প্রভাব
গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা সংসদ সদস্যের
অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের কারণে নতুন প্রজন্ম পঙ্গু হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
শনিবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অ্যাপ তৈরি করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার নিষ্ক্রিয় করতে পারে কি না, সে বিষয়ে পরামর্শ দেন কুমিল্লা-৭ আসনের এই সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল টাওয়ার ফ্রিল্যান্সিং ছাড়া অন্য কোনো কাজে বা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বিকল্প পথ হিসেবে কেন ব্যবহার করা হয় না- সেটিও আমাদের খতিয়ে দেখা উচিত।’
আরও পড়ুন: ৫ সদস্যের জাতীয় সংসদের প্যানেল সভাপতি মনোনীত
তা না হলে ১০ বছর বয়স থেকে শুরু করে তার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সবাই কানে কম কথা শোনার অভিযোগ করছেন বলে জানান প্রাণ গোপাল দত্ত।
তিনি আরও বলেন, মানুষ অভিযোগ করছে যে তারা শুনতে পারছে না, তারা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারছে না। তাই এমন কিছু উদ্ভাবন করা উচিত যাতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকে।
এই সংসদ সদস্য বলেন, স্বাস্থ্য খাত সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাত যেখানে পরীক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচ আকাশচুম্বী।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের উদ্ধৃতি দিয়ে দত্ত বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সরকারি খাতের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, 'এখন এটা (শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা) সারা বিশ্বে পণ্যে পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে টাকা থাকলে চিকিৎসা হবে, টাকা না থাকলে চিকিৎসা পাবেন না। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দেখাশোনা করার কেউ নেই।’
চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গবেষণা, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্যে বিশেষ নজরদারির আহ্বান সংসদীয় কমিটির
৬ মাস আগে
ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' কোনো বিবৃতির কারণে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, 'ড. ইউনূস ইস্যুতে কিছু লোক বেশ কিছু লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। লবিস্টদের বিবৃতির কারণে বিনিয়োগে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূস গত ১২ বছর ধরে আলোচনায় রয়েছেন। তারপরও বাংলাদেশ এখনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ পায়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া পরিশোধের জন্য বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সরকারের বন্ড চুক্তি সই
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। এর সঙ্গে বিনিয়োগের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি স্রেফ আইনি বিষয়।’
ড. ইউনূসের কর্মচারীরা তাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়ে মামলা করেছেন। সেই মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারে এখানে কোনো পক্ষ নয়।
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তার কর্মচারীরা মামলাটি দায়ের করেছেন। সরকার এখানে কোনো পক্ষ নয়। এটা আদালতের সিদ্ধান্ত। সরকার এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফুল হাসান, মো. ট্রাস্টি নূরজাহান বেগম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান।
তাদের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের কিছু শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী না করা, সরকারি ছুটি নগদায়ন না করা এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
৮৪ পৃষ্ঠার রায়ে বিচারক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে আদালত তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন।
ড. ইউনূস দাবি করেন, তিনি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছেন যা তিনি করেননি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ড. ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এমন একটি অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছি, যা আমি করিনি। আপনি যদি এটাকে ন্যায়বিচার বলতে চান, বলতে পারেন।’
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
অপতথ্যকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
১০ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
ক্লাইমেট অ্যাকশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তরুণদের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই।
তিনি বলেন, ‘তাদের একটি উদাহরণ হিসেবে নেওয়া উচিত। তারা স্থানীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হিসেবে কাজ করে এবং মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোর সঙ্গে কার্যকরভাবে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করে।’
ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবীণ রাজনীতিবিদরা তাদের কথা শুনতে শুরু করেছেন এবং এটি স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়তো বলতে পারেন তারা মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি থেকে অনেক দূরে। আমি মনে করি না এটা সত্য। তারা প্রকৃতপক্ষে রাজনীতির ভবিষ্যৎ: বৈশ্বিক সমস্যা, স্থানীয় সমাধানের অগ্রদূত।’
হারনেট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস' (বিডিওয়াইএস) এর সর্বশেষ পর্ব।
হারনেট টিভির প্রতিষ্ঠাতা সিইও ও এমডি আলিশা প্রধান এই অনুষ্ঠানের গ্রন্থনা ও পরিকল্পনা করেছেন।
আয়োজকরা বলেন, বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের সহ-অর্থায়নে ও সহযোগিতায় আয়োজিত এই আয়োজন বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে তাদের অঙ্গীকারের একটি দৃঢ় প্রমাণ।
তরুণদের তাদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি নির্বাচন করে, চরমপন্থী চিন্তাভাবনা পরিহার করে ইতিহাস অধ্যয়ন করতে, তাদের নিজের এবং বাকি বিশ্বের ইতিহাস অধ্যয়ন করার জন্য তরুণদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই।
তিনি বলেন, ‘এটি আপনাদের আপনার নিজের গ্রাম, শহর বা দেশের জন্য সেরা পছন্দগুলো কী তা আরও ভালোভাবে জানতে দেবে। এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভুল তথ্য প্রচারণা চালানো থেকে সতর্ক থাকুন।’
আরও পড়ুন: মিনি ফিল্ম ফেস্টিভেলের মাধ্যমে মানবাধিকার সপ্তাহ পালন ডাচ দূতাবাসের
রাষ্ট্রদূত তার নিজের জীবনের গল্পে বলেন, 'আমার বাবা কখনো কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দেননি, আমার মাও ছিলেন না। কিন্তু আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের মধ্যে উত্তপ্ত আলোচনা চলছিল এবং তারা ট্রেড ইউনিয়নে, তাদের নিজ নিজ পেশাদার শাখায় সক্রিয় ছিলেন।’
তিনি বলেন, এটা সত্য তরুণরা প্রতিনিধিত্ব করে কম, ব্যাপকভাবে কোনো ব্যালটে তাদের ভোট দেয় না এবং কম বেশি রাজনৈতিক দলগুলোকে মেনে চলে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচিতে বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মতামত বিবেচনায় নেওয়া হবে না।’
রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই বলেন, চ্যালেঞ্জ করা সবসময়ই ভালো বিষয়। ‘১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে আমাদের উদ্দেশ্য, আদর্শ ও লক্ষ্যগুলো মনে রাখবেন: উদাহরণস্বরূপ, আমরা নারীদের জন্য আরও অধিকার এবং একটি ইউরোপের একত্রীকরণ চেয়েছিলাম। আমরা পরেরটি অর্জন করেছি এবং লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেছি।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, তাদের শুধু সবাইকে বলার আছে এমন নয়, তাদের বিশেষ দায়িত্বও রয়েছে। তারা ভবিষ্যতের জন্য প্রধান সমস্যা হিসেবে কোন ইস্যু চিহ্নিত করেছে সে বিষয়েও তাদের দায়িত্ব রয়েছে। ‘জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটি আজ স্পষ্ট।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, সামাজিক প্রতিবাদ আন্দোলনে তরুণরা বেশ নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেটা ‘মি টু’ আন্দোলন হোক, ফ্রান্সের ইয়েলো জ্যাকেটের মতো প্রতিবাদ হোক বা জলবায়ু বিক্ষোভ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, একটি ভোট না দেওয়ার অর্থ হলো একজন ব্যক্তি মতামত দেওয়া থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সরে যাওয়া এবং দেশের উন্নয়নে সহায়তা করা বন্ধ করে দেওয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ দূতাবাস, ইয়াঙ্গুনের উদ্যোগে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস পালিত
মাসদুপুই বলেন, ‘এটি অন্যদের সেরা ধারণা হিসেবে ভালো নয় এমন ধারণাটি দ্বিগুণ করার সুযোগ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, 'গতানুগতিক রাজনীতি থেকে সরে আসার এই ধরনের আচরণ আজকাল কার্যত সামাজিক মাধ্যমে সহজতর হচ্ছে। তরুণরাই সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় প্রধান দল।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমি বলছি না যে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত, বরং ছোটবেলা থেকেই তাদের সম্পর্কে আমাদের শিক্ষিত হওয়া উচিত। সত্য ও মিথ্যাকে কীভাবে আলাদা করা যায়, সেটাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
বাংলাদেশে ফরাসি দূতাবাস, রোটারি ক্লাব, ইউএনবি, হারনেট টিভি, সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন, গোল্ড স্যান্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, কাজী অ্যান্ড কাজী টি, মেঘনা ব্যাংক, হারনেট ব্লিসমাইন্ড, জোন্টা, ব্লু প্ল্যানেট গ্রুপের সহযোগিতায় বিডিওয়াইএস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ইউল্যাবের ছয়জন মেধাবী শিক্ষার্থী এই সংলাপে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে 'ক্ষমতায় অংশগ্রহণ: নীতি প্রণয়ন, আইনের শাসন, মানবাধিকার, নাগরিক শিক্ষা' শীর্ষক এই পর্ব ছিল।
ইউল্যাবের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ইমরান রহমান, হারনেট গ্রুপের উপদেষ্টা মনির প্রধান; হারনেট টিভির চেয়ারপারসন হোসনে প্রধান; ইউল্যাবের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর জুড ডব্লিউ আর জেনিও; সার্ক চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জসিম উদ্দিন; বাংলাদেশে ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর শেলডন ইয়েট; বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশে মাইক্রোসফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক; জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি দিলরুবা আহমেদ; মেঘনা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কিমিওয়া সাদ্দাত এবং ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান সম্পাদক জাফর সোবহান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপটি সঞ্চালনা করেন হারনেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সামাজকর্মী আলিশা প্রধান।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আগামী ২৩ ডিসেম্বর সৌদি দূতাবাসে অনুষ্ঠিত হবে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস'-২০২৩ এর সমাপনী পর্ব।
আরও পড়ুন: 'মুজিব: দ্য মেকিং অব এ নেশন' ঐতিহাসিক দলিল: গওহর রিজভী
১ বছর আগে
ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বাংলাদেশের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার(১৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের শিবের বাজারে জিসি-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক নেই এবং আমরা তাদের স্বীকৃতিও দেইনি। চলমান সংঘাতের কারণে পুরো বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা কিছু সমস্যার কারণ হতে পারে।’
তিনি বলেন, 'আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছি এবং শান্তি চাই। ফিলিস্তিন-ইসরায়েলকে দুটি অঞ্চলে বিভক্ত না করা পর্যন্ত সেখানে কোনো শান্তি আসবে না।
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সারা দেশে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হাজার হাজার মুসল্লি।এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ইসরায়েলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অর্থ চাই না তবে আপনার পূর্ণ সমর্থন এবং ভালবাসা চাই। ফিলিস্তিন চায় বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে থাকুক। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
এদিকে গাজায় খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জরুরি সরবরাহের সংকট দেখা দিয়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো।
আরও পড়ুন: জনশক্তি সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে আগ্রহী ওমান
অবরুদ্ধ গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য বাইরে থেকে কোনো সহায়তা আসতে পারে না এবং প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
গত সপ্তাহে শুরু হওয়া চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে অভিভূত: রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) মঙ্গলবার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ দেশে পোশাক পণ্য রপ্তানি ব্যাহত করবে না, বরং পশ্চিমের আর্থিক সংকটের কারণে হ্রাস পেতে পারে।
মঙ্গলবার বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত আপনাদের সঙ্গে সর্বশেষ শিল্প পরিসংখ্যান ভাগ করছি। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, চলতি বছরের প্রথম ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক পোশাক আমদানি আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের একক বৃহত্তম আমদানিকারক।
ফারুক বলেন, এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক বৈশ্বিক পোশাক আমদানি মূল্যের দিক থেকে ২২ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
তিনি বলেন, অন্যদিকে পরিমাণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক আমদানি ২৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানির পরিমাণ ২৯ শতাংশ কমেছে।
তিনি আরও বলেন, এর অর্থ, পরিমাণের দিক থেকে গত ৭ মাসে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি এক-তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।
ফারুক বলেন, এদিকে ইউরোপ থেকে বৈশ্বিক আমদানি কমেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। এছাড়া রপ্তানিকারক দেশগুলো থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশ থেকে আমদানি কমেছে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুটি প্রধান বাজার উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ হয়ে থাকে। আর কোনো কারণে এই দুই বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিলে তা আমাদের শিল্পের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে আমরা সর্বদা বাজার সম্প্রসারণ এবং নতুন বাজার তৈরির দিকে মনোনিবেশ করেছি। আমরা ২০১০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এটি করে আসছি। সম্প্রতি আমরা অস্ট্রেলিয়ায় দিনব্যাপী বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিটের আয়োজন করেছি। সেখানে আমরা আমাদের শিল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি তুলে ধরেছি।’
বিজিএমইএ অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানিতে নতুন গতি আশা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইরাক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আশাবাদী বিজিএমইএ সভাপতি
তিনি বলেন, বিজিএমইএ দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, ভারত, সৌদি আরব এমনকি ইরাকের মতো আরও অনেক অপ্রচলিত বাজারের সঙ্গে কাজ করছে। নতুন বাজারে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ আরও জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ১০টি কোম্পানি ৩০০ কোটি টাকা পাচার করেছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয়।
