বিবেচনা
মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো, মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইল ফোনসেটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিটিআরসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভোল্টি সক্ষম মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান চেয়ারম্যানের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যান নিহতের অভিযোগ
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা গ্রাহকের জন্য ৪জি প্রযুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে আগাতে চাই। তাদের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে চলতে চাই।
এছাড়া নিজস্ব প্রয়োজনীয়তার ঊর্ধ্বে থেকে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটরসহ খাত সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
ডাল্টন জহির এফবিসিসিআইয়ের সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত
৯ মাস আগে
গ্রাহক চাহিদা-সুবিধা বিবেচনায় গ্রামীণফোন নিয়ে এলো সহজ প্ল্যান
গ্রাহককেন্দ্রিক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের ডিজিটাল পার্টনার গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে সহজ ও সুবিধাজনক সব প্ল্যান।
গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণফোনের নতুন এ উদ্যোগ।
নানা ধরনের কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের এক নম্বর নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমৃদ্ধ সেবার অভিজ্ঞতা দিতে নতুন প্ল্যানগুলো ডিজাইন করা হয়েছে।
অবিরাম ডাটা বান্ডেলের সঙ্গে চরকি, হৈচৈ, লায়ন্সগেট, টি-স্পোর্টসসহ অন্যান্য জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সাবস্ক্রিপশন সুবিধাসহ বেশ কয়েকটি নতুন সাপ্তাহিক ও মাসিক ডাটা প্ল্যান এনেছে গ্রামীণফোন, যা বিনোদনের দিগন্তকে প্রসারিত করেছে।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ লাখ সুবিধাবঞ্চিত তরুণকে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ দিবে গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
সাপ্তাহিক ডাটা প্ল্যানে ৪০ জিবি পর্যন্ত এবং মাসিক ডাটা প্ল্যানে ২০০ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। সম্পূর্ণ ডাটা ভলিউম ব্যবহারের পর ক্রয় করা প্ল্যানের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৭ দিনের প্ল্যান এবং ৩০ দিনের প্ল্যান, উভয় প্ল্যানের ক্ষেত্রে ফেয়ার ইউসেজ পলিসি (২৫৬ কেবিপিএস) প্রযোজ্য হবে।
ব্যবহারবান্ধব ও ভ্যালু ফর মানি– এই প্ল্যানগুলো সহজেই কেনা যাবে। মাইজিপি, ফ্লেক্সিলোড, আইভিআর ও ইউএসএসডি– যেকোনো মাধ্যমে প্ল্যানগুলো কিনতে পারবেন গ্রাহকরা।
ডিজিটাল দুনিয়ায় নিশ্চিন্তে যুক্ত থাকার সুবিধা নিয়ে সাজানো ফিচার-প্যাকড এই প্ল্যানগুলো ঝামেলামুক্ত একটি সাইন-অন প্রক্রিয়ায় গ্রহণ করে উপভোগ করা যাবে।
এ ছাড়াও গ্রাহকরা এখন গ্রামীণফোনের কম্বো ও ডাটা প্ল্যানে অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন, যেখানে প্ল্যানের মেয়াদের মধ্যে পুনরায় ক্রয় করলে বোনাস ডাটা পাবেন তারা। তাছাড়া ডাটা প্ল্যানে অগ্রিম ক্রয়ের সুবিধাও উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রামীণফোন তার পোর্টফোলিওকে আরও সহজ করার পাশাপাশি প্রিমিয়াম অফারগুলো আরও বিস্তৃত করেছে। অত্যধিক সংখ্যক অপশনের মধ্য থেকে বিকল্প বেছে নেওয়ার ঝামেলা দূর করা হয়েছে।
এতে গ্রাহকের ইউসেজ জার্নির অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে আরও সহজ, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব। একইসঙ্গে গ্রাহকদের নিজ নিজ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সেবা বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বলেন, গ্রামীণফোনের সব কার্যক্রমেরই কেন্দ্রে থাকেন গ্রাহকরা। আর এটি বিবেচনায় নিয়ে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের জন্য সহজ, উদ্ভাবনী, সুবিধাজনক ও ব্যবহারবান্ধব সেবা প্রদানের চেষ্টা করে, যা তাদের পরিবর্তনশীল ও বৈচিত্র্যময় কানেক্টিভিটি চাহিদা পূরণ করছে। অবিরাম ডাটা প্ল্যানসহ সহজ নতুন প্ল্যানগুলো গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, আজকের গতিময় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি নতুন প্ল্যানগুলো গ্রামীণফোন গ্রাহকদের যেমন সবসময় রাখবে কানেক্টেড, তেমনি বিনোদনেরও সুযোগ করে দেবে। গ্রাহকরা মাসিক ডাটা ও কম্বো প্ল্যানগুলোর সঙ্গে ওটিটি সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে বিনোদনের জগৎ উপভোগ করতে পারবেন। গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে নতুন এসব প্ল্যান নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। এর লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে মানুষের ক্ষমতায়ন, যেখানে যোগাযোগ সক্ষমতা একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ২৬ কোটি টাকা দিলো গ্রামীণফোন
৯ মাস আগে
‘সব মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় রাখতে হবে’
বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে সব মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা, স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য প্রজেক্ট প্রিপারেশন অ্যান্ড অ্যাপ্রাইজাল সফটওয়্যারের প্রচলন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং প্রক্রিয়াকরণের পর অনুমোদনের নিমিত্ত পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো যাবে।
সোমবার (১ জানুয়ারি ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত 'প্রজেক্ট প্রিপারেশন অ্যান্ড অ্যাপ্রাইজাল সফটওয়্যার (পিপিএ)' বিষয়ক কর্মশালায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্যে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, পিপিএ সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের সময় সাশ্রয় হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণকালে প্রকল্পের অবস্থানও জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন, এর ফলে অনলাইনে প্রণয়ন করা প্রকল্পের একটি সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি হবে এবং অন্যান্য ডিজিটাল সার্ভিস ওই ডাটাবেজের সঙ্গে একত্রিত হবে ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এজন্য এ সফটওয়ার খুবই কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের এ সফটওয়্যার ব্যবহার করে যথাসময়ে এবং যথাযথভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
১০ মাস আগে
বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে সরকার সংলাপের বিষয়ে বিবেচনা করবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে তবেই সরকার সংলাপের বিষয়টি বিবেচনা করবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলছে যে- তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নির্বাচন কমিশন বাতিল চায়। বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে তবেই আমরা সংলাপের কথা ভাবব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
রবিবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন যে, ‘আমরা কোনো শর্তসাপেক্ষ সংলাপ নিয়ে মাথা ঘামাই না।’
এর আগে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘কর্যকরী সংলাপ’র আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল।
এনডিআই'র কো-চেয়ার কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ বলেন, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের অচলাবস্থা নিরসনের সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে কার্যকরী সংলাপ।’
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন দল) আমাদের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে (অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে) কোনো আলোচনা করেনি। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সাংবাদিকদের জানিয়েছি করেছি। সাংবাদিকরাও প্রশ্ন তোলেন। সংলাপের বিষয়ে তারা কিছু বলেননি। এখন তারা যদি মনে করে (সংলাপ প্রয়োজন) তাহলে সেটা তাদের ব্যাপার।’
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাব্য বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সংঘাতের পেছনে সরকার দায়ী নয়।’
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করব। বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই আমরা নির্বাচন করব।’
আরও পড়ুন: মৃত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নেই: ওবায়দুল কাদের
ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনাগুলো বিবেচনা করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার প্রয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) হালনাগাদ করার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
তিনি বলেন, ‘এ আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই বলেছেন। এটিকে যদি ভালো করা যায় তবে সেটাই করা হবে। এ আইন নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে আমরা সেগুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইনটি প্রণীত হয়েছে, আমরা এই লক্ষ্য ধরে রাখব।’
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা হচ্ছে। আমি একটি জিনিস বলতে পারি, আমরা চেষ্টা করছি সব পক্ষের কথা শোনার। সবকিছু যাচাই-বাছাইয়ের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে।
তিনি বলেন, আজকে দুটি আইন নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও উপাত্ত সুরক্ষা আইন। উপাত্ত সুরক্ষা আইনের একটি নতুন খসড়া ওয়েব সাইটে আজ আপলোড করা হয়েছে। আমরা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে এ বিষয়ে আগামী ৬ এপ্রিল আবার বসবো। সেখানে সেটা নিয়ে আলোচনা করবো।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথম বৈঠকের পরে যেসব পরামর্শ দেয়া হয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করা হয়েছে। আইনটিতে যেসব সমস্যার কথা বলা হয়েছে, তা অনেকটা দূর করা হয়েছে।
সভায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আজ দুটি আইন নিয়ে কথা হয়েছে। একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সেটি এরইমধ্যে বলবৎ আছে। এ আইনটির যেসব উদ্বেগের জায়গা নিয়ে কথা বলার ছিল, সেটি আমরা করেছি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া। এটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে আমরা আলোচনা করতে পারিনি।
