অবসর
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) সচিব মো. আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আব্দুস সবুর মন্ডলের চাকরি কাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়ার প্রয়োজন বলে বিবেচনা করেছে। তাই 'সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮' এর ৪৫ ধারায় দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার তাকে অবসর দিয়েছে।
তিনি বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
আব্দুর সবুর মন্ডল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ পদোন্নতি ও প্রেষণ এপিডি অণু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থাকা কর্মকর্তাদের ওএসডি ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
২ সপ্তাহ আগে
কুয়েটের সাবেক ভিসির অবসর গ্রহণের আবেদন, ৯ কর্মকর্তা বরখাস্ত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের আবেদন করেছেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার।
এদিকে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রো-ভিসি, দুইজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ, জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকলকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এই তালিকায় রয়েছেন কুয়েটের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী দোলন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিবাশীষ মন্ডল, জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পোটলার জি এম আবু সাইদ, সহকারী প্রোগ্রামার ওমর ফারুক, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান রাজন এবং পিয়ন সত্যজিৎ কুমার দত্ত। এই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
কুয়েটের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ২০০৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে উপাচার্যের নির্দেশে অনেকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে উপাচার্যের দপ্তরে।
অভিযোগগুলোর তদন্ত করতে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়াকে সভাপতি এবং রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্তের সাপেক্ষে গত ২১ নভেম্বরের সিন্ডিকেট সভায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করে কমিটি। এরপর সিন্ডিকেটের সভার অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে কুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. শিবেন্দ শেখর শিকদার গত ২৪ নভেম্বর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ
২ সপ্তাহ আগে
টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরে ইমরুল কায়েস
টেস্ট ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস। সোমবার(১৮ নভেম্বর) এই ঘোষণা দেন তিনি।
টেস্ট ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ১৭ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারের আবেগময় সমাপ্তি টানার ঘোষণা দিয়েছেন ইমরুল।
তবে কিছুদিন আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমরুল।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। ১৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানবো। এটা আমার জীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং ও আবেগঘন মুহূর্ত।’
আরও পড়ুন: বিপিএলের সূচি প্রকাশ
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৩৯ টেস্ট খেলে তিনটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটি করা ইমরুল তার কৃতজ্ঞতা ও গর্ব প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৬ সালে যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়, কখনো ভাবিনি বাংলাদেশের হয়ে ৩৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলব। একটা টেস্ট হোক বা পঞ্চাশে, দেশের প্রতিনিধিত্ব করা অনেক বড় সম্মানের। আমি আমার সেরাটা দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছি, হয় ব্যাট হাতে নিয়ে কিংবা কিপার হিসেবে।’
