উ. কোরিয়া
বিরোধী আন্দোলন ব্যর্থ হলে উ. কোরিয়ার মতো স্বৈরাচারী হতে পারে বাংলাদেশ: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যে, তাদের ১০ দফা আন্দোলন ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ উত্তর কোরিয়ার মতো কঠোর ‘কর্তৃত্ববাদী শাসকের’ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।
এক আলোচনা সভায় তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজস্ব বিধি-বিধান, সংবিধান প্রবর্তন করে রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অস্তিত্ব দেখতে চাই এবং এখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চাই কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের। অন্যথায়, এটি উত্তর কোরিয়ার মতো একটি সম্পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী শাসকের দেশে পরিণত হবে।’
তিনি বলেন, চলমান ১০ দফা আন্দোলন শুধু বিএনপি বা কোনো জোটের আন্দোলন নয়। ‘এই আন্দোলন দেশের ১৮ কোটি মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম, তাই একে সফল করতে রাজপথে নামি।’
ফখরুল বলেন, গত বছরের ২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে ইতোমধ্যে তাদের দলের ১৭ নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আরও বেশি মানুষকে সম্পৃক্ত করি।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ২৭ দফা প্রস্তাবের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে ১২-দলীয় জোট।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (এসসিবিএ) বার্ষিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি গুরুতর কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে এবং সরকার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের আদালতের কর্মকর্তা বলা হয়। যারা ওই আদালতে কাজ করেন বা বিচার ব্যবস্থায় সহযোগিতা করেন তাদের বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি ঐতিহ্য এবং সবাই একে সম্মান করে। কিন্তু ওই
নির্বাচনে গতকাল (বুধবার) যা ঘটেছে তা জাতি ও দেশের বিচার ব্যবস্থার জন্য সবচেয়ে কলঙ্কজনক ও কলঙ্কজনক ঘটনা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসসিবিএ নির্বাচন নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রকাশ হয়েছে যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। দেশে কোনো সরকার আছে কিনা আমারও সন্দেহ আছে।
আরও পড়ুন:যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির
বিএনপি নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবীদের পরিচালনায় সুষ্ঠু ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এসসিবিএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘কিন্তু তারা (আ.লীগ) গতকাল (বুধবার) এই ব্যবস্থা ভেঙ্গেছে। তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচনী ব্যবস্থাও ভেঙ্গেছে। এর মানে আওয়ামী লীগের এখন একমাত্র লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলোকে পুরোপুরি ভেঙ্গে ফেলা... তারা ইতোমধ্যেই এটা ভেঙ্গেছে। তারা নিজেদের নিয়ম-কানুন, সংবিধান প্রবর্তন করেছে।’
যমুনা নদীর প্রস্থ ১৫ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার করার পরিকল্পনার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘যমুনা নদী আমাদের দেশে হাজার বছর ধরে প্রবাহিত। নদীগুলো বন্যা ও জলাবদ্ধতার মতো সমস্যা সৃষ্টি করে…কিন্তু এই নদীকে সংকুচিত করার ধারণা এবং এ বিষয়ে ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পকে আপনি কীভাবে সমর্থন করবেন?
সরকার সম্পূর্ণ নির্লজ্জ হয়ে এ ধরনের প্রকল্প নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
ফখরুল আক্ষেপ করে বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী আওয়ামী লীগ ও তার সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান শাসনব্যবস্থার সমর্থনে কথা বলছেন। ‘তারা অত্যন্ত চাটুকারিতায় লিপ্ত হয়। আমরা কী ধরনের দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি (১৯৭১ সালে) তা ভেবে আমার খারাপ লাগে। এখন আমরা চিৎকার করছি যে আমরা এমন দেশ চাইনি।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সাম্য, জনগণের মর্যাদা এবং তাদের ভোটের অধিকার এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ‘অস্বাভাবিক চোর’: ফখরুল
বিএনপি নেতা আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ খুবই কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শরীরের রসায়নে সন্ত্রাস ও চুরি দুটি জিনিস আছে। ‘তারা জোর করে সবকিছু করতে চায় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে চুরি করতে চায়।’
ফখরুল অভিযোগ করেন, তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ গোয়েবলসের মতো বলেছেন, বিএনপি স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাইছে এবং অগ্নিসংযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ‘আপনিই (আ.লীগ) দেশে অগ্নিসংযোগের সূচনা করেছেন... আপনিই জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে ১৭৩ দিন হরতাল চালিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনেছিলেন।’
তিনি স্মরণ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের দাবিতে আওয়ামী লীগ হরতালে রাজধানীতে বারুদ দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছিল। ‘মানুষকে লগি ও বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিল। তারা (আ.লীগ) এখন বলছে এটা (তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা) কোনো সভ্য দেশে নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জরুরি। কারণ, এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা সভ্য নয়। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে।’
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়া মহড়ার পর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উ. কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়া শুক্রবার তার পূর্ব জলসীমার দিকে দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ যুদ্ধবিমান মহড়ার পর এটিই উ. কোরিয়ার সর্বশেষ শক্তি প্রদর্শন।
দ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনী শুক্রবার বিকাল ৪টা ৩২ মিনিটে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।
উত্তর কোরিয়া এই বছর অনেক বেশি সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ এটিকে ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা (উ. কোরিয়ার ওপর থেকে) তুলে নেয়ার জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের চাপ দেয়ার জন্য তার অস্ত্রের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।
সম্প্রতি উ. কোরিয়া তার প্রথম ‘গুপ্তচর উপগ্রহ’ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম আরও ভ্রম্যমাণ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বড় পরীক্ষাগুলো করার দাবি করেছে।
শুক্রবার, জাপান বলেছে যে তারা উত্তর কোরিয়ার অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
তবে উত্তর কোরিয়া ঠিক কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোরীয় উপদ্বীপ এবং জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় পড়ার আগে যথাক্রমে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) এবং ৩৫০ কিলোমিটার (২২০ মাইল) অতিক্রম করেছে।
জাপানের উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী তোশিরো ইনো বলেছেন যে জাপানের শনাক্ত করা ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) উচ্চতা দিয়ে ৩০০ কিলোমিটার (180 মাইল) পথ পাড়ি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটিতে একটি ‘অনিয়মিত’ আবিস্কার সম্পর্কে জানাতে পারে। এটি উ. কোরিয়ার ইল্লেখিত অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন পারমাণবিক সক্ষম কেএন-২৩ হতে পারে, যা রাশিয়ার ‘ইস্কান্দার’ ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে তৈরি করা হয়েছিল।
দ.কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এই উৎক্ষেপণকে ‘একটি গুরুতর উস্কানি’ বলে অভিহিত করেছে যা আন্তর্জাতিক শান্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
দ.কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে উ. কোরিয়ার পদক্ষেপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
ইনো উত্তর কোরিয়াকে বারবার অস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে উত্তেজনা বাড়ানোর ব্যাপারে অভিযুক্ত করেছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ গত মঙ্গলবার কোরীয় উপদ্বীপের কাছে মার্কিন-দ. কোরিয়ার বিমান সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু ব্যবহারের হুমকি কিমের
