ফারুক
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াদের শ্বেতপত্রের দাবি ফারুকের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি আরও বলেন, 'যারা দেশ ছেড়ে গেছে বিশেষ করে শত মায়ের বুক খালি করে কীভাবে ভারতে পালিয়ে যেতে পেরেছে সেই ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি হঠাৎ করে ভারত থেকে দেশে ফেরার ইচ্ছা জানিয়েছে সে কথা তুলে ধরেন ফারুক।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেভাবে ভারতে পালিয়ে গেছেন সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ঢোকা আপনার জন্য এত সহজ হবে না। সীমান্ত বর্তমানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে বিজিবি কঠোরভাবে সুরক্ষিত করে রেখেছে, আওয়ামী লীগ নয়।
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সহায়তায় ভারত বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বছরের পর বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং রাতে আর ভোট হবে না। এই আন্দোলন বৃথা যাবে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি এক মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এই মানববন্ধনে ফারুক বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনার জন্য, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের অধীনে নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় যেখানে দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন দেশের মানুষের চাওয়া ড. ইউনূসের সরকার যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
বিগত সরকারের আমলে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪০ লাখ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জনগণ এখন প্রশ্ন করছে, রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অনুযায়ী কেন এই ৪০ লাখ মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
১ মাস আগে
আজিজ-বেনজীরের মতো অনেক দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে আ. লীগ সরকার: ফারুক
আওয়ামী লীগ সরকার আজিজ আহমেদ ও বেনজীর আহমেদের মতো অসংখ্য দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে 'অবৈধ সরকারের অবৈধ চুক্তির' প্রতিবাদে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে বিরোধীদলীয় মঞ্চ প্রজন্ম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
বিক্ষোভে ফারুক প্রশ্ন করেন, ‘এখন কোথায় বেনজির (সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ), আজিজ (সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ), মতিউর (রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান)?’
তিনি আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (ট্যাক্স, লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের মতো নতুন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে।
ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারের আশ্রয়ে অসংখ্য ব্যক্তি লুটপাট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, বিদেশে ঘরবাড়ি বানিয়েছেন। তারা রাতে সাঁতার কাটার জন্য সুইমিং পুলসহ প্রাসাদও তৈরি করেছিল। এই মানুষগুলোর মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে, তা না হলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কখনো ক্ষমা করবে না।’
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে সরকারকে সমর্থন করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করেন সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুবই সচেতন। গুটিকয়েক আমলার সমর্থন নিয়ে আপনি ক্ষমতায় আছেন। আপনারা একদিনের জন্যও বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে পারেননি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে এবার কী নিয়ে আসেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ: ফারুক
ফারুক বলেন, দেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রহসন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মীয়দের যুক্ত করে উপজেলা নির্বাচনেও একই প্রক্রিয়া চালিয়েছে।
তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ পাঁচ মিনিট সংসদে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে এবং হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স এনে এমপি বানিয়েছে, তারা আবারও ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে।
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করতে রেললাইন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ভারত সরকারের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে এই অসম চুক্তি আমরা মেনে নেব না। দেশের মানুষ তাদের মেনে নিতে পারছে না। এসব অন্যায্য চুক্তি প্রত্যাহার করুন।’
ভারতের সঙ্গে এসব অসম চুক্তির বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে বিএনপিকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আহ্বান জানান ফারুক।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
৪ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে এবার কী নিয়ে আসেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এবার দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী নিয়ে আসেন তা দেখার জন্য দেশবাসী অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ও উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণ প্রমাণ করেছে যে তারা তারেক রহমানের পক্ষে আছে।’
শুক্রবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
বাংলাদেশের মাটিতে ভারত সরকারের রেলপথ নির্মাণের প্রতিবাদে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এই সদস্য বলেন, আবারও ভারত যাচ্ছেন 'ডামি' নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনা।
ফারুক বলেন, ‘দেখা যাক এবার তিনি কী নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি যদি খালি হাতে ফিরে আসেন, জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ভারতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, বন্ধু হিসেবে ভারত বাংলাদেশের সবকিছু কেড়ে নিতে পারে না এবং অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গরিব হতে পারে, কিন্তু আমাদের আত্মসম্মান অনেক বেশি। কাজেই আমি আপনাদের (ভারত) জানাতে চাই যে, বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা দিতেই হবে।’
পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে রেলপথ নির্মাণ করে তাহলে দেশের জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
দিল্লির আগ্রাসন বাংলাদেশিরা মেনে নেবে না বলেও জানান তিনি। ফারুক বলেন, ‘আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিই।’
রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘এই সরকার লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের সরকার।’
আকস্মিক বন্যায় সিলেট অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে উল্লেখ করে ফারুক অভিযোগ করেন, সরকার একজন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য কিশোরগঞ্জ হাওর এলাকায় মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ করেছে, যা আজ বন্যা ও অসংখ্য মানুষের পানিবন্দি হওয়ার কারণ।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
৪ মাস আগে
বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের আয়োজনে পথচারীদের মাঝে বোতলজাত পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এসআরএফবির সভাপতি ফারুক খান, সম্পাদক আফরিন জাহান
এ সময় অবিরাম তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় হিমশিম খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের প্রায়ই বলতেন, বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। তবে বিএনপি নয়, অস্তিত্বের এমন সংকটে পড়েছে আওয়ামী লীগ। দেশে বারবার একতরফা অবস্থান নিয়ে তারা এই সংকট নিজেরাই ডেকে এনেছে।’
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাহস না থাকায় আওয়ামী লীগ বারবার একতরফা নির্বাচনে ভোট ডাকাতির আশ্রয় নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তারা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না।’
প্রচণ্ড গরমে মানুষ যখন ভোগান্তিতে পড়ছে, তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘরে বসে শুধু উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কথা বলায় তার সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনের দিকে নজর না দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহের সময় জনগণের মধ্যে পানি বিতরণ করুন। আপনারা বারবার যে একতরফা নির্বাচন করে আসছেন তা জনগণ মেনে নেবে না।
পার্লামেন্টে বিরোধী দলের সাবেক চিফ হুইপ ফারুক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যে কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত তাকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখারও বিরোধিতা করেন তিনি। এমন তীব্র তাপপ্রবাহের সময় স্কুল খোলা রাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি দরিদ্র জনগণকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে তাদের পদত্যাগের আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের মানুষ চরম কষ্ট সহ্য করছে।
আরও পড়ুন: দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: ফারুক খান
আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
৬ মাস আগে
আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণের বন্ধু নয়, বব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বন্ধু বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
তিনি বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেলেও জনগণের খাদ্য অধিকার নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং অবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ চায় না দেশের মানুষ পেট ভরে খাবার খাক। ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো পণ্য না থাকায় মানুষ তাদের উপার্জিত অর্থের সিংহভাগ খরচ করে একটি ডিম, এক কেজি চাল ও এক লিটার তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
আগামী ১২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া পবিত্র রমজানে দরিদ্র জনগণকে কষ্টে ফেলতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিন্ডিকেট প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়ে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন।
জয়নুল বলেন, 'আমরা জনগণের অধিকারের কথা বলছি, কারণ আমরা (বিএনপি) জনবান্ধব রাজনৈতিক দল। বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে এবং কোনোভাবেই ক্ষমতা দখল করতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন,‘আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কিছুই করেনি, বরং তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সবকিছু করেছে। তারা চায় না দেশের মানুষ সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করুক।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন আয়োজন করেছে এবং বেশিরভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের, যারা বিপুল অর্থ ব্যয় করে আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে আ. লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম
৮ মাস আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের খেসারত আ. লীগকে দিতে হবে: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘একতরফা’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগকে খেসারত দিতে হবে।
শনিবার এক মানববন্ধনে তিনি একথা জানান।
বিএনপিকে অবমূল্যায়ন না করতে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দলটি যেকোনো সময় রাজপথে ফিরে আসতে পারে। কারণ দেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে বিএনপির।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন ফারুক খান
ফারুক বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি কীভাবে বলেন যে- ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে না আসার জন্য বিএনপিকে অনেক খেসারত দিতে হবে? উল্টো আমি বলতে চাই, এর মূল্য আপনাদেরই দিতে হবে। যুগ যুগ ধরে আপনাদের মাশুল দিতে হবে, কারণ আপনারা জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছেন।’
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ফারুক বলেন, ‘গণতন্ত্র ধ্বংস করে আপনারা বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কলঙ্ক লেপন করেছেন তার দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে। সুতরাং আপনাদের এর জন্য খেসারত দিতে হবে।’
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সীমান্তে অব্যাহত গোলাগুলি চলছে এবং জনগণের সমর্থন ছাড়াই আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ যে কলঙ্ক লেপন করেছে তার জন্য জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সময় খুবই নিকটে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম।
ফারুক অভিযোগ করেন, একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবেই সরকার গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করে দেয় এবং ফখরুলসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার।
তিনি সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। ‘অন্যথায় জনগণের ক্ষোভ উস্কে গেলে আপনারা শ্রীলঙ্কার চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন।’
ফারুক বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও হারানো অধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকবে।
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
৯ মাস আগে
পাওনা টাকা চাওয়ায় চোখ উপড়ে ফারুককে হত্যা: র্যাব
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের পাশ থেকে ফারুক নামে এক ব্যক্তির চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুরের টঙ্গী, লক্ষীপুরের রায়পুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ১৪৮ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
আটকরা হলেন- মো. নিজাম উদ্দিন (৩৬), মো. সোহাগ (৩৮), জহিরুল ইসলাম (৪৮), রনি হোসেন (২৩) ও বাদশা (২৩)।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নিজাম ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাউন্টার ম্যানেজার, আর ফারুক কাউন্টারম্যান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন ২০২৪: সারা দেশে র্যাবের ৭০০ টহল দল মোতায়েন
তাদের দুজনের কর্মস্থল টঙ্গী এলাকায়। নিজামের কাছে ফারুক টাকা পেতেন। ফারুক পাওনা টাকা চাইলে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এই বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নিজাম।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ফারুককে কাউন্টারে ডেকে আনেন নিজাম। এরপর নিজাম ও তার চার সহযোগী ফারুককে মারধর করেন। মারধরের পর ফারুককে ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি খালি বাসে উঠিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবারও এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোলবোমা জব্দ, আটক ৩: র্যাব
তিনি বলেন, একপর্যায়ে সোহাগ ও রনি ফারুকের হাত-পা চেপে ধরেন। বাদশা ফারুকের বাম চোখ উপড়ে ফেলেন। পরে ফারুকের লাশ বাসে করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের পাশে রঘুরামপুর এলাকার নির্জন স্থানে ফেলা হয়।
জড়িতরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব
১০ মাস আগে
মুক্তিযুদ্ধে ফারুকের ভূমিকা অবিস্মরণীয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান, যিনি ফারুক নামে পরিচিত, তার ভূমিকা অবিস্মরণীয় কারণ তিনি প্রতিটি সংগ্রাম ও আন্দোলনে অসামান্য দৃঢ়তার সঙ্গে অবদান রেখেছিলেন।
সংসদে তিনি বলেন, ‘ফারুক একজন মুক্তিযোদ্ধা। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের পর থেকেই তিনি ছাত্রলীগের একজন প্রাণবন্ত কর্মী ছিলেন। প্রতিটি সংগ্রাম ও আন্দোলনে তিনি অসামান্য সাহসিকতার সঙ্গে অবদান রেখেছিলেন। ছয় দফা আন্দোলন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার ভূমিকা কখনোই ভোলার নয়।’
বুধবার ফারুকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে সংসদে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ফারুক শুধু একজন রাজনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও অবদান রেখেছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সাংস্কৃতিক কর্মীরা আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের সাহস জুগিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ঘটনার পর যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলা হচ্ছিল এবং কেউ তার নাম উচ্চারণ করার সাহস করেনি, তখন সংস্কৃতিকর্মীরা এগিয়ে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ফারুক) বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গঠন এবং দেশাত্মবোধক গানকে সামনে নিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন। সুতরাং, তিনি এই দেশের জন্য একটি অবদান রেখেছেন।’
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনের (বাজেট অধিবেশন) শুরুতে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এ নিয়ে আলোচনা শেষে বুধবার সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আলোচনায় যোগ দেন- সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু (ঝালোকাঠি-২), তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), মেহের আফরোজ (গাজীপুর-৫) ও হাবিব হাসান (ঢাকা-১৮), বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬) ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
আকবর হোসেন পাঠান (ঢাকা-১৭), যিনি গত ১৫ মে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়া সংসদ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির সংসদ সদস্য কবির হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত লেখক ও ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকিয়া আফজাল রহমান, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ ও বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী কল্যাণী কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মোখায় হতাহত এবং দেশ-বিদেশে দুর্ঘটনায় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
এক মিনিট নীরবতা পালন ও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাফিজ রুহুল আমিন মাদানী (ময়মনসিংহ-৭)।
প্রথা অনুযায়ী, বর্তমান সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংসদের দিনের কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।
আরও পড়ুন: আইসিটি, অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও সুইডেনের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
১ বছর আগে
গাজীপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত ‘মিয়াভাই’
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মা-বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান, যিনি ফারুক নামেই পরিচিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) রাতে জানাজা শেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের সোম টিওরী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তুমলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টায় সেখানে নায়ক ফারুকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার জানাজায় রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পৌঁছেছে ফারুকের মরদেহ
তিনি আরও বলেন, এর আগে শেষবারের মতো তাকে বিদায় জানাতে তার বাড়িতে ভিড় করেন আত্মীয়-স্বজন, ভক্তবৃন্দ ও এলাকার সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৫ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নায়ক ফারুক। ওইদিন রাতে সিঙ্গাপুরে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়।
মঙ্গলবার (১৬ মে) নায়ক ফারুকের মরদেহ দেশে আনা হয়। গাজীপুরে জানাযার নামাজের আগে ঢাকার কয়েকটি স্থানে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে তারকাদের শোক
১ বছর আগে
চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে তারকাদের শোক
আকবর হোসেন পাঠান, যিনি ঢালিউডে চিত্রনায়ক ফারুক নামে পরিচিত। সাদাকালো যুগ থেকে তিন দশকের ক্যারিয়ার এই তারকার। অভিনয় করেছেন ৬০টির বেশি সিনেমায়। ১৫ মে (সোমবার) না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।
শুধু অভিনয় নয়। দেশের জন্য অস্ত্র হাতে তুলেছিলেন ফারুক। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন নিজের মাটির জন্য।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
এরপর আবারও শুরু হয় তার সিনেমার যাত্রা। ঝুলিতে রয়েছে-সারেং বউ, লাঠিয়াল, নয়নমণি, গোলাপী এখন ট্রেনে, দিন যায় কথা থাকে, জনতা এক্সপ্রেস, সাহেব, মিয়াভাই, নাগরদোলা, সুজনসখী, ঘরজামাই, ভাইভাই ও বিরাজবৌ এর মত অস্যংখ্য সিনেমা।
ফারুকের মৃত্যুতে শোকে ছায়া পড়েছে শোবিজ অঙ্গনে। ফেসবুকে তারকাদের সেসব পোস্ট নিচে তুলে ধরা হলো।
অভিনেতা মিশা সওদাগরের শোকবার্তা ছিল এমন-
‘বিদায় মিয়াভাই’। আজ সকাল ৮:৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’ খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা ১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ভাই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)’।
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লেখেন, ‘বিদায় নায়ক ফারুক। বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনার আত্মার শান্তি হোক’।
ওমর সানি লিখেছেন, ‘আল্লাহ আমাদের লিজেন্ড ফারুক ভাইকে জান্নাত নসিব করুন’।
আমিন
অভিনেত্রী তারিন জাহান লেখেন, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সোমবার ঘণ্টা দুয়েক আগে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত নায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ভাই’।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়ক ফারুকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
চিত্রনায়িকা জাহারা মিতু লিখেছেন, ‘বিটিভিতে আপনার ছবি দেখে বড় হয়েছি। গ্রাম্য ছেলের ভূমিকায় কি অনবদ্য আপনি। আল্লাহ আপনাকে বেহেশত নসিব করুক। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’।
চলচ্চিত্র পরিচালক জাকির হোসেন রাজু লিখেছেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের মিয়াভাই খ্যাত, তুমুল জনপ্রিয় নায়ক ফারুক ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে স্তব্ধ হয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। মৃত্যু অনিবার্য, তবু মৃত্যু আমার ভালো লাগে না। এই সংবাদটি শুনলেই মন বিবশ হয়ে যায়। যে মানুষটি মৃত্যুবরণ করেন, হাজার চেষ্টা করলেও তার সাথে আর কোনদিন কথা বলা যাবে না, পৃথিবীর কোনো প্রযুক্তির মাধ্যমেও আর জানা যাবে না, মানুষটি কেমন আছেন! কী ভীষণ অসহায় আমরা মৃত্যুর কাছে’।
চিত্রনায়ক জায়েদ খানও ফারুকের সঙ্গে নিজের একটি ছবির সঙ্গে শোক জানিয়েছেন ফেইসবুকে।
তিনি লিখেছেন, ‘এতক্ষণ কিছু লিখিনি, কারণ মনে হয়েছে আপনি বেঁচে আছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে চলে গেলেন। এটা তো কথা ছিল না। বলেছিলেন-জায়েদ আসতেছি, আড্ডা হবে। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি নাই’।
চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল লিখেছেন, ‘প্রায় পাঁচ দশক ঢালিউডে অবদান রাখা ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি চিত্রনায়ক ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক (আমাদের ফারুক ভাই)। এই র্কীতিমান মহান মানুষটির প্রয়াণে গভীর শোক ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি’।
বিজরী বরকতুল্লাহ লেখেন, ‘কিংবদন্তী চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়ক ফারুক সিংগাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। আল্লাহ তার সকল গুনাহ মাফ করে জান্নাত দান করুন, আমিন’।
আরও পড়ুন: অভিনেতা ফারুকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
১ বছর আগে