তুমব্রু
তুমব্রু থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়েছে ১৮০ রোহিঙ্গাকে
কক্সবাজারের উখিয়ার পাশ্বর্বতী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র দুইটি গোষ্টির মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে।তুমব্রু কোনার পাড়ায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভুখন্ডে আশ্রয় নেয়।
রবিবার আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।প্রথম দফায় ৩৫ পরিবারের ১৮০জন রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছেন।এদেরকে ঘুমধুমসহ ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেয়া হয়।পর্যায়ক্রমে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প হস্তান্তর করা হবে।সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।
আরও পড়ুন: ‘তুমব্রু সীমান্তে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত কি না যাচাই করা হবে’
এ ব্যাপারে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে তাদের ট্রানজিট ক্যাম্পে হস্তান্তর শুরু হয়। এখানে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) ২ কর্মকর্তার অধীনে ডজনাধিক স্টাফ কাজ করেন। প্রথমদিন ৩৫ পরিবারের ১৮০ জনকে তার ইউনিয়ন এলাকার পশ্চিমাংশে অবস্থিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূর্বাংশের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, নিবন্ধিতদের প্রত্যেককে স্লিপ দেয়া হয়েছে। সেখানে কোন রোহিঙ্গাকে কোন ক্যাম্প বা সেটে পাঠানো হবে তা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। নম্বর উল্লেখ আছে। আর এসব স্লিপের নিচে সই করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন (আরআরআরসি) এর কর্মকর্তা প্রিতম সাহা।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক খুন
উল্লেখ্য, বর্তমানে তুমব্রু ৫৫৮ পরিবারের ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। যাদের মধ্যে ৩৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের দুই হাজার ৯৮ রোহিঙ্গা নিবন্ধিত। বাকি ১৭৯ পরিবারের ৮৭২ জন রোহিঙ্গা অনিবন্ধিত।গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রোহিঙ্গা হামিদ উল্লাহ নিহত এবং দু’জন আহত হয়েছেন। এ সময় শূন্যরেখার বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে যায়। এরপর তুমব্রু বাজারে তাবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেন তারা।
১ বছর আগে
মিয়ানমার সীমান্তে গোলাবর্ষণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত, আহত ৫
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের কাছে জিরো পয়েন্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে ১৭ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন।
নিহত কিশোর মো. ইকবাল জিরো লাইনের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মনির আহমেদের ছেলে।
আহতরা হলেন- নবী হোসেন (২২), ভুলু (৪৪) সাজিয়া জান্নাত (১০), আনাচ (১২) ও সাবেকুন্নাহার।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজির মতে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরপর চারটি মর্টার শেল পড়ে। একটি বিস্ফোরণে ইকবাল ঘটনাস্থলেই নিহত এবং অন্য পাঁচ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
আহতদের উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর জিরো পয়েন্ট ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং বিজিবি সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন জানান, নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ধুনধুম এলাকায় একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্রটি পরিবর্তন করে উখিয়ার কতুপালং কেন্দ্রে নেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যুবক গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে গুলি চালানোর পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে: পুলিশ
আহত উনুসাই তঞ্চঙ্গ্যা (২২) উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, জিরো লাইনে গরু আনতে গেলে তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে যুবক উনুসাই গুরুতর আহত হন।
ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, বিস্ফোরণে উনুসাই তঞ্চঙ্গ্যা তার বাম পা হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের অভিযোগ
তিনি জানান, এঘটনার পর পরই তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এই পর্যন্ত ১২টি মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
২ বছর আগে