সরবরাহকারী
এলএনজি আমদানি স্থগিত সত্ত্বেও সরবরাহকারী সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সরকারের
আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি স্থগিত থাকা সত্ত্বেও তালিকাভুক্ত এলএনজি সরবরাহকারীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) ভার্চুয়াল বৈঠকে এ বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
১৬টি কোম্পানির বিদ্যমান তালিকায় নতুন আটটি কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। নতুন কোম্পানিগুরো হলো-জাপানের দুটি কোম্পানি এলএনজি জাপান করপোরেশন ও ইনপেক্স করপোরেশন;সোকার ট্রেডিং ইউকে লিমিটেড; কোরিয়ার পিওএসসিও ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন; কাতার এনার্জি ট্রেডিং এলএলসি; সিঙ্গাপুরের তিনটি কোম্পানি প্যাভিলিয়ন এনার্জি ট্রেডিং অ্যান্ড সাপ্লাই পিটিই লিমিটেড ;পেট্রোচায়না ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড এবং পিটিটি ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং পিটিই লিমিটেড।
আরও পড়ুন: এলএনজি আমদানিতে জিডিএফ থেকে ২০০০ কোটি টাকা পাবে পেট্রোবাংলা
তবে,সরকার তাৎক্ষণিকভাবে আমদানি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করবে কি না,তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে অত্যাধিক দাম বৃদ্ধির কারণে জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি স্থগিত করে সরকার।
যুদ্ধের আগে বাংলাদেশ স্পট মার্কেট থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ছয় থেকে দশ ডলারের মধ্যে এলএনজি কিনতো। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রতি এমএমবিটিইউ দাম ৩৭ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আবার দাম হ্রাস প্রবণতা শুরু হয়েছে।
গত মাসে,দাম এমএমবিটিইউ প্রতি ২৪ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির পাশাপাশি, তুলনামূলকভাবে অনেক কম দামে গ্যাস আমদানির জন্য কাতার ও কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি রয়েছে।
যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারে তরল জ্বালানির দামের ওপর নির্ভর করে প্রতি এমএমবিটিইউ ১১ থেকে ১৭ মার্কিন ডলারের মধ্যে পরিবর্তিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহে সহায়তার আশ্বাস সৌদি আরবের
এলএনজি আমদানি অব্যাহত থাকবে, আরও টার্মিনাল স্থাপন হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
২ বছর আগে
পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জি২জি সরবরাহকারী হিসেবে ইন্ডিয়ান অয়েলকে তালিকাভুক্ত করল ঢাকা
বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসাবে মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে। বিষয়টি ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তাই আপাতত এটিই ঘটতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ও সিদ্ধান্তের সংক্ষিপ্তসার হচ্ছে-বিষয়টি এমন কিছু যা কর্মকর্তারা তাদের নিজেদের মধ্যে কাজ করবেন।’
কোয়াত্রা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়কেই তাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সীমানা আন্তঃসংযোগ স্থাপনে চলমান আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, তারা ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেন। এই প্রকল্পটি তারা অনুদানের মাধ্যমে গ্রহণ করছে। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ গতির ডিজেল সরবরাহে সক্ষম করবে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে আমরা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসাবে মনোনীত করার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। যা দুই দেশের জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যতদূর মনে পরে প্রতিরক্ষা লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে প্রথম চুক্তি এই সপ্তাহের শুরুতে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে আপনারা বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছেন। এটি একটি সামান্য পরিমাণ হলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ ছিল।’
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন যে এটি একটি প্রতিরক্ষা এলওসি হতে পারে তবে এটি উন্নয়ন অংশীদারি কাঠামোরও একটি অংশ।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা এবং কৌশলগত সহযোগিতার অধীনে এটির অবতরণও রয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা হল এটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততার পথ খুলে দেবে এবং আমাদের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
কোয়াত্রা বলেন, আলোচনার প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে একটি এবং আরও সহযোগিতার জন্য উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার একটি প্রধান দিক হল পণ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের একটি স্থিতিস্থাপক সাপ্লাই চেন তৈরি করা। এই পণ্য পচনশীল ও অ-পচনশীল, বা প্রয়োজনীয় দ্রব্য, উভয় খাদ্য ও অখাদ্য হতে পারে। এই সমস্ত উপাদান উক্ত আলোচনার অংশ ছিল।
তিনি বলেন, দুই পক্ষই এই সাপ্লাই চেইনগুলোকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে এবং যতটা সম্ভব নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
২ বছর আগে