ইমরুলের টেস্ট ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি মাইলফলক রয়েছে, যার মধ্যে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে তামিম ইকবালের সঙ্গে রেকর্ড ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটি রয়েছে।
তিনি বলেন, দেড়শ’র ওই ইনিংসটি আমার কাছে চিরকাল বিশেষ স্মৃতি হয়ে থাকবে।
নিজের অবদানে গর্ববোধ করলেও ইমরুল কিছু অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে ক্যারিয়ারে বড় কোনো ট্রফি জিততে না পারা।
তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান, তামিম, মাশরাফি, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাইয়ের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন খেললেও আমরা বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ট্রফি জিততে পারিনি। এশিয়া কাপ বা নিদাহাস ট্রফির মতো কিছু জিততে পারলে আমার ক্যারিয়ার আরও পরিপূর্ণ হতো।’
ইমরুল আরও বলেন, ‘ওই জয়ের পর যে উদযাপন করা হয়েছিল, তা ছিল অবিস্মরণীয়। সেই রাতে ভক্তদের কাছ থেকে আমরা যে ভালবাসা এবং সমর্থন পেয়েছিলাম তা এখনও আমাকে শিহরিত করে। এটা প্রমাণ করে আমাদের দেশে ক্রিকেটকে কতটা গভীরভাবে ভালোবাসে।’
আরও পড়ুন: ভারতের বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পিসিবি
১ মাস আগে
অবসর নিয়ে আরও স্পষ্ট বার্তা রোনালদোর
অবসর নিয়ে কিছুদিন আগেই নিজের ভাবনা জানিয়েছেন পর্তুগিজ ফুটবল সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এবার সেটি আরও স্পষ্ট করেছেন তিনি।
৩৯ পেরিয়ে ৪০-এ পা দিতে আর বেশিদিন দেরি নেই। এই বয়সেও দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছেন রোনালদো। গতরাতে নেশন্স লিগে পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে হারানোর ম্যাচেও জোড়া গোল পেয়েছেন তিনি। তার দ্বিতীয় ও পর্তুগালের পঞ্চম গোলটি আসে দৃষ্টিনন্দন এক বাইসাইকেল কিক থেকে।
এর ফলে জাতীয় দলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের (১৩২টি) রেকর্ড এখন রোনালদোর। এই রেকর্ড গড়ার পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন তারই সাবেক ক্লাব সতীর্থ সের্হিও রামোসকে। ২০২১ সালে স্পেনের জার্সিতে বিদায় নেওয়ার আগে ১৩১ ম্যাচ জেতেন এই রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি।
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি বয়সে জোড়া গোল করার রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে তার গোলসংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫টিতে।
নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের ১ নম্বর গ্রুপের পাঁচ ম্যাচে চার জয় ও একটি ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ইতোমধ্যে কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। একইসঙ্গে ৫ গোল নিয়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতাও পর্তুগিজ মহাতরকা। অবশ্য সমান সংখ্যক গোল নিয়ে স্লোভেনিয়ার বেনিয়ামিন শেশকোও তার পাশে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
এই ম্যাচের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবারও অবসরের প্রসঙ্গটি উঠে আসে।
তার কথায়, ‘এখন শুধু (খেলা) উপভোগ করতে চাই। অবসর নিয়ে পরিকল্পনা বলতে… যদি নিতে হয় তো আগামী বছর দুয়েকের মধ্যেই নিয়ে নেব।’
‘আসলে কী হবে জানি না। ৪০-এ পড়তে যাচ্ছি…. এখন যতদিন পারি ফুটবল উপভোগ করতে চাই। তবে যতক্ষণ খেলার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি, চালিয়ে যেতে থাকব। যখন দেখব ভেতর থেকে আর (খেলার) তাড়না পাচ্ছি না, অবসর নিয়ে নেব।’
তবে খেলা ছাড়ার পর সত্যিই যে ফুটবলের সঙ্গে আর থাকার ইচ্ছা নেই, সে কথাও উল্লেখ করতে ভুললেন না আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪০-এ পা দিতে চলা এই স্কোরিং মেশিন।
‘জাতীয় দল ছাড়ার সিদ্ধান্তটি অবশ্যই ভেবেচিন্তে নেব। তারপর ম্যানেজার হিসেবে আর (ফুটবলে) ক্যারিয়ার শুরু করার পরিকল্পনা নেই। যদিও সময় অনেক কিছু পাল্টে দেয়, তবে এখন পর্যন্ত ফুটবলের বাইরে কিছু করার পরিকল্পনাই রয়েছে আমার।’
কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে রোনালদোকে বিশ্রাম দেওয়া হব বলে জানিয়ে দিয়েছেন কোচ রবের্তো মার্তিনেস।