১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি বিজিএমইএ’র সদস্য, দু’টি বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সদস্য এবং ৪টি তাদের কোনোটির সঙ্গেই সম্পৃক্ত নয়।
এতে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক রপ্তানির নামে ঢাকা ও গাজীপুরের ১০ রপ্তানিকারকের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলারের অভিযোগ উঠেছে।
দেশটির গণমাধ্যমও এ বিষয়ে খবর ছড়িয়েছে। এরপর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
ফারুক বলেন, ‘এই তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট।’
পোশাক কারখানাগুলোর অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তে সরকারকে আলাদা টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান তিনি।
বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ বলেন, পাশ্চাত্যে মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণে গার্মেন্টস পণ্যের খুচরা বিক্রয় কমে যাওয়ায় দেশের রপ্তানি মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হওয়ায় রপ্তানি হ্রাসের দায় তারা নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, সংগঠনের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ অন্যান্য কারখানা মালিকরা।
আরও পড়ুন: নতুন ডিসিটিএস স্কিম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব তৈরি করতে পারে: বিজিএমইএ সভাপতি
১ বছর আগে
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বদ্ধমূল সমস্যা এবং এর প্রভাব অনেক বেশি বিস্তৃত।
তিনি বলেন, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবার, সম্প্রদায় ও সামগ্রিকভাবে জাতিকে প্রভাবিত করে।
তিনি আরও বলেন, এ সহিংসতা কেবল শারীরিক ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি গভীর মনস্তাত্ত্বিক ক্ষত সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে পারিবারিক কাঠামোকে ব্যাহত করে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্তরে ক্ষতিগ্রস্তদের অগ্রগতিতে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
শনিবার (২২ জুলাই) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স বেঞ্চ বুক লঞ্চ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা মোকাবিলা এবং প্রশমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আদালত এ ধরনের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে; যাতে তারা প্রতিকার পায় এবং অপরাধীদের জবাবদিহি করতে পারে।
তিনি বলেন, এমন প্রেক্ষাপটে, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাবিষয়ক মামলার জটিল বিষয়গুলোর সহজ সমাধানে বিচার বিভাগীয় বেঞ্চ বুক দুটি বিচারকদের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব স্তরের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সমাজের দুর্বল ও অসহায় মানুষদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক পরিসরে আইনি, প্রশাসনিক ও নীতিগত সংস্কার করেছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার বিষয়ে সুদৃষ্টি দিয়েই তার সরকার ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ২০১০ সালে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন করেছে।
২০১২ সালে পর্নোগ্রাফি (নিয়ন্ত্রণ) আইন ও মানব পাচার প্রতিরোধ আইন করেছেন। এ আইনগুলো সহিংসতা ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশুরা মানব পাচারের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। এ ঘৃণ্য অপরাধ দমনে কৌশলগতভাবে সাতটি বিভাগীয় সদরে সাতটি মানব পাচার বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী ১০১টি বিশেষায়িত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি উল্লেখযোগ্য নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে।
এছাড়া এ দূরদর্শী পদক্ষেপগুলো নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ হিসেবে করেছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: আইনমন্ত্রী
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
দেশের বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম
ঈদের ছুটি শেষে খুলছে দেশের স্থলবন্দরগুলো। গত কয়েকদিন ধরে কাঁচামরিচের অগ্নিমূল্যের জেরে গতকাল রবিবার (২ জুলাই) থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। আমদানির খবরেই কমতে শুরু করে কাঁচা মরিচের দাম।
সম্প্রতি খুচরা বাজারে প্রতিকেজি সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এর দাম ১০০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
দুই সপ্তাহ আগেও রাজধানীতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। কয়েক দিনের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।
এর পর থেকে দাম কমেনি বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়, এমনকি ১০০০ টাকায় পৌঁছায়।
তবে রবিবার (২ জুলাই) আমদানির প্রভাবে কাঁচা মরিচের তেজ কমতে শুরু করেছে। মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা
ইউএনবি’র খুলনা প্রতিনিধি জানান, খুলনার বাজারে ঢুকেছে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ। ফলে একদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে ৪০০ থেকে ৫০০।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে কাচাঁ মরিচের কেজি ৮০০ টাকা!
