স্বামীর
সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজগার আলী (৫০) সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের এন্তাজ সরদারের ছেলে।
নিহত রেহেনা পারভিন উপজেলার গোবরদাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়,১৯৯৪ সালে আজগার আলীর সঙ্গে রেহেনা পারভিনের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের দাবিতে রেহেনাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত আজগার আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এক পর্যায়ে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের ৮০ হাজার টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকাল তিনটা থেকে চারটার মধ্যে বাড়িতে রেহেনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা শওকত আলী সরদার পরদিন বাদি হয়ে আজগার আলী, তার ভাই রুহুল কুদ্দুসসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন।
১৯৯৮ সালে আসামি আজগার আলী ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে আসামি রুহুল কুদ্দুস মারা যান। আসামি আজগার আলী পলাতক আছেন।
মামলার নথি,১২ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দি নেয়ার পরে পলাতক আসামি আজগার আলীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট বসির। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহরুল হায়দার বাবু।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড,১ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে