সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সাইবারজগতের সবখানে দায়িত্বশীল আচরণ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অফলাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বেই। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে বাস্তবজীবনে আমরা কতোটা দায়িত্বশীল।
সোমবার রাজধানীর বারিধারায় অ্যাস্কট দ্য রেসিডেন্স ভবনে ‘অ্যাডভোকেসি ডায়ালগ: অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড প্রটেকশন অব ডিজিটাল সিটিজেনশিপ অ্যান্ড রাইটস’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের যৌথ আয়োজনে ‘ফস্টার রেসপনসিবল ডিজিটাল সিটিজেনশিপ টু প্রমোট ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া প্রকল্পটির অধীনে আয়োজিত এই কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন গণ্যমান্য আইনজীবী ও স্বনামধন্য মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার হচ্ছে: মন্ত্রী
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার তায়েফ হোসেন বলেন, ‘অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে আমরা কথা বলছি। তবে এর পাশাপাশি অফলাইনের তথা বাস্তবজীবনের সচেতনতায়ও নজর দিতে হবে’।
এছাড়া ‘লাইনে ভদ্র ও সভ্য নাগরিক না হলে অনলাইনে তার প্রভাব পড়বে ‘।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অফলাইন জগতকে এত বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি যে কোথাও খেতে বসলে খাবারের স্বাদ উপভোগ না করে তার ছবি তুলে আপলোড করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে সবকিছু সচেতনতা দিয়েও হয় না, আইনের শাসনও দরকার হয়’।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সচেতনতা, ইন্টারনেটে সুরক্ষা, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্বাধীন মতপ্রকাশ, ডিজিটাল আইন, ডিজিটাল অপরাধ, অনলাইনে ব্যক্তি পরিচয়, মিথ্যাচার ও ভুল খবর প্রচার ইত্যাদি সংক্রান্ত সচেতনতা, ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের মুক্ত ও নিরাপদ বিচরণ কীভাবে নিশ্চিত করতে পারবে এ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা হয় কর্মশালায়।
কর্মশালায় সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা। তাদের কথায় নানা কার্যকর ও বাস্তবমুখী পরামর্শ উঠে আসে।
কর্মশালাতে এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি করা অ্যাডভোকেসি ব্রিফটি সবার সামনে তুলে ধরেন ইন্ডিপেনডেন্ট কনসাল্টেন্ট মো. মোজাহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হতে সহায়তা করা এবং তাদের মাঝে গঠনমূলকভাবে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রকল্প কাজ করে যাচ্ছে’।
পরবর্তীতে তিনি এই ব্রিফটিতে উল্লেখ করা বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে উপস্থিত সবার সঙ্গে সঙ্গে একটি প্রাঞ্জল মতবিনিময় সেশন পরিচালনা করেন।
এছাড়া দেশের অনলাইন দুনিয়াকে তরুণ নাগরিকদের জন্য আরও সহায়তামূলক করে তোলার জন্য করণীয় বিভিন্ন পরামর্শ এই আলোচনার মাধ্যমে উঠে আসে।
আরও পড়ুন: ইউটায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে লাগবে অভিভাবকের সম্মতি