চূড়ান্ত
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহত শিক্ষার্থী ও জনতার তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুতের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের একমাস পূর্তিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে গৃহীত ব্যবস্থাদি ও স্বল্পমেয়াদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী-জনতার জন্য তথ্যভাণ্ডার প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে যাচাই করে চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
এছাড়াও আগামী মাসে মৃতের সংখ্যা ও তাদের পরিবার নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেন শারমীন এস মুরশিদ।
উপদেষ্টা আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও সম্ভাবনাময় তারুণ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে নিবেদিত ফিজিওথেরাপি সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয় এবং উপজেলা রোগী কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ১ হাজার ৬২৮ জন শিক্ষার্থী-জনতাকে মোট ৭৫ লাখ ৩ হাজার ৬২০ টাকার সেবা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ১ হাজার জনকে মানসিক সেবা দেওয়া হয়েছে।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, গুরুতর আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। খুব শিগগিরই ইন্টার্নশিপ নীতিমালা ২০২৩-এর আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন অনুবিভাগ/অধিশাখা/শাখা এবং অধীনস্থ দপ্তরে চার মাস মেয়াদে ১২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ইন্টার্নশিপ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদার হয়ে কাজ করতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
তিনি আরও বলেন, বিগত আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-জনতার মধ্যে বিনামূল্যে হইল চেয়ার ও হিয়ারিং এইড দেওয়া হবে। আহত শিক্ষার্থী-জনতার মধ্যে যারা নড়াচড়া কম করতে পারে, তাদের জন্য মোবাইল ভ্যান দিয়ে বাড়ির দোরগোড়ায় সেবা দেওয়া হবে।
এছাড়া জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের ৬৪ জেলায় বিশিষ্ট সমাজকর্মী হিসেবে তারুণ্যের প্রতিনিধিকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিগগিরই তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় ও তারুণ্যকে দেশের সেবায় কাজে লাগাতে অ্যাকশন রিসার্চ করা হবে। পরে সবার সামনে এর ফলাফল জানানো হবে।
আরও পড়ুন: আড়িয়াল বিল দখলমুক্ত করতে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পানিসম্পদ উপদেষ্টার
এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হবে বলে জানান শারমীন এস মুরশিদ।
৩ মাস আগে
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে বন্দীকে কনডেম সেলে না রাখার রায় স্থগিত
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
বুধবার (১৫ মে) হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে ১০ মাস বয়সী শিশু: প্রতিবেদন চেয়েছে হাইকোর্ট
আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।
শিশির মনির বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়। রায়ে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার পূর্বে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি বলা যাবে না এবং তাকে কারাগারের নির্জন ডেথ সেলে বন্দী রাখা যাবে না। মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত বলতে এখানে যত বিচারিক ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ হওয়াকে বোঝানো হয়েছে। বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপে যেমন- হাইকোর্ট বিভাগ, আপিল বিভাগ এবং রিভিউয়ের শুনানিকে বোঝানো হয়েছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগকে বোঝানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন খারিজের পরই একজন মানুষের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হয়েছে বলা যাবে এবং শুধু তখনই একজন বন্দীকে নির্জন কক্ষে বন্দী রাখা যাবে।
শিশির মনির আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার শুনানিতে বলেছেন, নতুন জেল কোড তৈরি করতে যাচ্ছে, নতুন প্রিজন অ্যাক্ট হচ্ছে। হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, এই রায়ে যেসব পর্যবেক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সেগুলো যেন নতুন আইনে প্রতিফলিত হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে শিশির মনির বলেন, আমাদের দেশে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের দরখাস্তের শুনানি হয় না। অন্যান্য আসামিদের জামিন শুনানি হয়। তারা জামিন পেয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু মুত্যদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত একবার হলেই তাদের জামিনের আর শুনানি হয়না। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যাদের আপিল বিচারাধীন থাকে, তাদের জামিন আবেদনও যেন অন্যান্য আসামিদের মতো শুনানি করা হয় এবং জামিনও যেন মঞ্জুর করা হয়।
এ আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্ট যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছেন, সেগুলো চূড়ান্ত হবে আপিল বিভাগের রায়ের পর। সেজন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। হাইকোর্টের রায়ের কপি পাওয়ার পর আপিল বিভাগে একটি নিয়মিত লিভ টু আপিল ফাইল করতে হবে। সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সেজন্য হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা আপাতত স্থগিত রাখা প্রয়োজন। সেজন্য আবেদন করেছিলাম। চেম্বার বিচারপতি শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
এর আগে সোমবার (১৩ মে) হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন।
জনস্বার্থে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে এমন রায় দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ।
রায়ে আদালত বলেছেন, কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ এবং রিভিউয়ের পরও বহাল থাকলে এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আবেদনও নাকচ হয়ে গেলে তখনই তার ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত’ হয়েছে বলে ধরতে হবে।
একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ‘চূড়ান্ত হওয়ার আগেই’ যাদের কনডেম সেল রাখা হয়েছে, তাদের পর্যায়ক্রমে সাধারণ সেলে স্থানান্তর করতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ কাজের জন্য দুই বছর সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তবে বিশেষ ক্ষেত্রে, কোনো দণ্ডিত আসামি যদি তেমন কোনো সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হন যে তাকে অন্যদের সঙ্গে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ, তখন তাকে কনডেম সেলে রাখা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন আদালত।
তবে এক্ষেত্রেও আলাদাভাবে দণ্ডিতের বক্তব্য শোনার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্ট জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, মৃত্যু সেলে যারা বন্দী থাকেন, তাদের ব্যাপারে কোন সাংবাদিক বা কোন গবেষক বা অন্য কেউ তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত দিয়ে জানতে চাইলে, যেন বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়।
এছাড়াও সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, কতজনের মৃত্যুদণ্ড কমছে, কতজনের বহাল থাকছে- এসব ব্যাপারে কোন ব্যক্তি তথ্য অধিকার আইনে বা সাংবাদিকরা তথ্য চাইলে তা যেন দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের এসব তথ্য পরিসংখ্যানসহ সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে এবং বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশও করতে বলা হয়েছে।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের ওপর বুধবার শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি: হাইকোর্ট
৭ মাস আগে
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে রাখা যাবে না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
তিনি বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে আমরা আপিল করব। এখন রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এটি বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হবে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি বলে এর আগে সোমবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি: হাইকোর্ট
জনস্বার্থে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে এমন রায় দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ।
রায়ে আদালত বলেছেন, কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড আপিল বিভাগ এবং রিভিউয়ের পরও বহাল থাকলে এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমার আবেদনও নাকচ হয়ে গেলে তখনই তার ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত’ হয়েছে বলে ধরতে হবে।
একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ‘চূড়ান্ত হওয়ার আগেই’ যাদের কনডেম সেল রাখা হয়েছে, তাদের পর্যায়ক্রমে সাধারণ সেলে স্থানান্তর করতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ কাজের জন্য দুই বছর সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে, কোনো দণ্ডিত আসামি যদি তেমন কোনো সংক্রামক ব্যধিতে আক্রান্ত হন যে তাকে অন্যদের সঙ্গে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ, তখন তাকে কনডেম সেলে রাখা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন আদালত। তবে এক্ষেত্রেও আলাদাভাবে দণ্ডিতের বক্তব্য শোনার শর্ত দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।
জানা যায়, কারাবিধির ৯৮০ ধারা অনুযায়ী, বিচারিক আদালতে কারো মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়ার পর পরই আসামিকে কনডেমড সেলে নেওয়া হয়। এরপর তার বিচার চূড়ান্ত হতে লেগে যাচ্ছে এক থেকে দেড় যুগ। চূড়ান্ত বিচারে অনেকে খালাস পাচ্ছেন। অনেকের সাজা কমে যাচ্ছে। কিন্তু প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ওই আসামিকে কারাগারের একটি ছোট নির্জন কক্ষে বাস করতে হচ্ছে।
এসব বিষয় লক্ষ্য করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম। ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০ বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। সেইসঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।
রিটে বলা হয়, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) নিতে হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ আছে দণ্ডিত ব্যক্তির। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এ আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন, তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সরকার আইনগত বৈধতা পায়। অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে বন্দি রাখা হচ্ছে। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখা তার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এ রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুলের ওপর শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। সে অনুযায়ী হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: জবির সাবেক শিক্ষার্থীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
৭ মাস আগে
মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি: হাইকোর্ট
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ ও বেআইনি বলে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে ৪১টি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।
রায়ের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়। রায়ের প্রথম দফায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি বলা যাবে না এবং তাকে কারাগারের নির্জন ডেথ সেলে বন্দি রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত বলতে, এখানে যত বিচারিক ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ হওয়াকে বোঝানো হয়েছে। যত বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপ আছে, হাইকোর্ট বিভাগ, আপিল বিভাগ এবং রিভিউয়ের শুনানি শেষেও যদি কারো মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে তাহলে প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে সে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ পান।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন খারিজের পরই একজন মানুষের মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হয়েছে বলা যাবে এবং শুধু তখনই একজন মানুষকে নির্জন কক্ষে (ডেথ সেলে) বন্দি রাখা যাবে। তার আগে ডেথ সেলে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, বিশেষ বিবেচনায় যদি কোনো বন্দির কোনো বিশেষ অসুবিধা থাকে, এটা হতে পারে ফিজ্যিক্যাল অসুবিধা, সংক্রামক কোনো রোগ থাকলে অথবা অন্য কোনো সেক্সচ্যুয়াল রোগ থেকে থাকে, তাহলে তাকে আলাদা করে রাখা যাবে। এক্ষেত্রে এ ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখার ব্যাপারে আলাদা করে শুনানি নিতে হবে। শুনানি নেওয়ার পর তাকে নির্জন সেলে রাখা যাবে।
শিশির মনির বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার শুনানিতে আদালতে বলেছেন, নতুন জেল কোড তৈরি করতে যাচ্ছে, নতুন প্রিজন অ্যাক্ট হচ্ছে।
হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, এই রায়ে যেসব পর্যবেক্ষণ দেওয়া হচ্ছে সেগুলো যেন নতুন আইনে প্রতিফলিত হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে শিশির মনির আরও বলেন, আমাদের দেশে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের দরখাস্তের শুনানি হয় না। অন্যান্য আসামিদের জামিন শুনানি হয়। তারা জামিন পেয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত একবার হলেই তাদের জামিনের আর শুনানি হয় না।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: জবির সাবেক শিক্ষার্থীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
