দমন-পীড়ন
একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
অতীতের ন্যায় আরেকটি ভুয়া ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভেযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি দাবি করেন, বিএনপির আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে সরকারি গাড়িতে আগুন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার অতীতের মতো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করতে কৌশলহীন ও বিপজ্জনকভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনা এখন ৫৭ সেকেন্ডে নৌকার জন্য ৪৩টি সিল মেরে নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’
মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'সাধারণ মানুষ এখন যুদ্ধকালীন সময়ের মতো নীরব ভীতিকর পরিবেশে বসবাস করছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার প্রধান হিংস্র খুনি হয়ে উঠেছেন... তার (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশে দেশকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
প্রবীণ এই নেতা আরও বলেন, সরকারের অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা এখন আওয়ামী লীগ লিমিটেড কোম্পানির কর্মচারী হয়েছেন।
তিনি বলেন, রাত হলেই পুলিশি অভিযানের কারণে দেশে আতঙ্ক নেমে আসে, কারণ গণতন্ত্রপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিদিন অসংখ্য মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, থানাগুলো এখন প্রতিটি বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে গ্রেপ্তার ব্যাপক বাণিজ্যে লিপ্ত হচ্ছে। ‘শেখ হাসিনা জনগণের সকল সুখ-শান্তি বিনষ্ট করে দানবের শাসন কায়েম করেছেন।’
তিনি দাবি করেন, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৩১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১২টি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ এবং হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৪০৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
তিনি আরও দাবি করেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে তাদের দলের ১১ জন নেতা-কর্মী ও একজন সাংবাদিক নিহত ও তিন হাজার ৯০৬ জন আহত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, গত ২৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ১৩ হাজার ৩৮৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৪৮ হাজার ৪৪৩ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৬১৩টি মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আরও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কার্যকর করতে যাচ্ছে তাদের দল। কিন্তু আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য যানবাহনে আগুন দিচ্ছে এবং তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমাদের হাতে এর অসংখ্য প্রমাণ, ভিডিও এবং ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের তৃতীয় সপ্তাহের অবরোধ শুরু রবিবার
১ বছর আগে
আন্দোলন বানচাল করতেই বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়ন: বিএনপি
বিএনপি অভিযোগ করেছে, দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্মম হামলা করছে সরকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে আমাদের কর্মসূচি চলছে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আমাদের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত করতে নির্দয়ভাবে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে।
আরও পড়ুন: ঈদ আসলেই আওয়ামী পরিবহন সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে ওঠে: রিজভী
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নবগঠিত কমিটির নেতাদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, হামলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, এমনকি অনেকে চোখ হারিয়েছেন ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে আমাদের তিনজন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক এলাকার নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, তারা কি অপরাধ করেছে? সভা সমাবেশ করা একটি চিরস্থায়ী গণতান্ত্রিক অধিকার।’
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতি নিয়ে জিএম কাদের ও রিজভীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা তথ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সারাদেশে বিএনপির মিছিলে বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে। ‘গতকাল নাটোরের লালপুরে আমাদের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আপনি প্রতিদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও রক্তক্ষরণের ঘটনা দেখবেন।’
রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকতে মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে তখন তিনি ভারত সফরে গেছেন। ‘কিন্ত আপনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের অভিন্ন নদীর পানির সুষম বন্টন এবং তিস্তা চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
দেশের মানুষের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে আর্শীবাদ নিতে ভারত সফরে গেছেন কিনা তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন রিজভী।
আরও পড়ুন: পুলিশের বিরুদ্ধে রিজভীর মামলার আবেদন খারিজ
২ বছর আগে