সামগ্রী
সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা সামগ্রী সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি ডিএনসিসির
সড়কে ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা নির্মাণসামগ্রী জব্দ করে সেগুলো তাৎক্ষণিক উন্মুক্ত নিলামে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। শনিবার মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকায় এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম।
জানা যায়, এদিন ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে গিয়ে দেখতে পান সেখানে প্রধান সড়কে ও ফুটপাতে বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী অবৈধভাবে রেখে দেয়া হয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের কর্তৃপক্ষকে না পেয়ে ডিএনসিসি মেয়র সড়কে ও ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রী রেখে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: মশা নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, জরিমানা ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা
ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে রাখা সকল নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামের ডাক দেয়া হয়। নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য সামগ্রী। জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় জনসম্মুখে উন্মুক্ত স্থানে প্রকাশ্যে নিলামে জব্দকৃত সকল মালামাল বিক্রি করা হয়।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভার সন্ধানে অভিযানে এসে দেখি বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য সামগ্রী রাস্তার ওপরে ও ফুটপাতে রেখে দেয়া হয়েছে। বালুর কারণে ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে গেছে। রাস্তায় পানি জমে রয়েছে। জনগণের চলাচল বাধাগ্রস্ত করে ফুটপাত ও রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রাখা যাবে না। সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, সরকারি ভবন নির্মাণ প্রকল্প বলেই আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয়, পানি জমে এডিসের লার্ভা যেন না জন্মায় এগুলো বিশেষ নজর রাখতে হবে। শুধু মিরপুরে নয়, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা কঠোর ব্যবস্থা নিবে। কিছুতেই জনগণের ভোগান্তি হতে দেয়া যাবে না।
ডেঙ্গুর নিয়ন্ত্রণে জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনগণের সচেতনতা জরুরি। এবছর বর্ষার শুরু থেকেই আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। বিগত সময়ের তুলনায় ডেঙ্গুকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গুকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবো। স্বচ্ছ পানি জমতে দেয়া যাবে না। বাসা বাড়ি, বারান্দা ও ছাদবাগান নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসি এলাকার ছাদবাগানের ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে।
আগামী অক্টোবরে কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তায় ডিএনসিসি ছাদবাগান বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪৪ টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এসময় তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ারও আহ্বান করেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
মশক নিধনে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান শুরু
২ বছর আগে