ফারুক
ভোট থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতে ‘নাটক’ মঞ্চস্থ করা হচ্ছে: বিএনপির ফারুক
জনগণের ভোটাধিকারের দাবি ও তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরাতে বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) ইশরাকের মতো একজন ব্যক্তিকে শপথ পাঠ করাননি ও আবদুল হামিদের মতো একজন কুখ্যাত ব্যক্তিকে বিদেশে যেতে দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণকে ভোট দেওয়ার ও তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ন্যায্য পথ থেকে বিচ্যুত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আপনারা বিভিন্ন ধরণের নাটক মঞ্চস্থ করছেন।’
বুধবার (২১ মে) জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করার ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদে বিরোধী দলের সাবেক প্রধান হুইপ ফারুক বলেন, জাতি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন, নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর গ্রেপ্তার ও সম্প্রতি অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের নাটক দেখেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের জন্য আর কতক্ষণ অপেক্ষা, প্রশ্ন বিএনপির নজরুলের
তিনি বলেন, ‘দেশে আসলে কী ঘটছে? অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন দেওয়া হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে এভাবে তাদের গ্রেপ্তার করার অর্থ কী? আর জামিন দেওয়ার অর্থ কী?’
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভের পিছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক দাবিগুলোকে ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য একের পর এক নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, এনসিপি ইসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। সংস্কারের আগে এর নিরপেক্ষতা ও গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। আর যখন কমিশন যখন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে—তখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে তারা।
তিনি আরও বলেন যে, এখনও পর্যন্ত কেউ নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচনা করেনি। ‘তাহলে, আপনারা (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের সামনে কেন প্রতিবাদ করছেন? কার পরামর্শে এবং কোন প্রেত্মার সাহায্যে আপনারা এটা করছেন?... তাহলে আপনারা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করেন না, তার কথা শোনেন না।’
ফারুক বলেন, আদালত ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করার পরও সরকার এখনও তার শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ের পরেও কেন ইশরাক শপথ নিতে পারছেন না? যদি আপনি কারো কথা শুনে তার শপথ বন্ধ করেন—তাহলে এটি খুবই খারাপ কাজ। আমার মনে হয় সরকারের ভেতরে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে। এনএসআই, ডিজিএফআই ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে, কিন্তু তারা কোথাও আটকে যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলায় নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। বলেন, ‘আপনি যদি এটি করেন—তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা আপনাকে আর বিভ্রান্ত করার সাহস পাবে না। আপনার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
প্রধান উপদেষ্টাকে শেখ হাসিনার শাসনবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অবিলম্বে আলোচনায় বসার ও একটি স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানান ফারুক। বলেন, ‘অন্যথায়, বাংলাদেশে যদি কোনো খারাপ পরিস্থিতি দেখা দেয়—তাহলে আমরা দায়ী থাকব না—আপনার সরকার এর জন্য দায়ী থাকবে।’
১৯৭ দিন আগে
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ভারতের সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ বাংলাদেশ প্রত্যাশা করলেও তাদের গণমাধ্যম সব সময় এই দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভালো প্রতিবেশী হিসেবে আমরা সবসময় আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছ থেকে ভালো আচরণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যম সব সময় বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত।’
বুধবার (১৯ মার্চ) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী ও অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, ভারতীয় মিডিয়া শুধু অপপ্রচারই চালায়নি, উসকানি ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
একটি সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী বিভিন্ন অজুহাতে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হঠাৎ করে কিছু বিষয় সামনে আসছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য বিব্রতকর। তিনি বলেন, 'এগুলো একজন পতিত স্বৈরাচারের কাজ বলে মনে হচ্ছে।’
ফারুক বলেন, সংখ্যালঘু ইস্যুতে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তার দল তাকে সমর্থন দিচ্ছে কিন্তু তার আশপাশের কিছু লোক তাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে খারাপ লোকদের প্রভাবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। ‘মনে রাখতে হবে, এসব ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা বা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আপনাদের বিপদে ফেলা।’
ফারুক বলেন, 'মনে রাখতে হবে, এসব ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচন বানচাল করা অথবা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আপনাদের বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া।’
২৬০ দিন আগে
নির্বাচন পেছাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এনসিপি: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে গঠিত ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি) জাতীয় নির্বাচন পেছানোর জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ আন্দোলন সফল করে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করে জাতীয় নির্বাচনের পথ সুগম করেছে। কিন্তু নতুন দল (এনসিপি) এখন নির্বাচন পেছানোর জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। মানুষ এটা বলতে শুরু করেছে।’
নারীর প্রতি ব্যাপক সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হয়রানি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও ন্যায়বিচারহীনতার প্রতিবাদে বুধবার (১২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদের বিরোধীদলীয় সাবেক চিফ হুইপ ফারুক জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সরকার যদি সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন পেছায়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা অবশ্যই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার অবশ্যই সংস্কার করবে, তবে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।
তিনি বলেন, এনসিপি গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজনের দাবি জানিয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি সরকারকে বলতে চাই, আমি গণপরিষদ বুঝি না। আমি শুধু একটা জিনিসই বুঝি, আমার বিরুদ্ধে ৮৪টি মামলা ছিল, আর ১৬টার মধ্যে ৯ বছর আমি কারাগারে ছিলাম। একজন রাজনৈতিক কর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার আলোকে গণপরিষদ নয়, একটি নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় বাংলাদেশের সমর্থন চায় গাম্বিয়া
ফারুক আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা রাজনৈতিক দলগুলো একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করবে এবং সংসদে আলোচনা করে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব ড. ইউনূসকে দিয়েছে। ‘তাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনে অংশ নেওয়া জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সরকার ফ্যাসিবাদীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে এবং তাদের অপকর্ম উন্মোচন করতে সক্ষম হবে। ‘আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে একটি নির্বাচন আয়োজন করুন, যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।’
২৬৭ দিন আগে
নির্বাচন দিতে এত সংস্কারের প্রয়োজন নেই: ফারুক
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মর্যাদা সমুন্নত রেখে অনতিবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এই দাবি জানান। দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে।
ফারুক বলেন, ‘আবু সাঈদ ও মুগ্ধর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে হলে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। সংস্কার চলবে, দিন-তারিখ দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলবে। আমি অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’
বিরোধী দলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, সংস্কারের নামে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অহেতুক সময় নষ্ট করা উচিত হবে না।
স্বৈরাচারী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন বলে স্মরণ করেন এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি
তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ছিল। সেটার মতো নির্বাচন দিতে হলে এত সংস্কারের প্রয়োজন নেই। যে সংস্কার দিয়ে জনগণ ৪০ টাকায় চাল কিনতে পারবে সেই সংস্কার দরকার।’
বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর নতুন করে ভ্যাট আরোপের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবে আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আপনারা সরকারে। তাহলে কেন আপনারা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের টিফিন বক্সের ওপরে ভ্যাট ধার্য করবেন? কেন আপনারা অনৈতিকভাবে সকল নিত্য পণ্যের ওপরে ভ্যাট বসিয়ে দেবেন?’
‘ভ্যাট বৃদ্ধিতে জনগণ দিশেহারা। যেখানে ১০ হাজার টাকায় তাদের মাস যেত, এখন ২৫ হাজার টাকায়ও দিন অতিবাহিত করা যায় না।’
বিভিন্ন খাতে এখনও সিন্ডিকেট রয়ে গেছে বলে অভিযোগ করে জয়নুল আবেদিন বলেন, ‘হাসিনার আমলে সিন্ডিকেট করেছে, আপনার আমলেও সিন্ডিকেট করবে। একটা উদাহরণ দিচ্ছি, ওমরাহ পালনে যাবেন রোজার মাসে…আমি গতকাল একটি অনুষ্ঠানে শুনতে পেয়েছি, জেদ্দায় যেতে ৪০ হাজার টাকার টিকিট এখন ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
‘একশ-দুইশ টিকিট কিনে অফিসে রেখে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। উপদেষ্টারা কী করেন, গোয়েন্দারা কী করেন? তাদের খবর রাখতে হবে। এই সিন্ডিকেট তো হাসিনার নাই, হাসিনা তো হিন্দুস্থানে। তাই এই সিন্ডিকেটকে ধরে গরীব মানুষরা যাতে ৪০ হাজার টাকায় টিকিট কিনতে পারেন তার ব্যবস্থার আমি দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: জামায়াতের কিছু বক্তব্যে কষ্ট লাগে: নজরুল ইসলাম খান
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের ইশতেহারে শুধু জুলাই-আগস্ট নয়, বিগত আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির ভূমিকাও লিখতে হবে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের ইশতেহারকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু এই ইশতেহারে ১৯৪৭ সালের ইতিহাস, ৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে খালেদা জিয়ার ভূমিকা ও ডা. মিলনের আত্মত্যাগ, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে পাঁচ বছর কারাগারে রেখেছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, গত ১৬ বছরের বিএনপির আত্মত্যাগ—এই কথাগুলোও ইশতেহারে লিখতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন ও মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
৩২১ দিন আগে
দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াদের শ্বেতপত্রের দাবি ফারুকের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে যারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি আরও বলেন, 'যারা দেশ ছেড়ে গেছে বিশেষ করে শত মায়ের বুক খালি করে কীভাবে ভারতে পালিয়ে যেতে পেরেছে সেই ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি হঠাৎ করে ভারত থেকে দেশে ফেরার ইচ্ছা জানিয়েছে সে কথা তুলে ধরেন ফারুক।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেভাবে ভারতে পালিয়ে গেছেন সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ঢোকা আপনার জন্য এত সহজ হবে না। সীমান্ত বর্তমানে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের অধীনে বিজিবি কঠোরভাবে সুরক্ষিত করে রেখেছে, আওয়ামী লীগ নয়।
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সহায়তায় ভারত বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ বছরের পর বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং রাতে আর ভোট হবে না। এই আন্দোলন বৃথা যাবে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি এক মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এই মানববন্ধনে ফারুক বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল সংবিধান অনুযায়ী দেশ পরিচালনার জন্য, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের অধীনে নয়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় যেখানে দেশের জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন দেশের মানুষের চাওয়া ড. ইউনূসের সরকার যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে।
বিগত সরকারের আমলে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪০ লাখ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জনগণ এখন প্রশ্ন করছে, রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অনুযায়ী কেন এই ৪০ লাখ মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
৪১৯ দিন আগে
আজিজ-বেনজীরের মতো অনেক দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে আ. লীগ সরকার: ফারুক
আওয়ামী লীগ সরকার আজিজ আহমেদ ও বেনজীর আহমেদের মতো অসংখ্য দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে 'অবৈধ সরকারের অবৈধ চুক্তির' প্রতিবাদে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে বিরোধীদলীয় মঞ্চ প্রজন্ম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
বিক্ষোভে ফারুক প্রশ্ন করেন, ‘এখন কোথায় বেনজির (সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ), আজিজ (সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ), মতিউর (রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান)?’