ক্লাবের হয়েও চলতি মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়েছে রোনালদোর। আল-নাসরের হয়ে ১৫ ম্যাচে ১০ গোলের পাশাপাশি তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
১ মাস আগে
৩১ বছরেই বিদায় বলে দিলেন ভারান
চোটের সঙ্গে লড়াই করতে করতে এবার থেমেই গেলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার রাফায়েল ভারান। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছিলেন আগেই, এবার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার থেকেও ছুটি নিয়ে নিলেন ৩১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে অবসরের ঘোষণা দেন এক যুগের বেশি সময় ধরে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে আলো ছড়ানোর পর সম্প্রতি ইতালির ক্লাব কোমোয় যোগ দেওয়া এই ফুটবলার।
তিন মৌসুম খেলার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে এ বছরের জুলাইয়ে ইতালিতে পাড়ি জমান ভারান। সদ্য সেরি-আয় উঠে আসা সেস্ক ফাব্রিগাসের ক্লাব কোমোয় যোগ দেন তিনি। কিন্তু ক্লাবটির হয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই চোটের কবলে পড়েন তিনি।
১১ আগস্ট কোপা ইতালিয়ায় সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২৩ মিনিট খেলেই মাঠ ছাড়তে হয় তার। এরপর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছেন ভারান। গতরাতে আতালান্তার মতো বড় দলকে হারিয়ে সেরি-আয় প্রথম ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেয়েছে তার দল। অথচ, এই ম্যাচেও তিনি দর্শক হয়ে ছিলেন।
এরপর গতরাতেই জানা যায়, অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ক্যারিয়ারে অসংখ্য ট্রফি জেতা এই ফুটবলার, আর সকাল হতেই সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে এবার ইতালিতে পাড়ি জমালেন ভারান
ইনস্টাগ্রামে ভারান লিখেছেন, ‘(ফুটবল ক্যারিয়ারে) আমি নিজের সর্বোচ্চ মান ধরে রেখেছি। প্রতিবার মাঠে নামলে আমি শক্তভাবেই নামতে চাই, খেলার জন্য জোর করে আমি (ফুটবল) আঁকড়ে থাকতে চাই না। নিজের হৃদয় ও অনুভূতি যা বলছে, তা শোনার জন্য অসামান্য সাহসের প্রয়োজন হয়।’
২০১০ সালে ফরাসি ক্লাব লঁসের জার্সিতে পেশাদার ফুটবলে প্রথম মাঠে নামেন ভারান। সেখানে এক বছর কাটানোর পর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে নিয়ে আসে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াল মাদ্রিদের মতো এলিট ক্লাবে পা রাখতেই নিজেকে মেলে ধরা শুরু করেন ভারান। দীর্ঘ ১০ বছর ক্লাবটির জার্সিতে তিনি খেলেছেন ৩৬০ ম্যাচ। এ সময়ে জিতেছেন চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ ও তিনটি লা লিগাসহ মোট ১৮টি শিরোপা। এরপর ২০২১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান তিনি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি পরে খেলেন তিন বছর। অবশ্য ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কাটানো সময়টা খুব বেশি সাফল্যমণ্ডিত হয়নি এই ফুটবলারের।
২০২৪ সালের এফএ কাপের ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে তিনি ইংলিশ ফুটবল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটান। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ গোল জিতে এফএ কাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার পর কোমোয় যোগ দেন ভারান। বিদায়ী বার্তায় ওই ট্রফিটিরই স্মৃতিচারণ করলেন তিনি।
‘ক্যারিয়ারে আমি অসংখ্যবার পড়েছি, আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছি। তবে এবার মনে হয়েছে, থেমে যাওয়ার এখনই সময়। ওয়েম্বলিতে শেষ ম্যাচে ট্রফি জয়ের স্মৃতি নিয়ে বুটজোড়া তুলে রাখার এটাই সঠিক সময়।’
ক্যারিয়ারে কোনো অনুশোচনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, নিজের খেলোয়াড়ি জীবন নিয়ে গর্ববোধ হয় তার।
‘আমার কোনো অনুশোচনা নেই। আমি কোনো কিছুরই পরিবর্তন চাই না। (ক্যারিয়ারে) এত ট্রফি জিতেছি যা আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে নিজের নীতিতে অটল থাকতে পারায় আমি গর্ববোধ করি। যেখানে যা পেয়েছি, আন্তরিকতা দিয়ে তা আরও ভালো করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সবাইকে গর্বিত করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার ভারানের। ২০১৩ সালে ফ্রান্সের হয়ে অভিষেকের পর ক্রমেই জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৮ সালে জেতেন বিশ্বকাপ। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে ফ্রান্সের উয়েফা নেশন্স লিগজয়ী দলেও ছিলেন তিনি। পরে ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার কাছে গিয়েও ছোঁয়া হয়নি এই ডিফোন্ডারের।
এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান। এর সাত মাস না পেরোতেই ফুটবল থেকেই বিদায় নিয়ে নিলেন ভারান।
তবে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরে গেলেও এখনই ফুটবল ছাড়ছেন না তিনি। কোমোয় মাঠের বাইরে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। তবে সেটা ঠিক কী, তা এখনই স্পষ্ট করেননি ভারান।
এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘মাঠের বাইরে নতুন জীবন শুরু হচ্ছে। কোমোর সঙ্গেই থাকছি, তবে শুধু বুট আর শিন প্যাড পরা হবে না আর। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানাব।’
আরও পড়ুন: এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
২ মাস আগে
নিজের ‘এক্সপায়ার ডেট’ দেখতে পাচ্ছেন না আনচেলত্তি
বয়স ছাড়িয়েছে ৬৫ বছর, এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক সফলতা পেয়ে চলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। বয়স বাড়লেও কোচিং থেকে এখনই অবসরে যাওয়ার কথা ভাবছেন না এই ইতালিয়ান।
মঙ্গবার রাতে লা লিগায় সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আলাভেসকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটির মাধ্যমে ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচ কোচিংয়ের মাইলফলক স্পর্শ করবেন আনচেলত্তি।
এই ম্যাচের আগে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন রিয়াল মাদ্রিদ বস। সেখানে সাংবাদিকরা তার অবসরে যাওয়ার প্রসঙ্গটি তুললে বিষটি স্পষ্ট করেন তিনি। অবসরের প্রশ্নে মাদ্রিদে আরও অনেক বছর থেকে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: ভালো খেলার চেয়ে ম্যাচ জেতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ: আনচেলত্তি
তার ভাষ্য, ‘এই কাজটি আমি ভালোবাসি, তাই (নিজের) ভবিষ্যত নিয়ে এখনই কিছু ভাবতে চাই না। ক্যারিয়ারে বেশকিছু বড় বড় ক্লাবের কোচ হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। বিশ্বের সেরা ক্লাবে (রিয়াল মাদ্রিদ) আমি ৩০০তম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছি। এই ডাগআউটে বসে এমন অর্জন সত্যিই বিশেষ কিছু, অলৌকিক বিষয়ের চেয়ে এটি কম কিছু নয়।’
‘খেলোয়াড়দের ক্লান্তির সঙ্গে আমার ক্লান্তির তুলনা করবেন না। হ্যাঁ, প্রেসার (চাপ) আছে সত্যি, তবে আমি তা উপভোগ করি। এই মুহূর্তে আমি নিজের কোনো এক্সপায়ার ডেট (কোচ হিসেবে) দেখছি না। আসন্ন আরও অনেক বছর আমি এখানেই থাকতে চাই।’
কার্লো আনচেলত্তির তত্ত্বাবধায়নে গত মৌসুমে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই মৌসুম থেকে এখন পর্যন্ত লা লিগায় টানা ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
গত মৌসুমে মাত্র দুটি ম্যাচ হেরেছিল রিয়াল, দুটিই তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। ৩-১ ব্যবধানে প্রথমবার তারা হারে লা লিগায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় ম্যাচটি কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ হেরেছিল ৪-২ ব্যবধানে।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
টানা ৩৮ ম্যাচ জিতে লা লিগায় টানা সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তের রয়েছে আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৪৩ ম্যাচ জিতে এই রেকর্ড এখন বার্সেলোনার। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে পরের বছরের মে মাসের মধ্যে কোচ লুইস এনরিকে ও এর্নেস্তো ভালভার্দের তত্ত্বাবধায়নে ওই রেকর্ড গড়ে কাতালান জায়ান্টরা।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আগামী ২৭ অক্টোবর বার্সেলোনার বিপক্ষেই ওই রেকর্ড স্পর্শ করার সুযোগ রয়েছে লস ব্লাঙ্কোসদের। এরপর ৩ নভেম্বর ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচটি জিতলে রেকর্ডটি নিজেদের করে নেবে তারা।
অবশ্য এই গৌরব অর্জনে তার আগে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে আনচেলত্তির শিষ্যদের। আলাভেস ম্যাচের পর আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ সেই আতলেতিকো মাদ্রিদ। শুধু তা-ই নয়, চলতি মৌসুমের মাদ্রিদ ডার্বিটি আবার অনুষ্ঠিত হবে আতলেতিকোর সিভিতাস মেত্রোপলিতানোয়। ফলে সেখানে কঠিন পরীক্ষা দিয়েই উৎরাতে হবে ভিনিসিউস-এমবাপ্পেদের।
আরও পড়ুন: আনচেলত্তির ‘কৌতুকে’ ভড়কে গিয়েছিলেন বেলিংহ্যাম
তার পরের দুই প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল ও সেল্তা ভিগো। নতুন কোচ মার্সেলিনোর কোচিংয়ে এ মৌসুমের শুরুটা বেশ ভালো করেছে ভিয়ারিয়াল। তাদের খেলায়ও এসেছে যথেষ্ট ধার, গত কয়েক ম্যাচেই তা স্পষ্ট হয়েছে। এছাড়া, গত কয়েক মৌসুম ধরে ভুগতে থাকা সেল্তা ভিগোও এবার দারুণ ছন্দে রয়েছে। ছয় ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে রয়েছে ক্লাউদিও গিরালদেসের শিষ্যরা। ভিয়ারিয়াল, বার্সেলোনার মতো শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হারলেও ম্যাচজুড়ে তাদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই সব বাধা অতিক্রম করে রিয়াল মাদ্রিদ শেষ পর্যন্ত রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে পারে কিনা, তা দেখতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে ক্লাবটির সমর্থকরা।
২ মাস আগে
চোখের জলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণা সুয়ারেসের
চোখ ছলছল করছিল। কথা বলতে গিয়ে ধরে আসছিল গলাও। ওই অবস্থায় লুইস সুয়ারেস জানিয়ে দিলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে আমি শেষ ম্যাচটি খেলব শুক্রবার।’
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে) প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে উরুগুয়ে। ওই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে বিদায়ের ঘোষণা দিয়ে দিলেন আয়াক্স, লিভারপুল হয়ে বার্সেলোনা ও আতলেতিকো মাদ্রিদ ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধু লিওনেল মেসির সঙ্গে ফুটবল খেলা, ফুটবলে অভিনব সব ঘটনার জন্ম দেওয়া সুয়ারেস।
তবে তার এই বিদায় ঘোষণা একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়। উজ্জ্বল সময় পার করে শেষলগ্নে এসে এমনিতেই তার ক্যারিয়ারের আলো নিভু নিভু। তাই বিদায়বেলায় তার পরাণ যেমন পুড়ে যাচ্ছে, তেমনই গর্ববোধ করছেন ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার।
সুয়ারেস বলেন, ‘অবসরের সঠিক সময় জেনে, ঠিক সময়ে বিদায় নেওয়ার চেয়ে গর্বের আর কিছু নেই। সৌভাগ্যবশত জাতীয় দল থেকে এমন সময়ে আমি অবসর নিচ্ছি বলে মনে করি, যখন আমি জানি যে সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’
‘বয়স ৩৭ বছর হয়ে গেছে; আমি জানি যে, পরের বিশ্বকাপে খেলা আমার জন্য কঠিন হতো। তবে এটা ভেবে স্বস্তি পাচ্ছি যে, চোটের কারণে বা পারফরম্যান্সের কারণে নয়, নিজে থেকেই সরে দাঁড়াচ্ছি।
আরও পড়ুন: অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি অবশ্যই কঠিন; বিদায় বলা কখনোই সহজ নয়। তবে যে শান্তনাটুকু সঙ্গে নিয়ে আমি (পরবর্তী) জীবন কাটাব, তা হচ্ছে- শেষ ম্যাচ পর্যন্ত নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি, ভেতরের বারুদ আস্তে আস্তে মিইয়ে আসেনি। এ কারণেই আমার মনে হয়েছে যে, এখনই সময়।’
৩ মাস আগে
অবসরের বিষয়ে আগে কাউকে কিছু জানাবেন না রোনালদো
প্রায় দুই যুগ আগে পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেছিলেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। বয়স ৩৯ বছর হয়ে গেলেও এখনও মাঠে আলো ছড়িয়ে চলেছেন তিনি। তবে বয়স বেড়ে যাওয়ায় প্রায়ই অবসর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই তারকা ফুটবলারকে। তবে এ বিষয়ে আগেভাগে কাউকে কিছু জানাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি যখন জাতীয় দল ছাড়ব, তার আগে কাউকে কিছু জানাব না। এটি আমার পক্ষ থেকে একটি সাবলীল সিদ্ধান্ত হবে।’
সদ্য অনুষ্ঠিত ইউরো আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেললেও মাঠের খেলায় গোলশূন্য ছিলেন রোনালদো। এমনকি, শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি পেলেও তা মিস করেন পাঁচবারের ব্যালন দ’র জয়ী এই ফুটবলার। সবশেষ কোয়ার্টারে ফ্রান্সের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পর তার অবসরের প্রসঙ্গটি উঠছে প্রায়ই।
তবে এসব আশঙ্কার মাঝেও জাতীয় দলের জার্সিতে ফের ডাক পেতে মরিয়া ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন: রোনালদোর অর্জনের মুকুটে আরও একটি পালক
আগামী মাসে শুরু হতে চলা উয়েফা নেশন্স লিগের জন্য যে কোনো সময় স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারেন পর্তুগাল কোচ রবের্ত মার্তিনেস। এই স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে আল নাসর ফরোয়ার্ডের বক্তব্য, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় দলকে সহযোগিতা করার কথাই শুধু আমার মাথায় রয়েছে। আমাদের সামনে এখন নেশন্স লিগ এবং সত্যিকার অর্থেই আমি (টুর্নামেন্টে) খেলতে চাই।’
২০১৬ সালের ইউরো অভিযানে সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের দিকনির্দেশনা দিতে দেখা যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও ইউভেন্তুসের হয়ে খেলা এই তারকাকে। তার পর থেকে ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর তার কোচিংয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা আলোচনা হয়েছে অনেক। তবে রোনালদো নিজে এ বিষয়ে ভাবছেনই না বলে জানালেন।
‘এই মুহূর্তে আমি মূল দল বা কোনো দলেরই কোচ হওয়ার কথা ভাবছি না। এটি আমার মাথায় কখনো আসেইনি। ভবিষ্যতে আমি নিজেকে কোচ হিসেবে দেখছি না।’
অবসরের পর ফুটবল নয়, এর বাইরে গিয়ে কিছু করবেন বলে জানালেন আন্তার্জতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
‘আমি নিজেকে ফুটবলের বাইরে অন্যকিছু করতে দেখছি, তবে ভবিষ্যতে কী হবে তা ঈশ্বরই জানেন।’
আরও পড়ুন: শেষ লগ্নেও মায়া ছড়িয়ে চলেছেন মেসি রোনালদো
সৌদি প্রো লিগে আজ রাত ১২টায় আল ফাইহার বিপক্ষে খেলতে নামবে রোনালদোর আল নাসর। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নেশন্স লিগে নিজেদের যাত্রা শুরু করবে পর্তুগাল। জাতীয় দলে সুযোগ পেলে ওই ম্যাচের পর ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে সৌদি আরব ফিরবেন তিনি।
নেশন্স লিগের লিগ ‘এ’ এর গ্রুপ-১ এ পর্তুগালের অন্য প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড। অক্টোবরের আন্তর্জাতিক বিরতিতে পোলিশদের মুখোমুখি হবে তারা।
৩ মাস আগে
এবার বিদায় বলে দিলেন নয়ার
বয়স বেড়ে চললেও বিশ্রাম নেওয়ার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন জার্মান ফুটবল দলের অধিনায়ক ও গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার। তবে জাতীয় দলের জার্সিতে ১৫টি বসন্ত পার করে এবার আন্তার্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি।
২০০৯ সালে জার্মানির জাতীয় দলে অভিষেক হয় ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষকের। এরপর থেকে দলটির গোলপোস্টের নিচে এতদিন একক আধিপত্য বিস্তার করে ছিলেন তিনি। মাঝে আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপও জেতেন তিনি।
গত ১৫ বছরে জাতীয় দলের জার্সিতে ১২৪ ম্যাচ খেলেছেন নয়ার, যার মধ্যে ৪৯ ম্যাচেই গোলপোস্ট অক্ষত রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণা দিয়ে নয়ার লেখেন, ‘জার্মান জাতীয় দলে আমার শেষ দিন আজ। আমাকে যারা চেনেন, তারা নিশ্চয় জানেন যে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘শারীরিকভাবে আমি এখনও পুরোপুরি ফিট, তাই আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সবাই আমাকে (দলে) থেকে যেতে বলেছিলেন। তবে আমার কাছে জাতীয় দলের অধ্যায় শেষ করার এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বার্সা ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন গুন্ডোগান
নয়ারের অবসরের ঘোষণার পর জার্মান ফুটবল ফেডারেশন থেকে তাকে ‘সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের একজন’ খেতাব দিয়ে বিদায় জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ফেডারেশন লিখেছে, ‘তোমার জন্য লেখা সব শব্দই ছোট হয়ে যাবে। তবে তার সবই হৃদয় থেকে লিখছি: ধন্যবাদ মানু (মানুয়েল)।’
‘তোমার অনন্য, অসামান্য সাফল্যের জন্য অভিনন্দন। বিশেষ করে দল ও সতীর্থদের জন্য তোমার উৎসর্গ, বন্ধুত্ব এবং কোটি কোটি ভক্ত ও ফুটবলারদের জন্য তুমি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘গোলকিপিংয়ের ধরনই বদলে দিয়েছ তুমি, যেমনটি করেছ দলের খেলায়। একজন অধিনায়ক হিসেবে, রোল মডেল হিসেবে, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও একজন বন্ধু হিসেবে আমরা তোমাকে মিস করব।’
মাঠে নেমে শুধু গোলপোস্ট রক্ষা করাই নয়, একজন ডিফেন্ডারের কাজও করে গোলকিপিংয়ে নতুন যুগের সূচনাকারীদের একজন হয়ে ওঠেন নয়ার। তিনি মাঠে থাকলে বাড়তি সুবিধা পায় তার সতীর্থরা।
আরও পড়ুন: আবেগী পোস্টে ফুটবলকে বিদায় জানালেন ক্রুস
তার জার্মান সতীর্থ ইলকাই গুন্ডোগান অবসরের ঘোষণা দেওয়ার দুদিন পর তিনিও বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিয়ে দিলেন।
এর আগে, ইউরো আসর শেষে অবসরের ঘোষণা দেন টমাস মুলার ও টনি ক্রুস। তারপর থেকে জার্মান জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ফুটবলাররা একে একে অবসরের ঘোষণা দিতে শুরু করেছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন নয়ার।
তবে জাতীয় দল ছাড়লেও ক্লাবে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
৩ মাস আগে
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বললেন সুইস গোলরক্ষক জমের
দীর্ঘ ১২ বছরের ক্যারিয়ার শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ইয়ান জমের। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে খেলায় মনোযোগ দিতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৯ আগস্ট) জমেরের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সুইস ফুটবল ফেডারেশন।
এছাড়া ইনস্টাগ্রামে নিজের অবসরের কথা জানিয়ে জমের লেখেন, ‘সচেতনভাবে ভাবনা-চিন্তা করে সুইজারল্যান্ডের জাতীয় দল থেকে আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
‘প্রতিবেশি দেশ জার্মানিতে অনুষ্ঠিত সবশেষ ইউরোয় আমাদের আরও একবার ফাইনালসে খেলার গৌরব অর্জনের পর এখন বিদায় বলার সময় এসেছে।’
আরও পড়ুন: বার্সা ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন গুন্ডোগান
২০১২ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় জমেরের। এরপর দেশের হয়ে ৯৪ ম্যাচে গোলপোস্ট সামলেছেন তিনি।
সদ্য শেষ হওয়া ইউরো আসরেও সুইস গোলপোস্টের নিচে অন্তন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে রানার্স-আপ ইংল্যান্ডের কাছে হেরে ইউরোযাত্রা থামে সুইসদের। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে হারে তারা।
এছাড়া ২০১৬ ও ২০২০ সালের ইউরো আসর এবং ২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপেও খেলেন তিনি।
জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনকালে ২০২০ ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিলিয়ান এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হন তিনি। ম্যাচটি ৩-৩ সমতায় শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয় জমেরের সুইজারল্যান্ড।
কয়েক মৌসুম বায়ার্ন মিউনিখে মানুয়েল নয়ারের বিকল্প হিসেবে থাকার পর গত মৌসুমে ইন্টার মিলানের প্রধান গোলরক্ষক হিসেবে যোগ দেন জমের। ওই মৌসুমে ইন্টারকে সেরি-আ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।
এছাড়া বায়ার্নে থাকাকালে একটি এবং সুইস লিগে এফসি বাসেলের হয়ে চারটি লিগ শিরোপা জিতেছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন: আবেগী পোস্টে ফুটবলকে বিদায় জানালেন ক্রুস
জমের অবসের যাওয়ায় সুইজারল্যান্ডের গোলপোস্টের নিচে এখন নিয়মিত দেখা যেতে পারে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেলকে। জমের থাকায় জাতীয় দলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত মাত্র পাঁচটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
উয়েফা নেশন্স লিগে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ডেনমার্কের বিপক্ষে মাঠে নামবে সুইজারল্যান্ড। এর তিন দিন পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে খেলবে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যরা।
৩ মাস আগে