রাহুল সিনহা
‘নবান্ন চলো’ থেকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু, লকেট, রাহুল আটক
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ‘দুর্নীতি’ বিরোধী মিছিল ‘নবান্ন চলো’ থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় শুভেন্দু ছাড়াও বিজেপির এমপি লকেট চ্যাটার্জি ও রাহুল সিনহাসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
মঙ্গলবার কলকাতার হেস্টিংস থেকে এই বিজেপি নেতাদের আটক করা হয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
আটকের আগে শুভেন্দু গণমাধ্যমকে জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনগণের সমর্থন হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গকে উত্তর কোরিয়ায় পরিণত করেছেন।
তিনি ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইকে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রতি তার জনগণের সমর্থন নেই এবং তাই তিনি বাংলায় উত্তর কোরিয়ার মতো স্বৈরাচার প্রয়োগ করছেন। সোমবার থেকে পুলিশ যা করছে তার মূল্য দিতে হবে। বিজেপি আসছে।’
বিজেপির নবান্ন চলো মিছিলের আগে কলকাতার হেস্টিংসে রাজ্য সরকারের নতুন সচিবালয়ের কাছে পুলিশ ভারী ব্যারিকেড দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত
এ মিছিলে অংশ নিতে কলকাতায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের বহনকারী বেশ কয়েকটি বাস উত্তর ২৪ পরগনায় পুলিশ ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ করে বিজেপি কর্মীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে অংশ নিতে কর্মীরা কলকাতায় যাওয়ার সময় রানিগঞ্জ রেলস্টেশনের বাইরে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
রানিগঞ্জ থেকেও পুলিশ বিজেপির অনেক কর্মীকে আটক করে।
এছাড়াও, মিছিলে অংশ নেয়ার জন্য কলকাতায় আসতে বাধা দেয়ায় বোলপুর রেল স্টেশনের ভেতরে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় আটক করা হয় বেশ কয়েকজন কর্মীকে।
বিজেপি নেতা অভিজিৎ দত্ত বলেন, ‘শতাধিক বিজেপি কর্মী ট্রেনে করে বিজেপির নবান্ন মিছিলে যোগ দিতে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল, পুলিশ রেলস্টেশনের পথে ব্যারিকেড দিয়েছে। দুর্গাপুর রেলস্টেশনের কাছে আমাদের ২০ জন কর্মীকে পুলিশ আটকে দিয়েছে। আমি অন্য পথ ব্যবহার করে এখানে পৌঁছেছি।’
এদিকে বিজেপির নবান্ন অভিযান বন্ধ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিজেপির মিছিলকে সামনে রেখে হাওড়াতেও কড়া ব্যারিকেডিং করা হয়েছে।
কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। মিছিল ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নবান্নের চারপাশের পাঁচ কিলোমিটার জায়গাকে ঘিরে রেখেছে।
সোমবার বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল জানান, ‘নবান্ন চলো’ অভিযানের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এটা শুধু বিজেপির প্রতিবাদ নয়, বাংলার সমস্ত মানুষের প্রতিবাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার সরকার কেন বাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তার জবাব দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২৪
গুজরাট দাঙ্গা: ১১ দণ্ডপ্রাপ্ত ধর্ষকের মুক্তির বিরুদ্ধে ভারতে বিক্ষোভ
২ বছর আগে