তৃতীয়
‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। নগরীর এই বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ১৬১ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিকে বাড়িয়ে তুলেছে। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী আজ (শুক্রবার) ঢাকার বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
সেনেগালের ডাকার, পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের দিল্লি শহরগুলি যথাক্রমে ২৭৫, ১৬৪ এবং ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে বিশ্বে অষ্টম দূষিত শহর ঢাকা
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
১৬ দিন আগে
কলম্বোতে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন
শ্রীলংকার কলম্বোতে শুরু হয়েছে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশটির ন্যাশনাল ফিল্ম কর্পোরেশনের মর্যাদাপূর্ণ থারাঙ্গানি থিয়েটারে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ হাইকমিশন এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে। যা ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেক্ষাগৃহে আসছে আদর-প্রকৃতি জুটির ‘যন্ত্রণা’
এ সময় শ্রীলঙ্কার শতাধিক সিনেমাপ্রেমী প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাংলাদেশি সিনেমার স্বাদ উপভোগ করতে উপস্থিত হন।
থারাঙ্গানি থিয়েটার হলে উপস্থিত হন শ্রীলঙ্কার ধর্ম ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ভীদুরাহ বিক্রমনায়ক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক জি এল পেরিস, সাবেক মন্ত্রী পাটালি চম্পিকা রানাওয়াকা এবং কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীলঙ্কার সিনেমার গোল্ডেন স্টার হিসেবে পরিচিত প্রখ্যাত অভিনেত্রী স্বর্ণা মাল্লাওয়ারাচ্চি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। উৎসবের কিউরেটর হিসেবে চলচ্চিত্র সমালোচক ও পরিচালক অনোমা রাজাকরুণা প্রদর্শনের আগে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
তার স্বাগত ভাষণে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান চলচ্চিত্র পরিচালকদের হাত ধরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতির পুনরুত্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তারা অনেক আন্তর্জাতিক প্রশংসা বয়ে আনছেন।
হাইকমিশনার আরিফুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও জোরদার করবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক সাদৃশ্যের কারণে শ্রীলঙ্কার দর্শকরা প্রদর্শনের জন্য নির্ধারিত সিনেমাগুলোর মর্মার্থ আরও গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারবে।
আগামী দুই দিনে, আরও চারটি সমসাময়িক বাংলাদেশি সিনেমা প্রদর্শন করা হবে। এর মধ্যে ‘রাত জাগা ফুল’ ও ‘নোনা জলের কাব্য’ শনিবার (৭ অক্টোবর) একই ভেন্যুতে যথাক্রমে বিকাল সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা ৬টায় প্রদর্শিত হবে এবং ‘দামাল’ ও ‘ন ডরাই’ প্রদর্শিত হবে ৮ অক্টোবর একই সময়ে।
এর আগে ২০১৪ সালের এপ্রিল ও ২০১৮ সালের মার্চে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। তারই সাফল্যের ধারাবাহিকতার উপর ভিত্তি করে এবার আবারও আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুফিয়া: চোখ আটকে গেল বাঁধনে
বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে টফি’র মিউজিক ভিডিওতে র্যাপার আলী হাসান
৫৭৫ দিন আগে
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা আজ তৃতীয়
ঢাকার বাতাসের মান সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৪ নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা যথাক্রমে ১৭৬ ও ১৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম দুটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে দূষণের তালিকায় শনিবার ঢাকার বাতাস ‘চতুর্থ’
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
৬১৫ দিন আগে
দূষিত শহরের তালিকায় সোমবার সকালে ঢাকা তৃতীয়
ঢাকার বাতাসের মান সোমবার সকালে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৭ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয় স্থানে আছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর
অন্যদিকে, ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
পাকিস্তানের লাহোর এবং ভারতের মুম্বাই যথাক্রমে ২৩৪ এবং ২১১ এর একিউআই নিয়ে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: ৪ জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা শীর্ষে
৮৩৯ দিন আগে
ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর', দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয়
ঢাকার বাতাসের মান সোমবার সকালে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২১৮ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয় স্থানে আছে।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর 'খুবই অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর এবং ভারতের দিল্লি যথাক্রমে একিউআই ২৭০ ও ২২৩ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম দুইটি স্থান দখল করেছে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা আবারও শীর্ষে
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ
একিউআই স্কোর ২০৯ নিয়ে ঢাকার বাতাস 'খুব অস্বাস্থ্যকর'
৮৪৬ দিন আগে
তৃতীয় বারের মত প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাকিবুল ইসলামের (২০) বাড়িতে অনশনে বসে এক কিশোরী। শনিবার দুপুর থেকে ওই কিশোরী উপজেলার লাউর ফতেহপুর গ্রামে এ নিয়ে তৃতীয় বারের মত অনশনে বসে।
এ খবরে সাকিবুলের বাড়িতে ভিড় জমায় উৎসুক মানুষ।
তবে খবর পেয়ে রবিবার পুলিশ সাকিবুলের বাড়িতে গিয়ে সাকিবুল ও অনশনরত ওই কিশোরীকে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচি
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের ওই কিশোরী এ বছর স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এর আগেও দুইবার একই দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেছে মেয়েটি।
ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের আশ্বাস দেয়া হলেও কার্যত তেমন কোন সমাধান না হওয়ায় তৃতীয়বারের মত মেয়েটি অনশনে বসে।
ওই কিশোরী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সাকিবুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। সাকিবুলের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার তা মেনে নিচ্ছে না। পারিবারিকভাবে তাকে অন্যত্র বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তাই সে নিজের ইচ্ছায় সাকিবুলের বাড়িতে এসে বিয়ের জন্য অনশন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাকিবের মা ফেরদৌসি বেগম বলেন, চার থেকে পাঁচ বছর ধরে সাকিবুলের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। আমরা চাই বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান হোক।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সাকিবুলের বাড়ি থেকে সাকিবুল ও ওই কিশোরীকে থানা নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাকরি নিয়ে ‘প্রতারণা’: অভিযুক্তের বাড়িতে লাশ রেখে এলাকাবাসীর অনশন
বিয়ের দাবিতে ছাত্রীর অনশন, ছেলে বলছে ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’
৯৪৫ দিন আগে
আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটেনের রাজা হলেন তৃতীয় চার্লস
প্রাচীন ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভবে ব্রিটেনের রাজা ঘোষিত হয়েছেন। শনিবার প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বৃহস্পতিবার মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ার পর প্রথা অনুযায়ী চার্লস তৃতীয় রাজা হন। তবে যোগদান অনুষ্ঠানটি দেশে নতুন রাজাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক এবং আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ।
প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং তার পাঁচজন পূর্বসূরিসহ অতীত ও বর্তমান অনেক সিনিয়র রাজনীতিবিদ, অ্যাকসেসন কাউন্সিলের বৈঠকের জন্য সেন্ট জেমস প্রাসাদে অলঙ্কৃত রাষ্ট্রীয় অ্যাপার্টমেন্টে জড়ো হয়েছিলেন।
তারা চার্লসকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা চার্লস তৃতীয় হিসেবে সম্বোধন না করেই মিলিত হয়েছিল। ব্যক্তিগত ঘোষণার মাধ্যমে রাজা তাদের সঙ্গে যোগ দেন। দায়িত্বপালনকালে তিনি তার মায়ের ‘উৎসাহের উদাহরণ’ অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি আপনারা ও সমগ্র জাতি কতটা গভীরভাবে শোকাহত এবং আমি মনে করি এই অপূরণীয় ক্ষতিতে আমার প্রতি সমগ্র বিশ্ব সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।’
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৫২ সালে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর এই প্রথম অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে চার্লসের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্যামিলা, রানী কনসোর্ট এবং তার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম। উইলিয়াম এখন সিংহাসনের উত্তরাধিকারী এবং চার্লস দীর্ঘদিন ধরে ওয়েলস প্রিন্স উপাধিতে পরিচিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের পরে, একজন কর্মকর্তা সেন্ট জেমস প্যালেসের একটি বারান্দা থেকে উচ্চস্বরে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করবেন। এটি লন্ডনের পুরনো শহর এবং যুক্তরাজ্যের অন্যান্য স্থানেও পড়া হবে।
ব্রিটিশ সিংহাসনে অভূতপূর্ব ৭০ বছর শাসনের পর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলে ৯৬ বছর বয়সী রানি মারা যাওয়ার দু'দিন পরও লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এখনও হাজার হাজার লোক আসছেন। যুক্তরাজ্যের অন্যান্য রাজকীয় বাসভবন এবং বিশ্বজুড়ে ব্রিটিশ দূতাবাসগুলোতে দৃশ্যটির পুনরাবৃত্তি হয়েছিল।
শুক্রবার রাজা তার রাজত্বের শুরুতে, একটি টেলিভিশন ভাষণে তার নিজস্ব আধুনিকীকরণ স্ট্যাম্প সহ রানির ‘আজীবন সেবা’ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
চার্লস মায়ের মতো ‘সার্বভৌমত্বের প্রতি একনিষ্টতা ও ভক্তি’ অটুট রাখার কথা উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ ২১ শতকের স্থিরতার রাজতন্ত্র গড়ার ইঙ্গিত দেন।
‘আপনার ভূমিকা বা বিশ্বাস যাই হোক না কেন, রানির রাজত্বকালে দেশটি ‘অনেক সংস্কৃতি এবং অনেক বিশ্বাসের’ একটি সমাজ নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল এবং ব্রিটেন ও অন্যান্য ১৪টি দেশ যেখানে তিনি রাজা ছিলেন সেখানে মানুষের সেবা করার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তিনি প্রতিফলিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:বিশ্বজুড়ে রানির জন্য অশ্রু ও শ্রদ্ধা
তিনি রাজা হিসেবে তার প্রথম ঘন্টাগুলোতে উদাসীন হিসেবে যে পরিচিতি রয়েছে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিলেন, বাকিংহাম প্রাসাদের গেটে ফুল দিয়ে রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে হাত
মিলিয়ে সময় কাটান। ‘সাবাশ, চার্লি!, ‘ঈশ্বর রাজাকে রক্ষা করুন!’ বলে চিৎকার করে জনগণ তাকে স্বাগত জানান। এ সময় এক নারী তার গালে চুমু দেন।
ব্রিটেন রানির জন্য শোক পালন করছে, রানিকে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হবে। এই আনুষ্ঠানিকতা সতর্কতার সঙ্গে কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে, যা বেশিরভাগ মানুষ আগে থেকেই জানে।
কয়েক দিনের মধ্যে রানির মরদেহ বালমোরাল থেকে প্রথমে এডিনবার্গে এবং তারপরে লন্ডনে আনা হবে, যেখানে সম্ভাব্য ১৯ সেপ্টেম্বরের দিকে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে শেষকৃত্যের আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে শায়িত করা হবে।
ভাষণে চার্লস একটি ব্যক্তিগত উদ্ধৃতিতে মাকে হারানোর কষ্টের কথা লিখতে গিয়ে লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় মামা’।
‘আমাদের পরিবার এবং জাতির পরিবারের প্রতি আপনার ভালবাসা এবং ভক্তির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ যে আপনি এত বছর ধরে এত পরিশ্রমের মাধ্যমে সেবা করেছেন,’ তিনি শেক্সপিয়রের ‘হ্যামলেট’-এর একটি উদ্ধৃতি দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন -‘আপনার পরবর্তী যাত্রায় উড়ন্ত দেবতারা গান গাইবে।’
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু, রাজপরিবারের উত্তরাধিকারের নতুন আদেশ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
৯৬৭ দিন আগে