গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং
থার্ড টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমানের সক্ষমতা যাচাই-বাছাই
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার মান ও সক্ষমতা নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে সেবাগ্রহণকারী এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের। অন্যদিকে থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরাও।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিয়ে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সেবাগ্রহণকারী ও বিশেষজ্ঞরা।
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বলতে কী বুঝায়
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বলতে, যাত্রীর বোর্ডিং পাস ইস্যু, ব্যাগেজ আনা-নেওয়া, কার্গোর মালামাল ওঠানো-নামানো, এয়ারক্রাফটের সব ধরনের সার্ভিসকে বোঝায়। ১৯৭২ সাল থেকে দেশের সব বিমানবন্দরে এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করে আসছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নিজেদের ফ্লাইটের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি ৩৫টির মতো এয়ারলাইন্সের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের সেবা দিচ্ছে তারা।
থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
দুই বছরের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানকে এ দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়টি সম্প্রতি জানিয়ে একটি চিঠি ইস্যু করেছেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী দুই বছরের জন্য বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। দুই বছরের মধ্যে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি কাজ করতে না পারে, সেক্ষেত্রে বিদেশি স্বনামধন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে বিমানের সঙ্গে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা সপ্তাহ উদযাপন
নানা অভিযোগ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর
একটি এয়ারলাইন্স যেই বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করে সেখানকার চেক-ইন কাউন্টারের পাশে কর্মী দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যাগেজ সেবা, কার্গো সেবা ইত্যাদি জায়গায় সর্বত্র পর্যাপ্ত কর্মী দেওয়ার কথা রয়েছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলারের। তবে, জনবল সংকটের কারণে পর্যাপ্ত কর্মী দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অথচ বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো সেবা নিতে অতিরিক্ত ফি পরিশোধ করছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংএ থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে।
বিমানের পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় এয়ার অ্যারাবিয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩০ জনেরও বেশি নিজস্ব কর্মী নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে। একইভাবে ইন্ডিগো এয়ার বিমানবন্দরে ২৫ জন এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ৬০ জন কর্মী নিয়োগ দিয়েছে।
সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) গণশুনানিতে একাধিক বিদেশি এয়ারলাইন্স অভিযোগ করেছে, বিমান তাদের কাছ থেকে চার্জ নিলেও সময়মতো গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিচ্ছে না। ব্যাগেজ প্লেনে পৌঁছতে দেরি হওয়ার কারণে এয়ারলাইন্সগুলো সময়মতো ফ্লাইট ছাড়তে পারছে না। পাশাপাশি ব্যাগেজ বেল্টে দেরিতে লাগেজ দেওয়ায় যাত্রীরা এয়ারলাইন্সের ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এতে অনেক এয়ারলাইন্সের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
যাত্রীদের অভিযোগ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে (গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং) প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, দেরিতে লাগেজ পাওয়া ও চুরির অভিযোগ শোনা যায়। সর্বশেষ চলতি বছর চেন্নাইগামী ফ্লাইটের এক যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৬ হাজার ৮০০ ইউরো অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা চুরির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে হস্তান্তর করে বিমান।
সৌদি থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা এক যাত্রী শিপন ইউএনবিকে বলেন, যতবার দেশে আসি লাগেজ পাওয়াটা মনে হয় সোনার হরিণ। কারণ একটা আতঙ্ক থাকে লাগেজ থেকে কিছু চুরি গেল কি না। বা লাগেজ কাটা কি না। এবার ভালোভাবে লাগেজ পেয়েছি কিন্তু অনেক সময় লেগেছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ উইং কমান্ডার এ টি এম নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের কাছে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম থাকলেও তাদের জনবল নেই। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ ও ২ নম্বর টার্মিনাল চালাতে গিয়েই তারা হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব দেওয়া উচিত হবে না।
তিনি আরও বলেন, নতুন টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমানের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম থাকতে পারে, তবে তাদের বিষয়ে যাত্রীদের মতামত ভালো নয়। বিমান যেহেতু দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে, টার্মিনাল পরিচালনায় তাদের সক্ষমতা ও মানসিকতা কেমন হয় সেটিই এখন দেখার বিষয়।তবে আন্তর্জাতিক মানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, বিশ্বের কোথাও কোনো একটি সংস্থা এককভাবে বিমানবন্দর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করে না। সেখানে শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করছে বিমান।
তিনি আরও বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিতে গিয়ে বিমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। এখন তারা শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এটা তারা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে তা বলা যায় না।
এভিয়েশন অপারেটর'স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ও নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে বিমানের জিম্মায় তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দুই বছরের জন্য প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক চলমান এবং তা যৌক্তিক।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা এবং টার্মিনাল অপারেশন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বর্তমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং মনোপলি ভেঙে একাধিক কোম্পানিকে দেওয়া হোক। এখানে বিমান প্রসঙ্গ নয়, বরঞ্চ গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবার মনোপলি ভাঙা সম্ভব হলে চূড়ান্ত বিচারে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ ইউএনবিকে বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে সক্ষমতার জন্য নতুন নতুন সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে সক্ষমতার বিষয়টি আমরা দেখছি। দুই বছর যে আমরা হাত দিয়ে বসে থাকব বিষয়টা এমন নয়।যদি তার ক্ষমতার ঘাটতি হয় বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলনে, গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। যথেষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী তৈরি করা হবে। জনবল সংকট দূর করা হবে।
