাজার নির্ধারিত স্থানে বসাতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
সামাজিক দূরত্ব: কাঁচাবাজারের সময় বাড়ানোর দাবি বিএইচআরসি’র
২ বছর আগে