তিনি জানান, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নতুন একটি খসড়া হয়েছে। যেটি আজকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে সরকারের উদ্যোগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান খসড়াটি হয়েছে। খসড়াটি যেহেতু আজ প্রকাশিত হয়েছে, তাই আমরা আগে এটি দেখতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে একটি কপি এসেছে। আমরা আইনমন্ত্রী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর (জুনাইদ আহমেদ পলক) সঙ্গে একমত হয়েছি যে আগামী ৬ এপ্রিল এ আইন নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। কারণ খসড়াটি নিয়ে নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন অংশীজনের কাছ থেকে পরামর্শ এসেছে।
তিনি বলেন, নতুন খসড়াটি আমরা ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। খসড়াটি পর্যালোচনা করার সুযোগ সরকার আমাদের দিয়েছে। আমরা আশাবাদী, আমাদের মন্তব্য ও পরামর্শ তারা বিবেচনা করবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে গণমাধ্যমসহ জনগণের একটি বড় অংশের উদ্বেগ রয়েছে জানিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মন্ত্রীও আলোচনা প্রসঙ্গে এ আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সরকার এ বিষয়ে অবহিত আছে। আমরা মনে করি সার্বিকভাবে নাগরিক সমাজের অবস্থান হলো এ আইনটি বাতিল করা দরকার। এছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। কারণ এখানে মৌলিক যে বিচ্যুতি, উদ্বেগ ও পাশাপাশি আইনটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপব্যবহারের যে সুযোগ করে দেয়া হয়েছে, আমরা মনে করি আইনটি ঢেলে সাজানো হলেও তা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। জনকল্যাণমুখী হবে না। তাই আমরা আইনটি বাতিল করা দরকার বলে মনে করি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, ড. সি আর আবরার, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রেজাউর রহমান লেনিন, সাইমুম রেজা তালুকদার, শারমিন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ছে: আইনমন্ত্রী
নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের চাপ নেই: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
বোরোতে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়ার বিবেচনা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
বোরো মৌসুমে ডিজেলে কৃষকদের ভর্তুকি দেয়ার বিষয়টি সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না হলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম না কমলে ডিজেলেও আমাদের কিছু একটা করতে হবে, যাতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমে। বর্তমানে ডিজেলের দাম অনেক বেশি। এতে বোরো মৌসুমে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। আমরা সারে যেমন ভর্তুকি দেই, তেমনি বোরোতে প্রয়োজনে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়া হবে। সরকার গভীরভাবে এ বিষয়টি বিবেচনা করছে।’
আরও পড়ুন: সারের দাম বেশি নিলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টার সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে 'খাদ্য নিরাপত্তায় ভূগর্ভস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক গবেষণা প্রকল্পের উপর কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন এর সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, অনাবৃষ্টির জন্য আমন রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। এখন বৃষ্টির মৌসুম, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী বৃষ্টি হওয়ার কথা, কিন্তু হচ্ছে না, এটাই আমাদের জন্যে কনসার্ন। প্রত্যেক দিনই আমরা ভাবছি বৃষ্টি হবে, কিন্তু হচ্ছে না। বৃষ্টি না হলে হয়তো আমনের উৎপাদন কম হবে। অন্যদিকে আমনের টাকা দিয়ে কৃষকেরা অনেক সময় বোরোতে বিনিয়োগ করে। সার, ডিজেল কিনে ও সেচ খরচসহ অন্যান্য খরচ মেটায়। কাজেই, বৃষ্টি না হওয়ার জন্য আমন উৎপাদন ব্যাহত হলে কৃষকের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন: আমাদের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিশ্চয়ই আছে: কৃষিমন্ত্রী
খাদ্য নিরাপত্তায় ‘টেকসই সেচ ব্যবস্থাপনা’ গড়ে তুলতে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা ভূগর্ভস্থ ও ভূউপরিস্থ পানির টেকসই ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছি। একদিকে সেচকাজে ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে কাজ চলছে, অন্যদিকে বারিড পাইপ (ভূগর্ভস্থ পাইপ) ব্যবহার করে সেচদক্ষতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার নাদরিয়া সিম্পসন। গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন সিএসআইআরও বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন আইডব্লিউএমের নির্বাহী পরিচালক আবু সালেহ খান। এসময় ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুর রশিদসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: জিয়া দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল: কৃষিমন্ত্রী
২ বছর আগে