যুগপৎ
সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীসহ সব মহানগরে গণমিছিল করবে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি এটি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখাসহ অন্যান্য দল ও জোট পৃথকভাবে রাজধানীতে জুমআর নামাজের পর গণমিছিল করবে।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা দয়াগঞ্জ থেকে একটি মিছিল শুরু করবে, যা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর কর্মসূচির সূচনা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেট থেকে মিছিল বের করে বিকাল ৩টার দিকে মহাখালী বাস স্টেশনে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং গণঅধিকার পরিষদের দুটি অংশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
এ ছাড়া সব মহানগরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং সব মিথ্যা সাজা বাতিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিন্ন লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
১ বছর আগে
শিগগিরই সরকারবিরোধী ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের রূপরেখা পেশ করা হবে: ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শিগগিরই ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের রূপরেখা পেশ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুগপৎ আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা নিয়ে জাতির সামনে হাজির হব।
বিএনপি চেয়ারর্পাসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আরও বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে কাজ করে যাচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনার পর গতকাল (সোমবার) আমাদের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রূপরেখার ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাই হবে মূল ফোকাস। ‘অবশ্যই এই সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং ক্ষমতা একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। যার অধীনে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং তারা এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে সমস্ত ভোটার নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারে।’
আরও পড়ুন: দমনপীড়ন এবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
এছাড়া যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে তাদের নিয়ে ওই নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলেও জানান ফখরুল।
জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রব্যবস্থার যে ক্ষতি করেছে তা একক দলের পক্ষে মেরামত করা যুক্তিসম্মত হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ কারণে আমরা এই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য দলকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যাতে আমরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-যেমন বিচার বিভাগ, প্রশাসন, সংসদ ও গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’
তিনি বর্তমান সরকারের পতন এবং দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিএনপির পরিকল্পিত যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য দেশের সব বিরোধী দলকে আহ্বান জানান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে রাজপথে নামলে আন্দোলন নিজেই তার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে এখন পর্যন্ত তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
তিনি আরও জানান, তবে যে কোনো দল যদি আন্দোলনে যোগ দিতে চায়, তাদের জন্য বিএনপির দরজা খোলা আছে। ‘আমরা স্পষ্টত বলেছি যে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে চায় এমন দল, ব্যক্তি ও সংগঠনের সঙ্গে আমরা একযোগে আন্দোলন করব।’
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির আলোচনা হয়েছে কিনা এবং ২০ দলীয় জোটে না থাকার বিষয়ে তাদের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, জামায়াত ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। ‘আমরা এখন যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছি... সব দলই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন করবে। আমরা এই বিষয়ে কথা বলছি।’
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ফখরুলের শোক
সুদিন আসবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
২ বছর আগে