বিপর্যস্ত
বন্যায় বিপর্যস্ত ফেনীতে গাছতলায় দিতে হচ্ছে চিকিৎসাসেবা
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটে ব্যথা, জ্বর, নিউমোনিয়া ও চর্মরোগসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ। হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে রোগীর সংখ্যা। শয্যা সংকটে মেঝে, বারান্দা, সিঁড়ি ও গাছতলায় চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। অন্যদিকে ধারণক্ষমতার প্রায় ১০ গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ফেনী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বয়স্ক। এছাড়া রোগীদের কারও ঠাঁই হয়েছে বারান্দায়, সিঁড়িতে বা হাসপাতালের সামনে গাছতলায়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে চিকিৎসক-নার্স সংকট, চিকিৎসাসেবা ব্যাহত
ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডে ১৭ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৭৬ জন। আরেকটি ওয়ার্ডে ২১ শয্যার বিপরীতে রোগীর সংখ্যা ৮০ জন। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডেও ২৬ শয্যার বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৩৬ জন। অতিরিক্ত রোগীর চাপে হাসপাতাল আঙিনা ও বাহিরে গাছতলায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ফেনী জেলার ৭টি হাসপাতালে এ পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৩০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ৭৫৪ জন। এর ভেতর ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ৪৯৮ জন, সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা এ পর্যন্ত ২২৫ জন। হাসপাতালগুলোতে নতুন ভর্তি ৫২৪ জন, এরমধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত ১৮৬ জন। বর্তমানে হাসপাতালে রোগী আছেন ৯১৩ জন।
উপজেলাগুলোতে দেখা যায়, সোনাগাজীতে ৬১০ জন, পরশুরামে ৫৩৬ জন, ফুলগাজীতে ৩১৪ জন, ছাগলনাইয়ায় ১ হাজার ২৭২ জন, দাগনভূঁঞাতে ৬৩০ জন ও ফেনী সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৭৯০ জন চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঈদে চিকিৎসাসেবায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ মাস আগে
বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেটে দেখা মিলেছে রোদের
অতিবর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত সিলেটে রোদের দেখা মিলেছে। প্রায় ৫ দিন পর রৌদ্রজ্জ্বল সকালে মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। এদিকে সিলেটের বেশ কয়েকটি নদ নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে কমেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ৯টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্যমতে, সিলেটের সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশিদ, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শুধুমাত্র ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি দশমিক ১ সেন্টিমিটার বাড়া ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার হিসাব অনুযায়ী পানি কমেছে কয়েক সেন্টিমিটার।
পাউবোর তথ্যানুযায়ী, সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ও কানাইঘাট পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি আমলসীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ১ দশমিক ২ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ২০ মিলিমিটার। গতকাল দুপুর থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।
এদিকে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিলেটে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলমান বৃষ্টিপাত আগামী পাঁচদিন অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমলেও রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় তা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: সিলেটকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে সুরমা নদী ড্রেজিং করা হবে: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
এর আগে গত তিন সপ্তাহে সিলেট নগরীতে অতিভারি বৃষ্টিতে পাঁচবার তলিয়েছে শতাধিক এলাকা। জলাবদ্ধতায় ভুগেছে নগরবাসী৷ পরে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুরমাসহ সিলেটের নদ-নদীগুলো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে সিলেটের সবগুলো উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দিয়েছিল। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সর্বশেষ ১৭ জুন সোমবার ভোরে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিতে আবারও জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে নগর প্লাবিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি, কোথাও অবনতি
৪ মাস আগে
তীব্র শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
গত কয়েকদিন ধরে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় কাঁপছে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের মানুষ। দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না দুইদিন ধরে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় হাড় কাপাঁনো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ।