কারণ উ. কোরিয়া এর আগেও বলেছে যে গত মাসগুলোতে তার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম মূলত তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তার আগে করা সম্মিলিত মহড়ার সতর্কতা হিসাবে করা হয়েছিল।
যদিও ওয়াশিংটন ও সিউল বলেছে যে তাদের মহড়াগুলো প্রতিরক্ষামূলক প্রকৃতির, কিন্তু উত্তর কোরিয়া সেগুলোকে আক্রমণের অনুশীলন বলে অভিযুক্ত করে।
সর্বশেষ মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ পারমাণবিক-সক্ষম বোমারু বিমান এবং এফ-২২ স্টিলথ ফাইটার জেট এবং দ. কোরিয়ার অন্যান্য উন্নত যুদ্ধবিমান ড্র করা হয়েছে।
দ.কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, পারমাণবিকসহ সমস্ত সম্ভাব্য সামরিক সক্ষমতা নিয়ে তার এশিয়ান মিত্রকে রক্ষা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি বাড়ানোর বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির অংশ ছিল এই প্রশিক্ষণ।
দ.কোরিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, দ. কোরিয়ার বিমান বাহিনীর সঙ্গে এই সপ্তাহে আরও যৌথ মহড়ার জন্য এফ-২২ জেটগুলো দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকার কথা ছিল।
তারা আরও জানিয়েছে, কিন্তু মার্কিন বিমানগুরো অবশেষে আবহাওয়ার কারণে জাপানে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।
অন্যদিকে উ.কোরিয়া বলেছে যে সামরিক শক্তি শনাক্তকারী তার প্রথম উপগ্রহ স্থাপনের জন্য রবিবার ক্যামেরা ও অন্যান্য সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য উৎক্ষেপণ বাহন হিসেবে তার পুরানো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার পরে এই বিমান মহড়া করেছে তারা (মার্কিন-দ.কোরিয়া)।
উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া মহাকাশ থেকে দেখা দক্ষিণ কোরিয়ার শহরগুলোর কম-রেজোলিউশনের ছবিও প্রকাশ করেছে।
উ. প্রধান কিম ইয়ো জং দ. কোরিয়ার মূল্যায়নকে উপহাস করে বলেছেন, উ. কোরিয়ার এখনও জীবিত।
এর আগে দ. কোরিযা বলেছিল আইসিবিএম অর্জনে উ. কোরিয়ার এখনও প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
রাশিয়া অধিকৃত ডনবাসে শ্রমিক পাঠাতে পারে উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া যুদ্ধরত ইউক্রেনের রাশিয়া অধিকৃত ডনবাস অঞ্চলে পুনর্নির্মাণ কাজে সাহায্য করতে নির্মাণ শ্রমিক পাঠানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আগ্রহের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন রুশ কর্মকর্তা ও কূটনীতিকরা প্রকাশ্যে সমর্থন করছে।
তারা একটি সস্তা ও কঠোর পরিশ্রমী শ্রমিকবাহিনী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। এটিকে বলা যেতে পারে ‘সবচেয়ে কঠিন শর্ত’। উত্তর কোরিয়ায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে টার্মটি ব্যবহার করেন।
মস্কোতে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে দুটি রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলের দূতদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তার দেশের সংকটাপন্ন সীমানা নিয়ন্ত্রণ সহজীকরণের বিষয় টেনে তিনি শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশা ব্যক্ত করেন।
ওই আলাপকালে জুলাই মাসে রাশিয়া ও সিরিয়ার পর উত্তর কোরিয়া দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়।
ডনবাসে উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের কর্মসংস্থান স্পষ্টতই দেশটির পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর আরোপিত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা এবং এর পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক চাপকে আরও জটিল করে তুলবে।
আরও পড়ুন: ডনবাসে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় এমন এক সময় কর্মী পাঠাবে যখন যুদ্ধ চলমান থাকবে। ঠিক সেসময় যখন পশ্চিমাদের অস্ত্র সহায়তায় ইউক্রেন বড় আকারের রুশ সেনাদের প্রতিহত করবে।
তারা আরও মনে করছেন, ডসবাসে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিক পাঠানোর ফলে দেশটির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে এই যুদ্ধ। যে অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন নিষেধাজ্ঞা, সীমান্ত বন্ধ এবং কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনার কারণে ভেঙে পড়েছে।
শ্রম রপ্তানি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। এই জোট মূলত এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নির্মাণ সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই ডনবাসে যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্গঠনে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে এবং উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকরা এলে স্বাগত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে শপিং মলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা,নিহত ১৩
পারমাণবিক চুক্তি সম্মেলনে চূড়ান্ত নথিতে রাশিয়ার বাধা