অটোরিক্সা
প্রশাসনের আশ্বাসে রাঙামাটিতে অটোরিকশা ধর্মঘট প্রত্যাহার
প্রশাসনের দেয়া ক্ষতিপূরণ প্রদান ও দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাসের ভিত্তিতে অটোরিকশা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাঙামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন। রবিবার সকাল ১১টায় শহরের শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এক বিক্ষোভ মিছিল করে সেখান থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় সংগঠনটির নেতারা।
সমাবেশে রাঙামাটি সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি পরেশ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাবু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো রাঙ্গামাটিতে চলাচলরত প্রতিটি সিএনজিতে চাঁদা দাবি করে আসছে।
তিনি জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর চারটি সিএনজি অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় তা উদ্ধার করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর কাপ্তাই রাবার বাগান এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া শনিবার রাত ১০টায় এক সিএনজি চালককে মারধর করে সিএনজি ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: একই স্থানে আ.লীগ-বিএনপির সমাবেশ, রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
এসময় পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে পরবর্তীতে আবারও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।
এদিকে সকাল থেকে রাঙামাটি জেলায় শহরে একমাত্র যাত্রী পরিবহন সংস্থা সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে রাঙামাটির সাধারণ মানুষ ও বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
হঠাৎ সকাল থেকে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকায় এবং শহরে বিকল্প কোনো যানবাহন না থাকায় স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবীদের পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে।
তবে এসএসসি পরীক্ষার্থী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জরুরি সেবায় সিএনজি ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছিল সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি।
বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার দুপুরে জরুরি সভা করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার (এমপি), রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, রাঙামাটি পৌর মেয়র মো.আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি পরেশ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাবুসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাঙামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া, শনিবার রাতে সিএনজি চালকের ওপর হামলা এবং সিএনজি ভাঙচুরের প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।
তার প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে তাৎক্ষণিকভাবে সমিতির সকলের সিদ্ধান্তে রবিবার সকাল থেকে রাঙামাটি শহরে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে মাইকিং করে শহরবাসীকে জানিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অটোরিকশা বন্ধের ঘোষণা!
রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
২ বছর আগে