কবে নাগাদ চালু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ পর্যায়ে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হতে আরও এক বছর লাগবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া ইউএনবিকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের সেবার মান আধুনিক হবে। টার্মিনালের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে যাতে আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে সে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। কোনোভাবেই খারাপ মান বা কোনো এয়ারলাইন্স বা যাত্রী থেকে যেন কোনো অভিযোগ না আসে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলছি।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী: আইএসপিআর
১ সপ্তাহ আগে
ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিম বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং-এর কাজ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর পরিদর্শনের সময় একটি স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং উন্নত করতে হবে এবং বিশ্বমানের হতে হবে। সেই থেকে আমরা কাজ করছি।’
সিইও শফিউল আজিম বলেন, ‘তখন থেকে নতুন যন্ত্রপাতি কিনছি। নতুন করে ১ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনেছি, পাইপ লাইনে আছে আরও ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার উপকরণ। আমরা জনবলও নিয়োগ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, এতেও সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সঙ্গে একটি প্রকল্প নিয়েও কাজ করছি, এটি এখনও চলমান।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে চালু হবে ১২ বোর্ডিং ব্রিজ: বেবিচক
১ বছর আগে
ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করবে জাপান: বেবিচক চেয়ারম্যান
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডিংয়ের কাজ জাপান করবে, জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। তাদেরই এ কাজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের কাজ দেওয়ার জন্য কি ধরনের টার্মস দেওয়া হবে সেটি নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে করা হবে।’
শনিবার (১৫ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘এটিজেএফবি ডায়ালগ’ এ এই তথ্য জানানো হয়। ডায়লগের আয়োজন করে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সভাপতি তানজিম আনোয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
বিমানের উড়োহাজার কেনা প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের বহর বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দিয়েছেন ও কার্গো সক্ষমতা বাড়াতে বলেছেন। এ কারণেই এয়ারক্রাফট কেনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এয়ারবাস কেনা হবে, বোয়িং কেনা হবে না সেটা নয়। যে আমাদের ভালো অফার দেবে তাকেই বেছে নেবে বিমান। আমাদের সঙ্গে বোয়িং-এর আগে থেকেই সম্পর্ক আছে, এয়ারবাসের ইস্যুও এসেছে। এয়ারবাস বোয়িং থেকে ভালো অফার দিলে আমরা ওদিকেই যাব।’
সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক হাব করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ম্যাস্টার প্ল্যান করে কাজে নেমে গিয়েছিলাম। জায়গা অধিগ্রহণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এজন্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকার প্রায়োরিটিতে রাখতে পারেনি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য(পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সদস্য (এটিএম) শাহ কাউসার আহমেদ চৌধুরী, সদস্য (প্রশাসন) মো. মাহবুব আলম তালুকদার,সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী, প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ১৮০০ গ্রাম কোকেন জব্দ, ভারতীয় নারী আটক
১ বছর আগে
তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সেবা উন্নত করতে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেয়া হবে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেছেন, সংস্থাটি দেশিয় বা যেকোনো বিদেশি কোম্পানি হতে পারে, তবে এর মান অবশ্যই আন্তর্জাতিক হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান বলতে শুধু বিদেশি কোম্পানিকে বুঝানো হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মানের দেশিও হতে পারে বা বিদেশিও হতে পারে।
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, মূলত গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা আর যাত্রী ভোগান্তির কারণে তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড ও কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানকে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা হবে।
যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড এবং কার্গো হ্যান্ডলিং কার্যক্রম একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানের কাছে আউটসোর্স করা হবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে অনেকবার যথেষ্ট কঠোরভাবে বলা হয়েছে একটি লাগেজও যাতে নষ্ট না হয়। লাগেজটাকে যেন মানুষের মতো ফিল (অনুভব) করা হয় কিন্তু তারা শুনছে না। এটা খুবই দুঃখজনক।
পড়ুন: ঢাকার নদী দূষণে মূল দায়ী ওয়াসা: এনআরসিসি চেয়ারম্যান
তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মানের সেবা, যেখানে যাত্রীর কোনো অভিযোগ থাকবে না। দ্রুত সেবা দেয়া যাবে। যাতে কোনো যাত্রী ভোগান্তি না হয় এবং সরকারের আয়ও বাড়বে।’
তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ইউএনবিকে বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করার কথা ভাবছি। তখন সমস্ত নিয়ম ও শর্ত পরিপালন করে যারা যোগ্য বিবেচিত হবেন তারাই এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য যাত্রীদের উন্নত সেবা প্রদান করা, তার জন্য করণীয় সকল কাজ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের কাজের মান নিয়ে কোন ধরনের আপোষ করা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। দরপত্রে উল্লেখিত মানের পণ্যই এই প্রকল্পের কাজে সরবরাহ নেয়া হবে, অন্য কোন কিছু গ্রহণ করা হবে না। রাষ্ট্রের বা জনগণের এক পয়সা ক্ষতি হয় এরকম কোন কিছু এখানে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান উন্নত দেশে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করছে এমন প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হবে। বিমানবন্দরের সেবার মান নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো আপস করব না।
মাহবুব আলী বলেন, বিমানবন্দরে যাত্রীরা যাতে কোন হয়রানির শিকার না হন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে সেবা দেয়া হয়, সেই ধরনের আন্তর্জাতিক সেবা যাতে দেয়া হয়, সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।
পড়ুন: তীব্র খরায় বাগেরহাটে আমন উৎপাদন ব্যাহত
কফি, একাকীত্ব বা সুখ: বিশ্বের ‘উদ্ভট’ যত মন্ত্রণালয়
২ বছর আগে