২০২৩ সাল
২০২৩ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি ১০ লাখে পৌঁছেছে
৭০ লাখ নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীসহ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটি ১০ লাখে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার(বিটিআরসি) সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর এই সংখ্যা সম্পর্কে জানা যায়।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ১১ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ১ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে বর্তমানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
এদিকে ২০২৩ সালে ১ কোটি ৬১ লাখ নতুন মোবাইল ব্যবহারকারীসহ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশে গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯ কোটি ৮১ লাখে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে চারটি মোবাইল কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যার মধ্যে তিনটি বিদেশি সমর্থনপুষ্ট সেলফোন অপারেটর।
তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর শেষে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের ৮ কোটি ২২ লাখ, রবি আজিয়াটার ৫ কোটি ৮৬ লাখ, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনসের ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার এবং টেলিটক বাংলাদেশের গ্রাহক সংখ্যা ৬৪ লাখ ৬০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩১ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর ২০ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবা
৯ মাস আগে
২০২৩ সালে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি ৫.৫ শতাংশ
প্রতিকূল সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ ও কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে ২০২৩ সালে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে গ্রামীণফোন।
মঙ্গলবার(৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, গেল বছর গ্রামীণফোন লিমিটেড ১৫ হাজার ৮৭১ দশমিক ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: খাঁচায় বন্দী পাখি: গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট ৮ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ অথবা ৪ কোটি ৬৬ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সেবার মানোন্নয়ন এবং পরিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রাজস্ব ও ইবিআইটিডিএ উভয় ক্ষেত্রে আমাদের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। আমরা ডিজিটাল সক্ষমতার উপর গুরুত্বরোপ বৃদ্ধি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং টেকসই ভবিষ্যত গড়তে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের গ্রাহকদের সহজ, নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং সুখী জীবনে অবদান রাখতে নতুন আইওটি প্রোডাক্টস নিয়ে এসেছি।’
গ্রামীণফোনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, ‘চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন তার উন্নত নেটওয়ার্ক এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধানে বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে শক্তিশালী ফাইনান্সিয়াল পারফরমেন্স বজায় রেখেছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, নেটওয়ার্ক নেতৃত্ব প্রসারিত করার মাধ্যমে টানা ১১ প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যণীয় আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে।’
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ প্রান্তিকে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাবস্ক্রিপশন ও ট্রাফিক রেভিনিউ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে , যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৬ শতাংশ। মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং ফাইবার সংযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২ হাজার ৬০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম প্রসারণে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (লাইসেন্স, ইজারা ও এআরও ছাড়া) ৩১৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার মূলধনী বিনিয়োগ করেছে।
২০২৩ সালে গ্রামীণফোন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা গ্রামীণফোনের মোট রাজস্বের ৭৭ শতাংশ।
কর, মূসক, শুল্ক, লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম বরাদ্দ ফি বাবদ এই অর্থ দিয়েছে অপারেটরটি।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
৯ মাস আগে
রিয়েলমির ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশন ক্যাম্পেইন শুরু
২০২৩ সালকে বিদায় জানানোর আর অল্প কিছুদিন বাকি। আর বছরের শেষ সময় স্মরণীয় করে রাখতে রিয়েলমি নিয়ে এসেছে তাদের দুর্দান্ত নতুন ক্যাম্পেইন– ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশন!
ক্যাম্পেইনের আওতায় রিয়েলমির নির্ধারিত কিছু ডিভাইসে ক্রেতারা আকর্ষণীয় সেল অর্থাৎ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
শুধু রিয়েলমির নিজস্ব স্টোর থেকে স্টক শেষ হওয়া পর্যন্ত এই ছাড় চলবে।
বছর শেষের ছুটির দিনগুলো জমিয়ে উদযাপন করতে রিয়েলমি সি৫৫ (৬+১২৮ জিবি) স্মার্টফোনটি ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশনের ছাড়মূল্যে এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১৯ হাজার ৯৯৯ টাকায়!
যারা দ্রুত চার্জিং সুবিধা সম্পন্ন একটি ডিভাইস খুঁজছেন, তাদের জন্য ক্যাম্পেইনের বিশেষ মূল্যে রিয়েলমি সি৫৩ (৬+১২৮ জিবি) স্মার্টফোনটি রয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকায়।
ডিভাইসটির অনন্য চার্জিং সুবিধার কারণে মাত্র ৪৬ মিনিটের মধ্যেই ব্যবহারকারীরা ১০০ শতাংশ চার্জ উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ৩ বছর পর দেশে শাবনূর, ‘মাতাল হাওয়ায়’ থাকছেন তিনি
বিশেষ এই অফারের আওতায় আরও রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল এআই ক্যামেরা যুক্ত রিয়েলমি সি৫১ (৪+৬৪ জিবি)। যার মূল্য এখন মাত্র ১২ হাজার ৯৯৯ টাকা।
এ ছাড়াও শক্তিশালী প্রসেসর যুক্ত রিয়েলমি সি৩০এস এর দুটি ভ্যারিয়েন্ট ইয়ার-এন্ড সেল-ব্রেশনের ছাড়মূল্যে এখন পাওয়া যাচ্ছে ৮ হাজার ৯৯৯ টাকা (২+৩২ জিবি) এবং ১০ হাজার ৯৯৯ টাকায় (৩+৬৪ জিবি)।
ক্যাম্পেইনের আওতাভুক্ত প্রতিটি স্মার্টফোনের রয়েছে অনন্য সব ফিচার, যা তরুণ আর প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য সেরা আকর্ষণ।
আরও পড়ুন: অপু বিশ্বাসের ভুল স্বীকার
১১ মাস আগে
২০২৩ সালের একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক ২০২৩’ প্রদান করেছেন।
সোমবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক তুলে দেন।
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবর রহমান ভাষা আন্দোলনে তাদের ভূমিকার জন্য পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদক পাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনসহ ২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৯ ব্যক্তিত্ব
অভিনয়ে অবদানের জন্য মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন মাসুদ আলী খান এবং শিমুল ইউসুফ। সঙ্গীতের জন্য মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম এবং ফজল-ই-খুদা (মরণোত্তর)। আবৃত্তির জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও শিল্পকলার (কলা) জন্য নওয়াজিশ আলী খান এবং ছবি আঁকার জন্য কনক চানপা চাকমা।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), গবেষণায় ডা. মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম (মরণোত্তর), সমাজসেবায় সাইদুল হক, রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট ড. মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও আখতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) এবং ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান।
শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছে।
প্রত্যেক পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি একটি স্বর্ণপদক, একটি পদকের রেপ্লিকা, একটি সম্মাননা সনদ এবং চার লাখ টাকার চেক পেয়েছেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এটি সঞ্চালনা করেন এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রবর্তিত হয় একুশে পদক।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তফা মারা গেছেন
১ বছর আগে
দেড় লাখ টন সার আনতে তিউনিশিয়ার সঙ্গে চুক্তি সই
২০২৩ সালে দেড় লাখ মেট্রিক টন টিএসপি সার আনতে তিউনিশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিসে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এবং তিউনিশিয়ান কেমিকেল গ্রুপ (জিসিটি) এর মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: নকল সন্দেহে বগুড়ায় ৭ ট্রাক টিএসপি সার জব্দ
চুক্তিতে বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ ও জিসিটির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মেদ রিধা ছালঘৌম সই করেন। এ সময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান বদিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিএডিসি ২০০৮ সাল থেকে জিটুজি ভিত্তিতে তিউনিশিয়া থেকে টিএসপি আমদানি করে আসছে। এছাড়া তিউনিশিয়ার টিএসপি সারের মান অনেক ভাল ও কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
একই দিন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার তিউনিশিয়ার কৃষি, পানিসম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রী আব্দেল মনাম বেলাতি এবং শিল্প, খনিজ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী নেইলা নৌরিয়া গঙ্গি এর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। বৈঠকে তিউনিশিয়ান মন্ত্রীদ্বয় বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ কল, বিপুল পরিমাণ নকল সারসহ কারখানার সন্ধান
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল: কৃষি মন্ত্রণালয়
১ বছর আগে
২০২৩ সালে হজের জন্য সৌদির সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আগের কোটা অনুযায়ী এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সৌদি আরবে এ চুক্তি হয়।
একই সঙ্গে উঠে গেছে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনের নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া এমন শর্ত থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: অন্য দেশের কেউ এবার হজ পালন করতে সৌদি যেতে পারবে না
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি হয়। হজ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ সই করেন।’
উপসচিব বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এবার সরকারিভাবে ১৫ হাজার জন এবং বাকি এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে পারবেন।
এছাড়া হজ টিমের (প্রশাসনিক ও মেডিকেল) সদস্য হিসাবে সৌদি আরবে যেতে পারবেন এক হাজার ২৭০ জন।
তিনি আরও জানান, ‘এবার রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই হবে। হজযাত্রীদের অবশ্যই কোভিড টিকা নিতে হবে। জেদ্দা দিয়ে ৭০ শতাংশ এবং মদীনা দিয়ে ৩০ শতাংশ হজযাত্রী আসা-যাওয়া করবেন।’
বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম ই-হজ ব্যবস্থাপনার আওতায় অনলাইনে বলেও জানান আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন।
হজ চুক্তি ছাড়াও সৌদি আরবের হজ ও ওমরা কনফারেন্স এবং এক্সিবিশনেও অংশ নিতে গত ৭ জানুয়ারি সৌদি আরবে যান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম এবং হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে স্বাভাবিক হজ হয়েছে। তখন বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন মানুষ হজ পালন করেন।
২০২০ সালের জন্য বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে হজ সংক্রান্ত যে চুক্তি হয়, সেখানে বাংলাদেশিদের হজযাত্রীর কোটা ১০ হাজার বৃদ্ধি করা হয়।
২০২০ সালে এক লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি হজে যেতে পারতেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ থেকে কেউ হজ পালন করতে পারেনি।
২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
করোনা মহামারী কমে এলে গত বছর (২০২২) বিভিন্ন দেশ থেকে কোটা অর্ধেক করে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি আরব।
বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসলমান হজ পালন করেন।
এছাড়া করোনা মহামারীর কারণে গত বছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিলো।
আরও পড়ুন: হজ পালনে মিনায় ১০০০ হাজি
সীমিত পরিসরে হজ পালন সঠিক সিদ্ধান্ত: ঢাকা
১ বছর আগে
২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী বছর পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে।
রবিবার তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে তেল আমদানি করতে চায় এবং আশা করছি আগামী বছর তা শুরু করা যাবে।’
আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
১৩০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশে তেল পণ্য রপ্তানি করা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানের সীমান্তবর্তী হাটগুলো পুনরায় চালু হবে।
আসাম প্রতিনিধিদলকে সফরে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী এবং বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় এবং তা প্রচার করে।
ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিরোধের সমাধান করেছে।
আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন যে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের আসাম ও ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো পারস্পরিক সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কানেক্টিভিটি রুটের কথা উল্লেখ করে বলেন, রুটগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বৈঠকে আসাম বিধানসভার স্পিকার বলেন যে বাংলাদেশে তাদের দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েচে এবং আসাম বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হবে।
প্রতিনিধিদল এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বিশ্বজিৎ দাইমারি বলেন, আসাম বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষি খাতে সহযোগিতা চায় কারণ দেশটির এ খাতে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দল।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
সৌদি প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সফর করবেন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ ২০২৩ সালে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহন করেছেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্পর্ক সুসংহত হবে।
শনিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আল দুহাইলান এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে সৌদি দূত প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্রাউন প্রিন্সের একটি আমন্ত্রণ গ্রহনপত্র হস্তান্তর করেন। ৩০ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রস্তাবিত সফরে সম্মতি দিয়েছেন সৌদি যুবরাজ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৮৫ সালের পর সৌদি ক্রাউন প্রিন্স আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের ঢাকা সফরের পর এটিই হবে কোন সৌদি যুবরাজের প্রথম বাংলাদেশ সফর।
রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘এই সফরটি উভয় দেশের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হবে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সফরের তারিখ ও সময়সূচি ঠিক করা হবে।’
এখন দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সফরের বিস্তারিত ঠিক করবে।
দূত আশা করেন, সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সফরের সময় বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং চুক্তি সই হবে, যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গভীরভাবে শক্তিশালী করবে।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বিশেষ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সৌদি যুবরাজের সফরের মাধ্যমে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে।
জবাবে সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশিদের হৃদয়ে সৌদি আরবের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। ‘আমাদের সম্পর্ক সময়ের সাথে উচ্চ থেকে উচ্চতর হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা সৌদি রাষ্ট্রদূতকে সৌদি আরবের বাদশাহ এবং দুই পবিত্র মসজিদের কাস্টডিয়ান সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাতে বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ব্রুনাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্পন্ন
অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
২ বছর আগে
২০২৩ সালের মাঝামাঝি শ্রম আইন সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নাগাদ বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, সংশোধিত এ শ্রম আইন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতেও প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন দু’টির মধ্যে কোনটি- বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রয়োগ হবে তা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, সংশোধিত বাংলাদেশ শ্রম আইনগুলোই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রয়োগ করা হবে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির ৩৪৬তম অধিবেশনে অংশ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে একথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জেনেভায় মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রগুলো কঠিন সময় অতিক্রম করছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে রাজনৈতিক সংকটের কারণে এটি আরও প্রকট হয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এই ধরনের দুর্দশার মধ্যে, বাংলাদেশ আইএলও কনস্টিটিউশনের ২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে উত্থাপিত অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মার্চ মাসে আইএলও’র গভর্নিং বডির সভায় প্রতিবেদন দাখিল করার পর প্রায় সাত মাসে বাংলাদেশ সরকার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি সাধন করেছে। সরকার দেশের সামগ্রিক শ্রম পরিস্থিতির সুষমভাবে উন্নতি করতে রোডম্যাপের চারটি ক্লাস্টারে অগ্রগতি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, করোনার অতিমারির সময় লকডাউন, কর্মঘণ্টা সংক্ষিপ্তকরণসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শ্রম অধিকার বিষয়ক আইনি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ সরকার অবিচল ছিল। সরকার ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা সংশোধন করেছে এবং বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। এই প্রক্রিয়ায় আইএলও বিশেষজ্ঞ কমিটির পর্যবেক্ষণকে যথাযথ বিবেচনা করা হয়েছে।
আইএলও-কে আশ্বস্ত করে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনি সংস্কারের পরবর্তী ধাপ হিসেবে শ্রম আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত ১৭টি স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে সংশোধনী প্রস্তাব পাওয়া গেছে। ত্রিপক্ষীয় ওয়ার্কিং গ্রুপ গুরুত্ব সহকারে এ সংশোধনী প্রস্তাবগুলো সংকলনের কাজ করছে।
