ঘুমধুম
বান্দরবানের ঘুমধুমে মর্টারশেলের আঘাতে নিহত ২
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে একটি বাড়ির উপর মর্টারশেল আঘাত হানে। এতে এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ড়াইটার দিকে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
নিহতদের একজন হলেন, বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫০)। তাৎক্ষণিকভাবে অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি।
জলপাইতলী ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
বান্দরবানের লামা সার্কেলের এএসপি মো. নুরুল আনোয়ার জানান, দুইজনের মৃত্যুর খবর তিনি শুনেছেন, তবে তাদের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা, বান্দরবানে ৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
বান্দরবানের বাকলাই জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলাদেশের অন্যতম সুউচ্চ ঝর্ণায় যাবার উপায় ও খরচ
১০ মাস আগে
‘তুমব্রু সীমান্তে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত কি না যাচাই করা হবে’
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামে অবস্থান নেয়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত কি না তা যাচাই-বাছাই করা হবে।
বৃহস্পতিবার ‘সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবররীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ঢাকায় রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় টাস্ক ফোর্স এর ৪১তম সভায় গত ২৫ জানুয়ারি এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআই সদস্য নিহত: আইএসপিআর
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যেই নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হবে। অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য কক্সবাজারের ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা যেতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তির আগে অপরাধমূলক রেকর্ড থাকে তাহলে বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও কমিটি রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সহায়তা কামনা করে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: তুমব্রুতে ডিজিএফআই অফিসারকে মাদককারবারীদের গুলির সত্যতা প্রকাশ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের উত্তেজনা, দোছড়ি ও ঘুমধুম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৩০ পরিবার
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শনিবার ছয় ঘণ্টা একটানা গুলি ও মর্টার গোলাবর্ষণের পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসন ৩০টি পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে।
এক সপ্তাহ শান্ত থাকার পর শনিবার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে শব্দ ও উত্তেজনা ফের শুরু হয়।
দুপুর ১টায় দোছড়ি থেকে ঘুমধুম ইউনিয়ন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গুলিবর্ষণ শুরু হয় এবং তা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
দেশটির সেনাবাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ায় কয়েক মাস ধরে সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
জামছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের স্থানীয় মো. রহমান বলেন, রাখাইন রাজ্যভিত্তিক একটি জাতিগত সশস্ত্র সংগঠন আরকান আর্মি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তে তারা মিয়ানমারের বেশ ভেতরে কাজ করছে। কিন্তু গত সপ্তাহে আরাকান আর্মি সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় কোনো গোলাগুলি হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করেই তা আজ দুপুর ১টায় আবার শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে, এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় তিনি জামছড়িতে ছিলেন।
ইমন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে অন্তত ১৫ রাউন্ড গুলি বাংলাদেশে এসেছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারী মর্টার শেল নিক্ষেপ ও গোলাবর্ষণের মধ্যে ত্রিশটি পরিবার যাদের বাড়ি সীমান্তের খুব কাছাকাছি তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’
এছাড়াও গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশের ঘুমধুমের তুমব্রুতে মিয়ানমারের পাশ থেকে গুলি চলছে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
২ বছর আগে
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা: ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩০০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে স্থানীয় প্রশাসন। গত এক মাস ধরে তুমব্রু সীমান্তের কাছে ক্রমাগত গুলিবর্ষণ ও মর্টার শেল নিক্ষেপের পর প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে ভাবছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৩০০ থেকে ৫০০ গজের মধ্যে প্রায় ৭০টি বাংলাদেশি পরিবার বসবাস করছে। সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি এবং স্থানীয়দের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ঘুমধুম সীমান্তে বসবাসকারী ৩০০ পরিবারকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেয়া হবে।’
ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো জানান, শনিবার সকালে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত (১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা) গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়নি।
ঘুমধুম বাসিন্দা কফিল উদ্দিন জানান, যে কোনো মুহূর্তে আবারও গুলি শুরু হতে পারে এমন আশঙ্কায় অনেক এলাকাবাসী নিজ থেকেই সীমান্ত এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চতুর্থবারের মতো মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব
ইতোমধ্যেই প্রায় ৩৫টি বাংলাদেশি পরিবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী, রাতাপালং, সোনারপাড়া, পালংখালী, টেকনাফ উপজেলার হোইকং এলাকায় তাদের আত্মীয়দের বাড়িতে চলে গেছে।
ঘুমধুম সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, ঘুমধুম সীমান্তে চার হাজার ২০০ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এই পয়েন্টে আশ্রয় নেয়ার পর থেকেই তারা নানা আতঙ্কে আছে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার বারবার রোহিঙ্গাদের জিরো পয়েন্ট থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা এখন খুবই আতঙ্কিত। কিন্তু তারা এখনও জিরো পয়েন্টে অবস্থান করছে। কি করতে হবে তারা তা জানে না।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে গোলাবর্ষণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত, আহত ৫
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ দৌজা ইউএনবিকে জানান, সীমান্তের জিরো পয়েন্টে জনগণ বা গোষ্ঠীর জন্য কমিশনারের কিছু করার সুযোগ নেই। অনেকেই স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করছেন এবং সীমান্তে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জরুরি সেবা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা জিরো পয়েন্টের বাইরে ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিলে তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করা সম্ভব।’
ইউএনও সালমা বলেন, এছাড়া সীমান্তে উত্তেজনা থাকায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র উখিয়া উপজেলার ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখান থেকে শনিবার পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪৯৯ জন পরীক্ষার্থী।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন চৌকিতে যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব, সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে নাইপিদোর কাছে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ ঢাকার
এদিকে, বাংলাদেশ চতুর্থবারের মতো রবিবার দেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে তলব করেছে এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে প্রতিবাদ জানানোর জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শাখা) মো. নাজমুল হুদার কার্যালয়ে তলব করা হয়।
এর আগেও ঢাকা সীমান্তে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক মর্টার শেল নিক্ষেপ, সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্বিচারে আকাশপথে গোলাবর্ষণ এবং আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন,সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে প্রয়োজনে সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়ে জাতিসংঘে অভিযোগ জানানো হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদেরকে (মিয়ানমার) কয়েকবার সতর্ক করলেও তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘তুমব্রু সীমান্তে শুক্রবারে মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপে হতাহতের ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত তার সীমান্তের মধ্যেই থাকা উচিত। কিন্তু তাদের বাহিনী বারবার সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশি নাগরিকদের আহত করছে।’
তিনি বলেন, এ বিষয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সতর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বিজিবি সতর্ক, মিয়ানমার থেকে এখন কেউ ঢুকতে পারবে না’: শাহরিয়ার আলম
শুক্রবার রাতে বান্দরবানের তুমব্রুতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে মোহাম্মদ ইকবাল নামে ১৭ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোর নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়।
নিহত ও আহতরা সবাই জিরো পয়েন্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ক্যাম্পটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকার সবচেয়ে কাছের ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত।
রাত ৮টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরপর চারটি মর্টার শেল পড়ে।
এর আগে, শুক্রবার দুপুরেও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে অংঞাথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা (২২) নামে এক আদিবাসী যুবক গুরুতর আহত হয়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এ পর্যন্ত ১২টি মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল
২ বছর আগে