বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন
মোবাইল অপারেটরদের তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, চারটি বেসরকারি টেলিকম অপারেটর- গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং এয়ারটেলের টু-জি স্পেকট্রাম ফি এবং লাইসেন্স ফি এর ভ্যাট হিসাবে সরকারের কাছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
রবিবার রাজধানীর কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, ‘সরকারের টাকা মানে জনগণের টাকা, তাই অপারেটরদের অবশ্যই টাকা দিতে হবে।’ বিটিআরসি টাকা তুলতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অক্টোবর থেকে কলড্রপে টকটাইম ফেরত: বিটিআরসি
তিনি আরও বলেন, ‘বিটিআরসির সকল আইন ও নীতি জনগণের কল্যাণে প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা টেলিযোগাযোগ খাতকে দেশের একটি যুগোপযোগী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
প্রদেয় পরিমাণের বিষয়ে তিনটি প্রধান টেলিকম অপারেটরকে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক আদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিটিআরসি নিরলসভাবে কাজ করছে।’
স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার অধ্যাপক শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, বকেয়া প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ও জনগণের টাকা। টেলিকম অপারেটরদের এই টাকা দিতে হবে।
বিটিআরসির মহাপরিচালক (আইন ও লাইসেন্সিং বিভাগ) আশিস কুমার কুন্ডু বলেন, গত বছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোনের কাছে এক হাজার ১৬৩ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা, বাংলালিংকের কাছে ৬২৫ দশমিক ২৭ কোটি টাকা, রবির কাছে ৫৬৫ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা এবং এয়ারটেলের কাছে ৫৯ দশমিক ০৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
তিনি বলেছিলেন, বিটিআরসি অপারেটরদের কাছ থেকে শতভাগ রাজস্ব পাবে এবং ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করা যাবে না।
বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রকিব বলেছেন, বিটিআরসি অবশ্যই অপারেটরদের কাছ থেকে তার বকেয়া পাবে কারণ তারা অবৈধভাবে অর্থ দাবি করেনি।
তারেক হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অন্যান্যদের মধ্যে বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ পরিচালক (আইনি ও লাইসেন্সিং)।
আরও পড়ুন: মোবাইল অপারেটরদের তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান
গ্রামীণফোন নতুন-পুরাতন কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না: বিটিআরসি
১ বছর আগে
এক এনআইডিতে ১৫টির বেশি সিমকার্ড বন্ধ করছে বিটিআরসি
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) শিগগিরই একটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) কার্ডের অধীনে ১৫টির বেশি নিবন্ধিত সিম (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউল) কার্ড নিষ্ক্রিয় করতে যাচ্ছে।
বিটিআরসি-এর ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র রবিবার ইউএনবিকে বলেছেন, বিটিআরসি’র সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একজন গ্রাহককে তার এনআইডি দিয়ে সর্বাধিক ১৫ টি সিমকার্ড নিবন্ধন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা, গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে একটি এনআইডি’র বিপরীতে ১৫টির অতিরিক্ত সিমকার্ড নিষ্ক্রিয় করার অনুরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করার উপায়
এছাড়া ব্যবস্থা নিতে বিটিআরসি এক এনআইডিতে নিবন্ধিত এ ধরনের সিম কার্ডের তথ্য সংগ্রহ করছে।
২০১৬ সালের ২০ জুন বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নেয় যে একটি এনআইডি কার্ডের বিপরীতে ২০টি সিমকার্ড নিবন্ধন করা যেতে পারে এবং পরে ২০১৭ সালের আগস্টে এ সংখ্যা ৫টি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কমিশন তার সিদ্ধান্ত সংশোধন করে এবং এক এনআইডির বিপরীতে ১৫ টি সিমকার্ড নিবন্ধনের বিষয়টি নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
ঈদ উদযাপনে ৪ দিনে ঢাকা ছেড়েছেন ৭৩ লাখের বেশি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী
২ বছর আগে