পর্যালোচনা
নরসিংদী জেলা কারাগারের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে: তদন্ত কমিটির প্রধান
নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং তদন্ত কমিটির প্রধান ফারুক আহমেদ বলেন, নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার দিন যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
রবিবার তদন্ত কমিটির প্রধান ফারুক আহমেদসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নরসিংদীর জেল পলাতক জঙ্গি নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন হলে আরও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।
এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কারাগারটি ঘুরে দেখেন এবং প্রত্যক্ষদর্শী, কারা-কর্মকর্তা ও রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এসময় ফারুক আহমেদের সঙ্গে ছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ, জেল সুপার শামীম ইকবালসহ অন্যানরা।
এদিকে রবিবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল হওয়ায় স্বাভাবিক হচ্ছে নরসিংদীর লোকজনের চলাফেরা। অফিস আদালত খোলার দিনে নরসিংদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং গণপরিবহনের আধিক্য লক্ষ করা গেছে। শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তায় স্থাপন করা হয়েছে বিজিবি ক্যাম্প।
আরও পড়ুন: ‘শিগগিরই নরসিংদী কারাগার সংস্কার করা হবে’
নরসিংদীতে সহিংসতায় ১১ মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ১৮৪: পুলিশ সুপার
৪ মাস আগে
ড. ইউনূসের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করতে পিটার হাসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের প্ল্যাটফর্ম
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঘিরে আইনি জটিলতা নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশি-আমেরিকানদের অলাভজনক প্ল্যাটফর্ম কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ড. ইউনূসের কর্মচারীরা বেআইনিভাবে বকেয়া অর্থ আটকে রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়, ‘নিম্ন আদালত দেখেছে ড. ইউনূস নিজের করও পরিশোধ করছেন না। তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ড. ইউনূস এখনও তার পরিণতির জন্য শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করেন।’
প্ল্যাটফর্মটি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে তাদের মতামত উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ করেছে। সিনেটর হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিটিক্যাল ডেস্ককেও এই বার্তা পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে দাবি করা হয়, ড. ইউনূস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থনের সুবিধাভোগী। এতে উল্লেখ করা হয়, তার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি এবং গ্রামীণ ফোন ও গ্রামীণ ব্যাংকের মতো অন্যান্য উদ্যোগের লাইসেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দিয়েছে। এর প্রাথমিক মূলধনের জন্য ৫০০ কোটি টাকাও দিয়েছে।
কমিটি ফর এ ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের প্লাটফর্মটির পক্ষে চিঠিতে আহ্বায়ক খালিদ হাসান লিখেছেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূসের অত্যধিক শক্তিশালী আমেরিকান লবি দেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অভিভূত হয়েছিলেন। আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল উদ্যোগের জাতিসংঘের নিরীক্ষা চাওয়া উচিত। শেখ হাসিনাকে হত্যার ৪৩টি প্রচেষ্টার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সিআইএকে অবশ্যই জানতে হবে।’আরও পড়ুন: পিটার হাসকে হুমকি: আ.লীগ নেতাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
চিঠিতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো গ্রেনেড হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমান বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন পরবর্তী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংগঠকদের সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র ও বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছেন।’
ওই হামলায় আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ৩১ জন নিহত হন। বেঁচে যাওয়া বেশিরভাগই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতেই এ হামলা চালানো হয়েছিল।
চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপের অভাব এবং হামলার বিষয়ে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নীরবতার সমালোচনা করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘দুঃখজনকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তারা বিএনপি সরকারের পদত্যাগ চায়নি। বিস্ময়কর ছিল শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের নীরবতাও। তিনি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার নিন্দা করেননি, নিহতের পরিবার বা দলকেও সান্ত্বনা দেননি।’
কমিটি জোর দিয়ে বলেছে, জাতীয় উন্নয়ন ও আইনি সংস্কারের জন্য শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ২০০ বছর আগে আমেরিকার স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের সঙ্গে তুলনাযোগ্য।
চিঠির শেষ অংশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশকে অবশ্যই তার 'মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ' প্রকাশ করতে হবে এবং ইসলামী মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরতে হবে। শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে এই নীতি অনুসরণ করছেন। আমাদের অবশ্যই তাকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব: পিটার হাস
৫ মাস আগে
সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
সরকার দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেবলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সোমবার সংসদে তিনি বলেন, 'প্রাথমিক লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।’
কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের অর্থনীতির সার্বিক চিত্র পরিষ্কার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
সোহরাব উদ্দিন বলেন, ডলার সংকট ও মানি লন্ডারিংয়ের কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত।
আরও পড়ুন: নতুন সংসদের দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করা নিয়ে শঙ্কা জিএম কাদেরের
তিনি বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের কারণে অর্থের সংকট মোকাবিলায় বৈধকরণের জন্য অপ্রদর্শিত অর্থের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন।
অতীতেও বিশেষ ব্যবস্থায় এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোহরাব উদ্দিন জানতে চান, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও ডলার সংকট দূর করতে সরকার অতিরিক্ত কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধ করার সুযোগ দেবে কি না।
স্বতন্ত্র এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তবে তা কালো টাকা নয়, বৈধ ও অঘোষিত আয়।’
জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।
তিনি বলেন, ‘শুধু কালো টাকাই নয়, গোটা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখার পর মনে হচ্ছে আমরা উন্নতির দিকে এগোচ্ছি। আরও কয়েকদিন পর পুরো একটা ছবি পাব। ততদিন পর্যন্ত দয়া করে ধৈর্য ধরুন।’
কুষ্টিয়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুর রউফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আলী জানান, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ৩৬ লাখ ৬২ হাজার মানুষ আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
আরেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হুছামউদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, সারাদেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ৯৯ লাখ ৭০ হাজার।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ৩৬ লাখ ৬২ হাজার রিটার্ন জমা দেওয়া হয়েছে এবং ৫ হাজার ৯০১ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে।’
স্বতন্ত্র সদস্য সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ আলী বলেন, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রায় ৫৬টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
তার অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের এমন পদক্ষেপের ফলে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, জুনে ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ সময় রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। স্ট্যাম্প ডিউটি থেকে আদায় হয়েছে ১৬২৬ কোটি টাকা। ঘাটতি ২৩ হাজার ২২৭ কোটি টাকা।’
চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে জাপান সরকার ২০২৩ সালে ৩৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, আয়কর রিটার্ন প্রক্রিয়া সহজ করতে নতুন রিটার্ন ফরম ও এক পৃষ্ঠার রিটার্ন ফরম চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজ করতে টিআরপি (ট্যাক্স রিটার্ন প্রস্তুতকারী) প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদে শুধু নির্লজ্জরাই বসতে পারে: গয়েশ্বর
চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
১০ মাস আগে
পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরও পর্যালোচনার জন্য নীতিনির্ধারকদের কাছে সুপারিশ করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সট বুক বোর্ডে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এ বিষয়ে শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা থেকে তথ্য সংগ্রহের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক ড. তারিক আহসান প্রমুখ ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
নির্বাচনকালীন সময়ে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের আহবান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
বিদেশি সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো নিয়মিত পর্যালোচনা করবে সরকার
বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর যথাযথ ও সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সরকার নিয়মিতভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি দুই মাস পর পর বিদেশি অর্থায়নে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে তার মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের তৃতীয় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কমিটি গঠন করেন। নয় বছর পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে পরিকল্পনা কমিশনের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সহায়তাপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর অর্থ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে যথাযথভাবে ব্যয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছেন, যারা প্রতি দুই মাস পর পর বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন ও সময়মতো বৈদেশিক তহবিল বিতরণের ক্ষেত্রে এ জাতীয় প্রকল্পগুলোর সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করবেন।’
পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণ না করে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়।
পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম বলেন, যথাযথ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সকল সদস্যের সমন্বয়ে একটি প্রকল্প যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের জন্য সভায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল প্রকল্প নির্বাচন ও যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে এই জাতীয় অনুশীলন। এরপর এ প্রস্তাবে সম্মতি দেন তিনি।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি প্রকল্প গ্রহণের আগে যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অন্যথায় প্রকল্পটি থমকে যাবে এবং ব্যয় ও সময় অতিক্রম করবে।
সালাম বলেন, সভায় প্রকল্প পরিচালকদের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বা পুল গঠনের বিষয়ে আলোচনা করা হয় এবং প্রকল্পগুলোর সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রকল্প পরিচালকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে মন্ত্রিসভার অভিনন্দন
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট চুক্তি অনুযায়ী বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা সচিব বলেন, বৈঠকে সরকারের সার্বিক সরকারি বিনিয়োগ চিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জিডিপির অনুপাতে সরকারি বিনিয়োগের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১১ সালে ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকার পর্যায়ক্রমে এ ধরনের সরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
কোনো উন্নয়ন সহযোগীর সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধের কোনো সুযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী সেই সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এমন কাজ করে, তাহলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। দেশে এখন নির্বাচিত সরকার আছে, কেউ আমাদের উপর কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। উন্নয়ন সহযোগীরা আমাদের বিনা সুদে ঋণ দিচ্ছে না, বরং তারা মূল টাকার পাশাপাশি সুদ পাবে। উন্নয়ন সহযোগী ও সরকার উভয়ই চায় প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে।’
সালাম বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এছাড়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির অভিনন্দন
১০ মাস আগে
‘শরিফার গল্প’ পর্যালোচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্যের কমিটি
নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা ভিন্নতা বিষয়ে ‘শরিফা’র গল্প নিয়ে উদ্ভূত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে আরও গভীরভাবে পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) সহায়তা করার জন্য পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: সংশোধিত শ্রম আইন আগামী অধিবেশনে পাস হবে: আইনমন্ত্রী
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবির সদস্য মশিউজ্জামান, ঢাকা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের পরিচালক মো. আবদুল হালিম।
আরও পড়ুন: ৬ প্রকল্পে চীনের কাছে এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ: পলক
ময়মনসিংহ-কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচন ৯ মার্চ: ইসি
১০ মাস আগে
জেনেভায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সোমবার
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির আওতায় সোমবার (১৩ নভেম্বর) চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধারাবাহিকভাবে চতুর্থবার ইউপিআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ইউপিআর সভায় অংশ নিতে জেনেভায় রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিগত চার বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরাসহ এ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতি চার বছর পরপর ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিগত চার বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।পর্যালোচনায় বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে মানবাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশ্ন ও সুপারিশ করে।
এর আগে বাংলাদেশ ২০০৯ সালে প্রথমবার, ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে তৃতীয়বার ইউপিআর-এ অংশ নিয়েছিল।
মূলত তিনটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এ পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
যথা-
(ক) সরকার দেওয়া জাতীয় প্রতিবেদন।
(খ) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলোর দেওয়া প্রতিবেদন এবং
(গ) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন।
আরও পড়ুন: জেনেভা থেকে বিমান বাংলাদেশের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী
৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
বাংলাদেশকে দেওয়া ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে দেশের সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল।
আইএমএফ ঋণের একটি শর্ত ছিল যে গত জুন পর্যন্ত প্রকৃত (নিট) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থাকতে হবে।
শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ওই পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখতে পারেনি।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সফররত আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ
আলোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রগতি, সাফল্য ও বিভিন্ন শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথা উঠে আসে। রিজার্ভের শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথাও বৈঠকে জানানো হয়।
আইএমএফ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবে। আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, তারল্য ব্যবস্থাপনা, ডলারের বাজারদরের লেনদেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণ, ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি, সুদের হার এবং মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করবে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে বিবি আইএমএফকে জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ শর্ত পূরণ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ঋণ অনুমোদনের সময় আইএমএফ আমাদের কিছু শর্ত দিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে কিছু পূরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
দু’টি ব্যর্থতা আছে - রিজার্ভ সংরক্ষণ সামান্য কম এবং রাজস্ব সংগ্রহ কম। তবে অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শর্ত অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ গণনা করা হচ্ছে। মুদ্রার একটি বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হারও চালু করা হয়েছে। সুদের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।
মেজবাউল বলেন, ‘আমি আইএমএফের দেওয়া শর্তাবলি উল্লেখ করেছি যা অর্জন করা হয়েছে এবং যেগুলো অর্জিত হয়নি। কেন হয়নি তাও জানানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
১ বছর আগে
মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে র্যাবের সংস্কার শুরু হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিষয়ে মার্কিন প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সংস্কার শুরু করা যেতে পারে।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যে সংস্কারের কথা বলেন- আমরা সব সময় করে যাচ্ছি। আমরা সবকিছু আধুনিকায়ন করছি। যা করা দরকার আমরা তা করছি।’
‘র্যাব একটি বিশেষ বাহিনী; আমরা মাঝে মাঝে তাদের বিশেষ কাজ দেই। র্যাব তার নীতি অনুযায়ী কাজ করে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক, পুলিশ ও আমাদের মতো বিত্তবানরাও মাদক সাপ্লাই করেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলে র্যাব বা পুলিশ কেউই রেহাই পায় না। ‘অনেক পুলিশ ও র্যাব সদস্য কারাগারে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন প্রতিবেদনের ওপর নজর রাখছি। কোনো ভুল থাকলে অবশ্যই দেখব।’
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জবাবদিহিতা ও সংস্কার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে শনিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদ্য-নিযুক্ত মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গিবাদ ও গুরুতর অপরাধ মোকাবিলায় কৃতিত্ব অর্জনকারী বিশেষ বাহিনী র্যাবের সংস্কারের প্রশ্নই আসে না।
ধানমন্ডি-৩২-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এমন কিছু করছি না যার জন্য সংস্কার প্রয়োজন। আমরা আমাদের জন্য নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি। আমরা আইন লঙ্ঘন করে কিছু করি না। সেক্ষেত্রে সংস্কারের প্রশ্নই আসে না’।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং সরকার সরকারি পর্যায়ে এর জবাব দেয়া হয়েছে এটা (আমাদের জন্য) কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। বিশেষ বাহিনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক মোকাবিলা করে তাদের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
জোরপূর্বক গুম: জাতিসংঘ ২১ দেশের ৬৯৬ মামলা পর্যালোচনা করবে
জাতিসংঘের জোরপূর্বক বা অনিচ্ছাকৃত গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ ২১টি দেশের ৬৯৬টি মামলা পর্যালোচনা করার জন্য ১২৮তম অধিবেশন বসবে ১৯-২৮ সেপ্টেম্বর।
পাঁচটি স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞের দল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত জোরপূর্বক গুম সম্পর্কে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করবে এবং এগুলো নথিভুক্ত করবে৷
বিশেষজ্ঞরা জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন, রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে পৃথক ঘটনা ও কাঠামোগত বিষয় এবং জোরপূর্বক গুম সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে তথ্য বিনিময়ের জন্য বৈঠক করবেন।
এই দলের সদস্যরা ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গঠিত ‘জোরপূর্বক গুম বিষয়ক কমিটি’র সঙ্গে বার্ষিক যৌথ সভা করবেন।
আরও পড়ুন: দেশে গুম নেই, স্বাধীনতায় বিধিনিষেধ নেই: ব্যাচলেটকে বললেন মোমেন
অধিবেশন চলাকালীন বিশেষজ্ঞরা জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা সংক্রান্ত ঘোষণার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ পাওয়া গেছে সেগুলো পরীক্ষা করবেন। যেমন প্রত্যাবর্তনমূলক আইন ও অনুশীলন, বা বলপূর্বক গুমের ঘটনাগুলো মোকাবিলায় পদ্ধতিগত ব্যর্থতা; বিশেষত সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে।
তারা অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় ও ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করবে। যেমন: নির্দিষ্ট দেশসমূহ পরিদর্শন এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে নতুন প্রযুক্তি ও জোরপূর্বক গুম নিয়ে তাদের করা গবেষণা প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাচেলেটে সঙ্গে সাক্ষাতের পর ‘গুম’ নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫১তম অধিবেশনে তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের সঙ্গে এই গ্রুপের অধিবেশনও হবে।
১২৮তম অধিবেশন চলাকালীন ওয়ার্কিং গ্রুপের সিদ্ধান্তগুলো এর পরবর্তী পোস্ট সেশনাল রিপোর্টে প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের সতর্কতা: ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে
২ বছর আগে