এদিকে দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদি পশুর। শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি ও হাঁপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী পরিবারের মধ্য বয়সী ও বৃদ্ধরা।
আরও পড়ুন: শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম
জেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ।
শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা। শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
গবাদিপশুও রেহাই পাচ্ছে না শীতের প্রকোপ থেকে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কমলেও অনুভূত হাড় কাঁপানো শীত
এদিকে লালমনিরহাটে ঠাণ্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত নানা রোগ। যেমন- ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াম, হাঁপানি, অ্যাজমা, হৃদরোগসহ নানা রোগ। এছাড়া আক্রান্ত হয়ে জেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগী ভর্তি।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ শীতজনিত রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে- বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার যা ছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা না মেলায় সন্ধ্যায় তাপমাত্রা আরও কমে যাচ্ছে। ফলে সন্ধ্যার পরে আরও বেশি শীত অনুভূত হয়।
৯ মাস আগে
বাগেরহাট ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা, জনজীবন বিপর্যস্ত
বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলে ঘন কুয়াশা পড়েছে। সড়ক-নদীপথসহ সর্বত্রই যেন কুয়াশার চাদরে ঢাকা। কুয়াশার কারণে কাছের মানুষ ও যানবাহন দেখা যায়নি বেলা হওয়া পর্যন্ত।
যানবাহন চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। দূরপাল্লার যানবাহন গন্তব্যে বিলম্বে পৌঁছাচ্ছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে যারা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে বের হয়েছেন তাদেরকে নানা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
এদিন সকাল ১০টার দিকেও কুয়াশা দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে ইউএনবির বাগেরহাট প্রতিনিধি এসব চিত্র দেখতে পান।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ঘন কুয়াশায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চলতে শুরু করেছে ফেরি
বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ বলছেন, বাগেরহাটে এর আগে তারা এত কুয়াশা দেখেননি। সকাল ১০টার দিকেও কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা রয়েছে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। কাছের মানুষ এবং যানবাহন দেখতে পারছেন না তারা। সড়কে যানবাহন চলাচল অনেক কম এবং হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে চলতে হয়েছে যানবাহনগুলোকে। আর নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বেশি।
এদিকে কৃষকরা ঘন কুয়াশার কারণে তাদের বোরো ধানের বীজতলা এবং আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন: নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ঘন কুয়াশা এইভাবে কয়েকদিন পড়তে থাকলে বোরো ধানের বীজতলা লাল হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। একইসঙ্গে আলুর খেতে পোকার আক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে চাষিদেরকে নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর-রশীদ বলেন, রবিবার মধ্যরাত থেকে ঘন ও মাঝারি কুয়াশা পড়েছে এই অঞ্চলে। সোমবার সকালেও কুয়াশার চাঁদরে ঢাকা ছিল বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকা।
তিনি আরও বলেন, কুয়াশার কারণে ১০০ মিটার বা তার কাছের মানুষ এবং সড়কে চলাচলকারী যানবাহন দেখা যাচ্ছিল না। গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে।
মঙ্গলবারও এমন কুয়াশা পড়তে পারে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
১০ মাস আগে
ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
লালমনিরহাটে ঘন কুয়াশা আর শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সন্ধ্যার পর থেকে চারদিক ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে, সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে করে ছিন্নমূল দরিদ্র লোকজন সীমাহীন কষ্ট ও দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছে।
উত্তরের জেলা লালমনিরহাট হিমালয় পর্বতের খুব কাছাকাছি হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে শীতের আবহ তেমন না হলেও হঠাৎ ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে।
আরও পড়ুন: শীতের পোশাক পেল পথশিশুরা, সঙ্গে দেয়া হলো চাইনিজ খাবার
একইসঙ্গে জেলা সদরসহ পাঁচটি উপজেলায় কমেছে তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে লালমনিরহাট ও তার আশপাশে জেলাগুলোতে। রাতভর বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরতে থাকে।
শনিবার সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। দিনের বেলা খানিক সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও রোদের তাপ কম থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। রবিবার সারাদিন সূর্যের দেখা মিলেনি বিকাল গড়াতেই শীত আরও বেশি অনুভূত হয়।
জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, ছিন্নমূল গরিব অসহায় মানুষ শীতের কারণে বেশি কষ্টে আছে। শীতের কারণে কৃষকরা মাঠে যেতে পারছে না ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। এ ছাড়াও অন্যান্য পেশার লোকজন শীতের কারণে কাজে যেতে পারেনি।
লালমনিরহাটের মোঘলহাট এলাকার কৃষক লোকমান বলেন, এ বছরে শনিবার থেকে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে মাঠে যাওয়া যাচ্ছে না, আর মাঠে গেলে বেশিক্ষণ টিকা যায় না। বাধ্য হয়ে বাসায় চলে এসেছি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ ১০ দর্শনীয় স্থান: শীতের ছুটিতে সাধ্যের মধ্যে ভ্রমণ
১০ মাস আগে
বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
গতকাল রাতে মাত্র ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানীর জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যার ফলে যাত্রীরা আটকা পড়েন এবং প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হন। রাস্তাগুলো জলমগ্ন ছিল এবং প্রধান সড়কগুলোতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাজধানীর মিরপুর ১০, মিরপুর ১১, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, পুরানা পল্টন, গুলিস্তান, পুরান ঢাকা, বংশাল রোড, বিজয় সরণি, ইস্কাটন, ফার্মগেট, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থানরত নিম্নচাপের কারণে ঢাকা শহরে অবিরাম বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, রাজধানীতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত রাজধানীর বংশাল, সিদ্দিক বাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, খিলগাঁও, রামপুরা, পুরান ঢাকার কিছু এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি আটকে রয়েছে।
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন
ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডায় অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জন-জীবন। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সূর্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের প্রকোপ। কুয়াশার চাদরে পথ-ঘাট ও প্রকৃতি ঢেকে থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষজন।
ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সময়মতো কাজে যেতে পাড়ছেন না শ্রমজীবীরা। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিরাবনের চেষ্টা করছেন অনেকেই। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার রহিম মিয়া বলেন, 'শীত উপেক্ষা করে আলু ক্ষেতের পরিচর্চা, বীজতলা তৈরিসহ নানা ধরনের কৃষিকাজ করতে হচ্ছে। ঠাণ্ডায় কাজ করতে গিয়ে হাত পা জমে যায়। সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।'
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিপর্যস্ত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভোলা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ জলাবদ্ধ অবস্থায় আছে।
ভোলা জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ২৫ মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
এদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক তৌফিক এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় মোট ৭৪৬টি ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাত উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।’
এছাড়া ১৩ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ৭৬টি মেডিকেল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
সোমবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (বিসিজি) ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর পাতিলা থেকে ১১০ জনকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে।
বিসিজি পূর্বাঞ্চলের মিডিয়া অফিসার কাজী আল আমিন বলেন, ‘দুর্যোগ পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দলও প্রস্তুত রয়েছে।’
২ বছর আগে
বর্ষার শেষ সময়ের বৃষ্টিতে রাজধানীর জনজীবন বিপর্যস্ত
টানা বৃষ্টিতে সোমবার বিকালে রাজধানীর অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রাজধানীর মৌচাক, বিজয় সরণি, কাকরাইলসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল মারাত্মভাবে ব্যাহত হয়।
আকস্মিক বৃষ্টিতে আটকা পড়ে যানবাহনের অভাবে অনেককে পানির মধ্যদিয়েই হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অনেককে আবার ফ্লাইওভারের নিচে খোলা জায়গায় আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
এসময় মৌচাক ও সিদ্ধেশ্বরী এলাকার অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তায় নেমে আসে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বিকাল ৩টা পর্যন্ত রাজধানীতে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা।
এদিকে, উত্তর-পূর্ব সিলেটে ভারী বর্ষণ হয়েছে। আবহাওয়া অফিস সোমবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস: আবহাওয়া অফিস
আগামী তিনদিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের ডিমলায় সর্বোচ্চ ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা বিভাগের যশোরে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন:তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা
২ বছর আগে