এক্ষেত্রে হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত যাদের আপিল বিচারাধীন থাকে, তাদের জামিন আবেদনও যেন অন্যান্য আসামিদের মতো শুনানি করা হয় এবং জামিনও যেন মঞ্জুর করা হয়।
হাইকোর্ট জেল কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, মৃত্যু সেলে যারা বন্দি থাকেন, তাদের ব্যাপারে কোনো সাংবাদিক বা কোনো গবেষক বা অন্য কেউ তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত দিয়ে জানতে চেইলে, তাদের যেন বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়।
এছাড়াও সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, কতজনের মৃত্যুদণ্ড কমছে, কতজনের বহাল থাকছে- এসব ব্যাপারে কোনো ব্যক্তি তথ্য অধিকার আইনে বা সাংবাদিকরা তথ্য চাইলে তা যেন দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের এসব তথ্য পরিসংখ্যানসহ সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে এবং বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশও করতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী দুই বছরের মধ্যে সব জেল কর্তৃপক্ষকে মৃত্যু সেলে যারা বন্দি আছেন, তাদের ক্রমান্বয়ে অন্য ব্যবস্থাপনা করে মৃত্যু সেল থেকে সরিয়ে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গে বসবাসের সুযোগ করে দিতে হবে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত বা দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কারাগারের কনডেম সেলের তিন কয়েদি।
তারা হলেন- সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও খাগড়াছড়ির শাহ আলম।
ওই রিট শুনানি করে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিতদের কনডেম সেলে রাখা কেন আইনত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত কারাবিধির ৯৮০ বিধিটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
সেই সঙ্গে কনডেম সেলে রাখা বন্দিদের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, সে বিষয়ে প্রতিবেদন চান আদালত।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র ৪ ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
৭ মাস আগে
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বিষয়ে রায় যেকোনো দিন
বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে।
শুনানি গ্রহণ শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমান মামলাটি রায়ের জন্য সিএভি (আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ) রেখেছেন।
রিটের পক্ষে শুনানিকারী আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানিয়েছেন, রুলের উপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। এখন যেকোনো দিন আদালত রায় ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতি কতটা জরুরি?
এর আগে গত বছরের ৬ এপ্রিল এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইজি প্রিজন্স, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
বিচারিক ও প্রশাসনিক ফোরামের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখার বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়ে কনডেমড সেলে থাকা তিন আসামি ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরে ওই রিট করেন।
তিন রিট আবেদনকারী হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, জেল কোডের ৯৮০ বিধি অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের পৃথকভাবে কনডেমড সেলে রাখার কথা বলা আছে। জেল কোডের ৯৮০ বিধি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ৯৮০ বিধি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রিটে বলা হয়, বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাজা কার্যকর করার আইনগত কোনো বিধান নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) নিতে হয়।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন।
হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলে এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করার সুযোগ আছে দণ্ডিত ব্যক্তির। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সুযোগ আছে।
এ ছাড়া সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। ক্ষমার এ আবেদন রাষ্ট্রপতি যদি নামঞ্জুর করেন, তাহলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনগত বৈধতা পায়।
অথচ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরপরই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে বন্দী রাখা হচ্ছে। হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের আগে দণ্ডিত ব্যক্তিকে কনডেমড সেলে রাখা তার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: জনসেবক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে: আইজিপি
১ বছর আগে
১৫০ আসনে ইভিএম: ইসির ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টির মধ্যে ১৫০টি আসনের জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহে আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।
সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছে যে প্রকল্পের বিবরণ শিগগিরই অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।
এর আগে কমিশনের বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সম্প্রতি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ সরকার: জিএম কাদের
ইসি আলমগীর বলেন, কমিশন এর আগে আগামী সাধারণ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলেও বর্তমানে আমাদের কাছে দেড় লাখ মেশিন আছে যা সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ব্যবহার করা যাবে।
তাই, নতুন ইভিএম সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আগামী সাধারণ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে ২৩ আগস্ট ইসি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে সর্বাধিক ১৫০টি আসনে প্রচলিত ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। সাধারণ নির্বাচনটি আগামী বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অন্যদিকে ইসির জুলাই মাসের ধারাবাহিক সংলাপে বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো যোগ দেয়নি এবং নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের তীব্র বিরোধীতা করছে তারা।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম ব্যবহারের দাবি তাদের।
এর আগে, কমিশন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনার জন্য নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল; এর মধ্যে ২৮টি রাজনৈতিক দল কমিশনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে এবং বিএনপিসহ ১১টি দল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে থাকবে না: জিএম কাদের
আকবর আলী খানের মৃত্যুতে জিএম কাদেরের শোক প্রকাশ
২ বছর আগে