ওপরে
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে
উজানে ও দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাড়ছে অন্যন্য নদ-নদীর পানিও। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুঃশ্চিতায় পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার আমন চাষীরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপরে
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২৪৮ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টের ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দলদলিয়া ইউনিয়নের তিস্তা নদীর অববাহিকার চাপড়ার পাড় এলাকার কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, রবিবার থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার আমন খেতে পানি চলে আসছে। সোমবার ধান খেত তলিয়ে গেছে। জমিতে পানি উঠায় খুব চিন্তায় পড়ে গেছি। এর আগে দুইবার খেত নষ্ট হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপরে, কুড়িগ্রামে বন্যার আশঙ্কা
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, এরকম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে শীতকালীন মরিচ ও চালকুমড়াসহ বিভিন্ন শাক সবজির ক্ষতি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ক্ষতি হতে পারে রোপা আমনেরও। আবহাওয়া এরকম থাকলে বিভিন্ন সবজিতে ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
১ বছর আগে
বরিশালে ৯ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
পূর্ণিমা ও সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ ৯টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বরিশাল।
জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদী, ঝালকাঠীর বিষখালী নদী ও ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ৫ নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
কুড়িগ্রামে কমেছে নদ-নদীর পানি, বেড়েছে ভাঙন
এছাড়া, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯সেন্টমিটার ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
অন্যদিকে, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কঁচা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
তবে বরগুনা সদরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত বিষখালী নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছে।
পাউবোর জলানুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুম জানান, আরও দুই দিন জোয়ারের সময়ে পানি বাড়বে। পানি বৃদ্ধির কারণে বিভাগের নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ জেলা-উপজেলা সদরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ্য উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল জানান, রবিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ৬৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রপাত এবং হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে এক থেকে দুই ফুটেরও বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। পানির উচ্চতা আরও দুই থেকে তিন ফুট বাড়তে পারে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন ও বরিশাল নদী বন্দরকে এক নম্বর সতকর্তা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বরিশালে বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রী হ্রাস ও রাতের তাপমাত্রা অপরবর্তীত থাকতে পারে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে তীরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র-ধরলা নদীর পানি বাড়ছে, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
ফরিদপুরের নদ-নদীর পানি বাড়ছে, ডুবছে ফসল
২ বছর আগে