তিনি আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব (ট্যাক্স, লিগ্যাল অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের মতো নতুন দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে।
ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারের আশ্রয়ে অসংখ্য ব্যক্তি লুটপাট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, বিদেশে ঘরবাড়ি বানিয়েছেন। তারা রাতে সাঁতার কাটার জন্য সুইমিং পুলসহ প্রাসাদও তৈরি করেছিল। এই মানুষগুলোর মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে, তা না হলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের কখনো ক্ষমা করবে না।’
সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে সরকারকে সমর্থন করায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করেন সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ খুবই সচেতন। গুটিকয়েক আমলার সমর্থন নিয়ে আপনি ক্ষমতায় আছেন। আপনারা একদিনের জন্যও বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে পারেননি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে এবার কী নিয়ে আসেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ: ফারুক
ফারুক বলেন, দেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রহসন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাদের আত্মীয়দের যুক্ত করে উপজেলা নির্বাচনেও একই প্রক্রিয়া চালিয়েছে।
তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ পাঁচ মিনিট সংসদে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে এবং হেলিকপ্টারে ব্যালট বাক্স এনে এমপি বানিয়েছে, তারা আবারও ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে।
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করতে রেললাইন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ভারত সরকারের পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে এই অসম চুক্তি আমরা মেনে নেব না। দেশের মানুষ তাদের মেনে নিতে পারছে না। এসব অন্যায্য চুক্তি প্রত্যাহার করুন।’
ভারতের সঙ্গে এসব অসম চুক্তির বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে বিএনপিকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আহ্বান জানান ফারুক।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
৫২৪ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে এবার কী নিয়ে আসেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এবার দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী নিয়ে আসেন তা দেখার জন্য দেশবাসী অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ও উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণ প্রমাণ করেছে যে তারা তারেক রহমানের পক্ষে আছে।’
শুক্রবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
বাংলাদেশের মাটিতে ভারত সরকারের রেলপথ নির্মাণের প্রতিবাদে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এই সদস্য বলেন, আবারও ভারত যাচ্ছেন 'ডামি' নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনা।
ফারুক বলেন, ‘দেখা যাক এবার তিনি কী নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি যদি খালি হাতে ফিরে আসেন, জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ভারতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, বন্ধু হিসেবে ভারত বাংলাদেশের সবকিছু কেড়ে নিতে পারে না এবং অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গরিব হতে পারে, কিন্তু আমাদের আত্মসম্মান অনেক বেশি। কাজেই আমি আপনাদের (ভারত) জানাতে চাই যে, বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা দিতেই হবে।’
পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে রেলপথ নির্মাণ করে তাহলে দেশের জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
দিল্লির আগ্রাসন বাংলাদেশিরা মেনে নেবে না বলেও জানান তিনি। ফারুক বলেন, ‘আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিই।’
রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘এই সরকার লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের সরকার।’
আকস্মিক বন্যায় সিলেট অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে উল্লেখ করে ফারুক অভিযোগ করেন, সরকার একজন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য কিশোরগঞ্জ হাওর এলাকায় মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ করেছে, যা আজ বন্যা ও অসংখ্য মানুষের পানিবন্দি হওয়ার কারণ।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
৫৩১ দিন আগে
বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের আয়োজনে পথচারীদের মাঝে বোতলজাত পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এসআরএফবির সভাপতি ফারুক খান, সম্পাদক আফরিন জাহান
এ সময় অবিরাম তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় হিমশিম খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের প্রায়ই বলতেন, বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। তবে বিএনপি নয়, অস্তিত্বের এমন সংকটে পড়েছে আওয়ামী লীগ। দেশে বারবার একতরফা অবস্থান নিয়ে তারা এই সংকট নিজেরাই ডেকে এনেছে।’
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাহস না থাকায় আওয়ামী লীগ বারবার একতরফা নির্বাচনে ভোট ডাকাতির আশ্রয় নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তারা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না।’
প্রচণ্ড গরমে মানুষ যখন ভোগান্তিতে পড়ছে, তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘরে বসে শুধু উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কথা বলায় তার সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনের দিকে নজর না দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহের সময় জনগণের মধ্যে পানি বিতরণ করুন। আপনারা বারবার যে একতরফা নির্বাচন করে আসছেন তা জনগণ মেনে নেবে না।