গতকাল রবিবার কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। আজ সকাল থেকে বাজার এবং মরিচের মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে। দাম কম হওয়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
সোমবার (৩ জুলাই) নগরীর বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য মিলেছে।
খালিশপুর পৌরসুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম বলেন, কাঁচা মরিচের মানভেদে দাম কমেছে। আজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করছি।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, বাজারে ভারতীয় কাঁচা মরিচ এসেছে। এ জন্য দাম কমেছে। আজ সকাল থেকে ২০০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করছি। গতকালও রবিবার কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী কাজী সামসুদ্দীন বলেন, আমদানি করায় বাজারে অনেক কাঁচা মরিচ এসেছে। আমি ১২০ টাকা কেজি দরে ১৫ কেজি মরিচ কিনেছিলাম। বিক্রি করছি ১৬০ টাকা কেজিতে। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম নিচ্ছি ৪০ টাকা।
গতকালও ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। দাম কম হওয়ায় ক্রেতাও বেড়েছে।
খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেট কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, কাঁচা মরিচের আমদানি হওয়ায় দাম কমেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা আজ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করছেন।
নগরীর চিত্রালী বাজারে আসা পারভেজ আলম বলেন, আজ কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। প্রতি কেজি ২৫০ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় মানুষ ঝাল কিনতে পারছেন। তবে দাম আরও কমলে ভালো হয়।
আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী দামের মধ্যে দেশে ৯৪ টন কাঁচা মরিচ আমদানি
খালিশপুর হাউজিং বাজারে আসা তসলিমা বেগম বলেন, কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। গতকালও ছিল ৬০০ টাকা কেজি। আজ ২০০ টাকা কেজি চাচ্ছে। শুনেছি ভারতীয় কাঁচা মরিচ এসেছে। আরও দাম কমবে।
ইউএনবি’র বরিশাল প্রতিনিধি জানান, বরিশালে এক রাতের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম ৮০০ টাকা থেকে কমে ৩০০ টাকায় এসেছে। এর আগে রবিবার রাত পর্যন্ত কাঁচামরিচ ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
সোমবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে সেই কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সকালে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তবে বরিশালের একমাত্র পাইকারি কাঁচামালের বাজার বরিশাল বহুমুখী সিটি মার্কেটে ১৮০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বহুমুখী সিটি মার্কেটের দুলাল বাণিজ্যালয়ের মালিক আমিন শুভ বলেন, এক সপ্তাহ ধরেই কাঁচামরিচের মূল্য বৃদ্ধি ছিল। আজ সকাল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি হওয়ায় মরিচের দাম কমেছে।
এখন ইন্ডিয়ান কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ও দেশি কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে বিক্রি করছি। তবে দুই এক দিনের মধ্যে কাঁচামরিচের দাম আরও কমবে।
পাইকারি কাঁচামালের বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেটের শাহারিয়া বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার রাশেদুল আলম বলেন, কাঁচামরিচের পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ না থাকায় ৬/৭ দিন ৬০০/৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
আজ সকাল থেকে আড়তে ইন্ডিয়ান কাঁচামরিচ ঢুকেছে, তাই মূল্য কমে ২০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে পাইকারি বাজার থেকে ২০০ টাকা দরে কেনা মরিচ নগরীর বিভিন্ন খুচড়া বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে।
নগরীর বাংলা বাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে ২০০ টাকা দরে কাঁচামরিচ কিনে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি না করলে খরচে পোষায় না।
আড়ত থেকে মালামাল আনার খরচ, বাজারে ইজারা খরচ, বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়। সে অনুযায়ী লাভ না করলে পোষাবে কি করে।
এদিকে কাঁচামরিচের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নগরীর বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাতে দেখা গেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে।
আরও পড়ুন: কাঁচা মরিচের ঝাঁজে পুড়ছে বরিশাল
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী জানান, বাজার দর যাতে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে সেজন্য বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কয়েকটি বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ৩৫০ টাকার বেশি বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাদেরকে সাবধান করা হয়েছে। পাশাপাশি পাইকারি বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রি করার জন্য বলা হয়েছে।
১ বছর আগে
‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, চার দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে 'অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট' সেবা প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।
মঙ্গলবার এ বিষয়টিকে একটি প্রোটোকল সম্পর্কিত ইস্যু উল্লেখ করে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তা মনে করি না।’
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতরা অতিরিক্ত পুলিশ প্রোটোকল পেতেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জড়িত।
তিনি আরও বলেন, চার দেশের রাষ্ট্রদূতের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে না, কারণ সরকার বিদেশি দূত ও মিশনের জন্য নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রেখেছে।
আরও পড়ুন: সরকার বিদেশি মিশনে আনসারদের মাধ্যমে বিকল্প সুবিধা দেবে: পররাষ্ট্র সচিব
১ বছর আগে
সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই
ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব নেই সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায়। এছাড়া রবিবার সকাল থেকে চলছে রোদ আর মেঘের লুকোচুরি।
এদিকে গরম পড়ছে। তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজ গরম একটু কম।
এছাড়া মোখা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকর আলী বলেন, সাতক্ষীরা উপকূলে মোখা তেমন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে হয়তো পারবে না। তবে নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে।
সুন্দরবনবর্তী মুন্সিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী বলেন, সকাল থেকে প্রচন্ড রোদ। গরমও পড়ছে। আকাশে মাঝে মাঝে সামান্য মেঘ ভাসতে দেখা যাচ্ছে।
সুন্দরবন ঘেষা গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জানান, সকাল থেকেই রোদ। মোখার কোনো ধরনের প্রভাব এখানে নেই। তবে মানুষের মধ্যে মোখা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, মানসিকভাবে সবাই প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সাইক্লোন সেন্টারগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ঝড় বা জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান বলেন, জলোচ্ছ্বাস নিয়ে সব চেয়ে বেশি ভয়। কারণ শ্যানগরের একাধিক পয়েন্ট-এ বেড়িবাঁধের অবস্থা নাজুক। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে অনেক এলাকা ভেসে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো সংস্কার করার চেষ্টা চলছে।
বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষকে সর্তক করা হয়েছে। খাদ্য, ওষুধপত্র মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে শুরু করায় ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ পর্যায়ে
ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
১ বছর আগে
‘অফলাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বেই’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাইবারজগতের সবখানে দায়িত্বশীল আচরণ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অফলাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বেই। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে বাস্তবজীবনে আমরা কতোটা দায়িত্বশীল।
সোমবার রাজধানীর বারিধারায় অ্যাস্কট দ্য রেসিডেন্স ভবনে ‘অ্যাডভোকেসি ডায়ালগ: অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড প্রটেকশন অব ডিজিটাল সিটিজেনশিপ অ্যান্ড রাইটস’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের যৌথ আয়োজনে ‘ফস্টার রেসপনসিবল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ টু প্রমোট ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া প্রকল্পটির অধীনে আয়োজিত এই কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন গণ্যমান্য আইনজীবী ও স্বনামধন্য মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার হচ্ছে: মন্ত্রী
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তায়েফ হোসেন বলেন, ‘অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কথা বলছি। তবে এর পাশাপাশি অফলাইনের তথা বাস্তবজীবনের সচেতনতায়ও নজর দিতে হবে’।
এছাড়া ‘লাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বে ‘।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অফলাইন জগতকে এত বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি যে কোথাও খেতে বসলে খাবারের স্বাদ উপভোগ না করে তার ছবি তুলে আপলোড করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে সবকিছু সচেতনতা দিয়েও হয় না, আইনের শাসনও দরকার হয়’।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সচেতনতা, ইন্টারনেটে সুরক্ষা, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্বাধীন মতপ্রকাশ, ডিজিটাল আইন, ডিজিটাল অপরাধ, অনলাইনে ব্যক্তি পরিচয়, মিথ্যাচার ও ভুল খবর প্রচার ইত্যাদি সংক্রান্ত সচেতনতা, ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের মুক্ত ও নিরাপদ বিচরণ কীভাবে নিশ্চিত করতে পারবে এ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা হয় কর্মশালায়।
কর্মশালায় সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা। তাদের কথায় নানা কার্যকর ও বাস্তবমুখী পরামর্শ উঠে আসে।
কর্মশালাতে এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা অ্যাডভোকেসি ব্রিফটি সবার সামনে তুলে ধরেন ইন্ডিপেনডেন্ট কনসাল্টেন্ট মো. মোজাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হতে সহায়তা করা এবং তাদের মাঝে গঠনমূলকভাবে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে’।
পরবর্তীতে তিনি এই ব্রিফটিতে উল্লেখ করা বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে উপস্থিত সবার সঙ্গে সঙ্গে একটি প্রাঞ্জল মতবিনিময় সেশন পরিচালনা করেন।
এছাড়া দেশের অনলাইন দুনিয়াকে তরুণ নাগরিকদের জন্য আরও সহায়তামূলক করে তোলার জন্য করণীয় বিভিন্ন পরামর্শ এই আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসে।
আরও পড়ুন: ইউটায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে লাগবে অভিভাবকের সম্মতি
১ বছর আগে