শহরে
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বিশ্বে ‘চতুর্থ’ ঢাকা
আবারও দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৯টায় একিউআই স্কোর ২১২ নিয়ে এই অবস্থানে উঠে আসে শহরটি।
একিউআই সূচকে বলা হয়েছে, মারাত্মক স্বাস্থ্য হুমকির কথা উল্লেখ করে আজকের বাতাসকে 'অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই যথাক্রমে ২৮১, ২৫১ ও ২১৫ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে 'মাঝারি' বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে 'বিপজ্জনক' হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় ফের শীর্ষে ঢাকা
১০২ দিন আগে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৪র্থ
বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় বাতাসের মান ১৬০। এরমধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বায়ু মানের শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
তালিকায় পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি এবং চীনের উহান যথাক্রমে ১৮০, ১৬৯ ও ১৬১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষ তিনটি স্থানে রয়েছে।
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য বায়ুর মান ১০১ থেকে ২০০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ‘অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে, এর মান ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে এটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ' বলা হয় এবং মান ৩০১ থেকে ৪০০ থাকলে ‘বিপজ্জনক' বলে বিবেচিত হয়। কারণ এ ধরনের বায়ু সাধারণ মানুষের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) এর মতে, বায়ু দূষণের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক সাত মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। মূলত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ফলে মৃত্যুহার বৃদ্ধি ঘটে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
৯৫২ দিন আগে