পার্লামেন্টে বিরোধী দলের সাবেক চিফ হুইপ ফারুক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যে কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত তাকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখারও বিরোধিতা করেন তিনি। এমন তীব্র তাপপ্রবাহের সময় স্কুল খোলা রাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি দরিদ্র জনগণকে দুঃশাসনের হাত থেকে বাঁচাতে তাদের পদত্যাগের আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের মানুষ চরম কষ্ট সহ্য করছে।
আরও পড়ুন: দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি: ফারুক খান
আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
৫৮৩ দিন আগে
আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে জনগণের বন্ধু নয়, বব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বন্ধু বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
তিনি বলেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেলেও জনগণের খাদ্য অধিকার নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং অবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাত গভীর সংকটে: রিজভী
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ চায় না দেশের মানুষ পেট ভরে খাবার খাক। ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে কোনো পণ্য না থাকায় মানুষ তাদের উপার্জিত অর্থের সিংহভাগ খরচ করে একটি ডিম, এক কেজি চাল ও এক লিটার তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
আগামী ১২ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া পবিত্র রমজানে দরিদ্র জনগণকে কষ্টে ফেলতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিন্ডিকেট প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন মন্ত্রী খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়ে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছেন।
জয়নুল বলেন, 'আমরা জনগণের অধিকারের কথা বলছি, কারণ আমরা (বিএনপি) জনবান্ধব রাজনৈতিক দল। বিএনপি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে এবং কোনোভাবেই ক্ষমতা দখল করতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন,‘আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কিছুই করেনি, বরং তাদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য সবকিছু করেছে। তারা চায় না দেশের মানুষ সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বসবাস করুক।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ডামি নির্বাচন আয়োজন করেছে এবং বেশিরভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের, যারা বিপুল অর্থ ব্যয় করে আওয়ামী লীগকে সন্তুষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে আ. লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম
৬৩৭ দিন আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের খেসারত আ. লীগকে দিতে হবে: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘একতরফা’ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগকে খেসারত দিতে হবে।
শনিবার এক মানববন্ধনে তিনি একথা জানান।
বিএনপিকে অবমূল্যায়ন না করতে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দলটি যেকোনো সময় রাজপথে ফিরে আসতে পারে। কারণ দেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে বিএনপির।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন ফারুক খান
ফারুক বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি কীভাবে বলেন যে- ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে না আসার জন্য বিএনপিকে অনেক খেসারত দিতে হবে? উল্টো আমি বলতে চাই, এর মূল্য আপনাদেরই দিতে হবে। যুগ যুগ ধরে আপনাদের মাশুল দিতে হবে, কারণ আপনারা জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছেন।’
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দখল করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ফারুক বলেন, ‘গণতন্ত্র ধ্বংস করে আপনারা বাংলাদেশের ইতিহাসে যে কলঙ্ক লেপন করেছেন তার দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে। সুতরাং আপনাদের এর জন্য খেসারত দিতে হবে।’
সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সীমান্তে অব্যাহত গোলাগুলি চলছে এবং জনগণের সমর্থন ছাড়াই আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ যে কলঙ্ক লেপন করেছে তার জন্য জনগণের মুখোমুখি হওয়ার সময় খুবই নিকটে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারই ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে: বিএনপি নেতা ফারুক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম।
ফারুক অভিযোগ করেন, একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ‘পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবেই সরকার গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ বানচাল করে দেয় এবং ফখরুলসহ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করে সরকার।
তিনি সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। ‘অন্যথায় জনগণের ক্ষোভ উস্কে গেলে আপনারা শ্রীলঙ্কার চেয়েও ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন।’
ফারুক বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও হারানো অধিকার ফিরে না আসা পর্যন্ত তাদের দল জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে থাকবে।
আরও পড়ুন: হুমকি সত্ত্বেও বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে: জয়নুল আবেদিন ফারুক
৬৬৩ দিন আগে