তিনি জানান, ত্রিপক্ষীয় শ্রম আইন পর্যালোচনা কমিটি সংকলিত সুপারিশ বা প্রস্তাবগুলোর ওপর আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করবে এবং জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ কাউন্সিলের অনুমোদন চাইবে। আশা করি, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি নাগাদ বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং সংশোধিত এ শ্রম আইন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলেও প্রযোজ্য হবে।
ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, অধিকতর জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়াটিকে পুরোপুরি ডিজিটাইজড করা হয়েছে।
শ্রম অধিদপ্তর তার চারটি শিল্প সম্পর্কিত ইনস্টিটিউট এবং ৩২টি শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের সহায়তায় শ্রমিক ও নিয়োগকর্তাদের ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।
এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এবিষয়ে সহায়তার জন্য শ্রম অধিদপ্তরে একটি প্রি-অ্যাপলিকেশন সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
প্রয়োজনে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে।
গভর্নিং বডির ৩৪৪তম অধিবেশনে আইএলও’র মহাপরিচালকের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আইএলও কনভেনশন ১৩৮ অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তর করার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতেও বাংলাদেশ সরকার ‘জবরদস্তি শ্রম সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন, ১৯৩০ এর প্রটোকল ২৯ অনুসমর্থন করেছে। স্পষ্টতই, এগুলো আইএলও শ্রম মানদণ্ডের প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রদর্শন।
প্রতিনিধি দলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী, সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. সুফিউর রহমান এবং অতিরিক্ত শ্রম সচিব জেবুন্নেছা করিম অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেখা যাক, ছদ্মবেশে জামায়াতের নিবন্ধন ইসি কীভাবে পরিচালনা করে: আইনমন্ত্রী
নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে পাঠাবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে
২০২৩ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি ২দিন: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী বছর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষাকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামনের বছর থেকে এমনিতেই ছুটি দুদিন। এখনি এটা এগিয়ে এনেছি দুই দিন। এখনের পরে আমাদের হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। তখন আমরা এটা সাময়িকভাবে করেছিলাম। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি যদি আগামী সপ্তাহ থেকেই খুব ভালো হয়ে যায়, আর আমরা যদি সকলেই মনে করি যে না আমাদের যতটুকু কাজ আছে সেটা শেষ করার জন্য আর কয়েকটি দিন অতিরিক্ত হলে আমাদের ভালো হয়, তাহলে হয়তো আমরা পরিবর্তনে যাবো।
‘কিন্তু আগামী বছর থেকে এটি দু’দিনই হবে। এখনকারটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যেহেতু আর চারটা মাস আছে। এর মধ্যে আবার এসএসসি পরীক্ষা আছে, এইচএসসি পরীক্ষা আছে।’
সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় নীতি গ্রহণ করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করা হয়েছে। আগে ছুটি ছিলো শুধু শুক্রবার। কিন্তু এই নীতি গ্রহণের পর শনিবারও ছুটি পাচ্ছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে আমাদের দুই দিন ছুটি। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা। সেটা এগিয়ে এনেছি যে এখন থেকেই সেটা হোক। আমাদের শিক্ষকেরা অন্যান্য পেশার চেয়ে ৫২ দিন বেশি কাজ করে বছরে।
‘শিক্ষকদের একটু সময় দরকার, বাচ্চাদেরও একটা সময় দরকার। কারণ সারা বিশ্বের সব স্ট্যাডি বলছে, দুই দিন অন্তত ছুটি হলে শেখার পক্ষেও সহায়ক এবং শেখানোর পক্ষেও সহায়ক।’
আরও পড়ুন:ধর্মীয় শিক্ষা ‘তুলে দেয়া হচ্ছে’সেটি সঠিক নয়: শিক্ষামন্ত্রী
দু’দিন ছুটি ঘোষণার পর কতটুকু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কতটুকু বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে সেই ডাটা আমাদের কাছে নেই। কিন্তু আমাদের কাছে অনুরোধ ছিল, সেই অনুরোধে একটা দিন যদি বিদ্যুৎ ব্যবহার না হয়, শুধু তো বিদ্যুতের ব্যবহার না, জ্বালানিরও একটা বিষয় থাকে।’
স্কুলের কারণে যে পরিমাণ যানজট হয় সেগুলো সব মিলিয়ে যে জ্বালানি সাশ্রয়, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে একেবারেই খুব কম নয়। এখন চেষ্টা করে একেবারেই সাশ্রয়ের দিকে যেতেই হচ্ছে। শুধু আমাদের দেশে না সারা পৃথিবীতেই যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন:কোনো শিক্ষক আর নিজের ক্লাসের শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে পড়াতে পারবে না: শিক্ষামন্ত্রী
এ বছর এসএসসি পরীক্ষা ১১টায় শুরু হবে: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে