অনুপস্থিত
অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
কর্মঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক চিকিৎসক, নার্স-কর্মচারী উপস্থিত থাকে না বলে নানা সময় অভিযোগ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে দায়িত্ব পাওয়া নতুন প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা।
তিনি বলেন, দায়িত্বে থাকার পরও কেউ যদি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বক্তব্য শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, সরকারি হাসপাতালে কতটি বেড ভর্তি বা কতটি খালি আছে তা জানা থাকে। কিন্তু জরুরি বিভাগে কতজন রোগী আসবে তা ঠিক থাকে না। আর আমাদের হাসপাতালগুলোতে কোনো রোগী এলে তাদের ফিরিয়েও দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ঢাকার সরকারি হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায় সব জায়গায় হাসপাতালগুলোতে যত বেড আছে, রোগী তার থেকে অনেক বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ সময় রোগীদের মেঝেতে থাকতে হয়। তাদেরও চিকিৎসক-নার্সরা সেবা দেন। কিন্তু এসব অতিরিক্ত রোগীর সেবার জন্য ডাক্তার, নার্সসহ কর্মচারী কেউই অতিরিক্ত বেতন-ভাতা পায় না।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসক-নার্সরা সবসময় তাদের দায়িত্ববোধ থেকেই সব রোগীকে সেবা দিয়ে থাকে। আমরা যদি তাদের মূল্যায়ন করি, তাহলে যারা নিয়মিত কাজ করে না, তারা সবাই অন্যদের দেখে আগ্রহ পাবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এখনও অফিস শুরু করতে পারিনি। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বানে আজকের ডিসি সম্মেলনে যোগ দিয়েছি।
তার দায়িত্বপালনে অগ্রাধিকার কী থাকবে জানতে চাইলে ডা. রোকেয়া বলেন, আমি গুণগত এবং মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করব। চ্যালেঞ্জ থাকবে, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতের দিকে সবাইকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও চিকিৎসক হিসেবে ৩৩ বছর চাকরি করেছি। আমি জানি, আমাদের চেষ্টা থাকে কতটা। তবে, এখন সময় এসেছে আমাদের অন্যান্য সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো একযোগে সমাধান করা।
তিনি বলেন, আমরা সবাই একটি ফুটবল বা ক্রিকেট টিমের মতো এক হয়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করলে স্বাস্থ্যখাতে খুব বেশি সমস্যা আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা ত্যাগ কাদেরের
রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত, মানুষের যে অধিকার তা পুরোপুরিভাবে হরণ করা হয়েছে। এছাড়া লঙ্ঘিত হচ্ছে মানুষের ব্যক্তগত অধিকার ও মানবাধিকার।
মঙ্গলবার বিকালে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের কালিবাড়িস্থ পৌর কমিউনিটি হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিমকালে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধ্বংস করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ নতুন করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত তামাশা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কোনো তামাশার নির্বাচনে বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ যেখানে তার সত্যিকারের ভোট দিতে পারবে, তার মত প্রকাশ করতে পারবে; এই ধরনের একটা নির্বাচন আমরা চাই। আর সে নির্বাচন আওয়ামী লীগ যদি সরকারে থাকে তা কখনো নিরপেক্ষ হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির ১০ দফা দাবির প্রথম দফাটাই হচ্ছে বর্তমানে যে প্রধানমন্ত্রী আছেন শেখ হাসিনা, যিনি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হননি, তাকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সংসদকে বিলুপ্ত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। তবেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নতুন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। এটিই হচ্ছে আমার প্রধান দাবি।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনীতির যে ভিত্তিগুলো-সেগুলো পর্যন্ত ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে সরকারের উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করলেও প্রকৃত চিত্র উল্টো। অথচ সরকার সব সময় ভুল পরিসংখ্যান প্রচার করছে।’
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই: ফখরুল
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে সরকারি দলের আইনজীবীরা পুলিশের সহায়তায় নির্বাচনকে পুরোপুরিভাবে পণ্ড করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় পুলিশ সেখানে সম্পূরর্ণ রীতি বিরোধীভাবে, সুপ্রিমকোর্টের ভেতরে প্রবেশ করে বার লাইব্রেরিতে তারা আক্রমণ চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ঢাকাতেই নয়, অনেক স্থানে লক্ষ্য করা গেছে প্রাতিষ্ঠানিক যে একটা ব্যবস্থা বার সমিতি; সেটাকে দখল করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার সকল শক্তি প্রয়োগ করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করতে তারা দ্বিধা করছে না। এখানে মানুষের একটা আস্থা ছিল, সেখান থেকেও আস্থা নির্মূল হওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘এখানে সংবিধানকে প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু ব্যক্তিকে র্যাব তুলে নিয়ে গেছে, এটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি।’
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে নওগাঁয় একজন নারী কর্মচারীকে তারা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর র্যাব কাস্টডিতে মারা গেছে। একইভাবে ডিজিটাল সিকিউরিটি মামলার মাধ্যমে মানুষের যে অধিকার তা খর্ব করা হচ্ছে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা যেটা সেটা হচ্ছে সংবাদকর্মীদের স্বাধীনভাবে যে লেখা সেটা খর্ব করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা যা অর্জন করেছিলাম, যে স্বপ্ন নিয়ে ও চিন্তাচেতনা নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, তা সম্পূর্ণভাবে এরা হরণ করেছ, লুন্ঠন করেছে। বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটি কর্তৃত্ববাদী একনায়েকতন্ত্রের দেশে পরিণত করেছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় থাকতে চায়: ফখরুল
১ বছর আগে
কুড়িগ্রামে প্রাথমিক বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নাম!
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ না নেয়া একজন শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম সজীব আলী। সে উপজেলার চর গোরক মণ্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরক মণ্ডল গ্রামের হুজুর আলী ও ছকিনা বেগম দম্পতির সন্তান।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সজীব আলী ফরম পূরণ করলেও ৩০ ডিসেম্বর ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ওই কেন্দ্রের ১০১ নং কক্ষে সে অনুপস্থিত ছিল।
এদিকে ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফল প্রকাশিত হলে দেখা যায় উপজেলায় ৪৪ জন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে এবং ৩৭ জন শিক্ষার্থী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। এদের মধ্যে ফলাফল সিটে সজীবের ২৪ রোল রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা
এ ব্যাপারে চর গোরক মণ্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এ টি এম শফিকুল আলম জানান, ৭ জন শিক্ষার্থীর নাম ডিআর ভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে রোল নম্বর- ২৪, ২৫ ও ম-৩০ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন ওই ছাত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ফলাফল সিটে তার রোল কিভাবে এসেছে তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে সে তালিকায় অনুপস্থিত থাকলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী
১ বছর আগে
বরিশাল বোর্ডে অনুপস্থিত ৯০৭ পরীক্ষার্থী,বহিষ্কার ৬
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজী (আবশ্যিক) ১ম পত্রে অনুপস্থিত ছিলেন ৯০৭ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়া পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ছয়জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার বিকালে বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ কুমার গাইনবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন সিলেবাসে ২০২৩ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাতিনি জানান, বিভাগের ছয় জেলায় ১৮৭ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে সোমবার মোট ৮৭ হাজার৬৯২ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। তবে এরমধ্যেঅংশগ্রহণ করেছে ৮৬ হাজার ৭৮৫ জন পরীক্ষার্থী, ফলে অনুপস্থিতির সংখ্যা ৯০৭জন। অর্থাৎ শতকরা ১ দশমিক ৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী এদিন অনুপস্থিত ছিলেন।বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, অনুপস্থিতদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ২৭০ জন, পটুয়াখালীতে ১৮৫ জন, ভোলায় ১৭০ জন, পিরোজপুরে ১১৬, বরগুনায় ৯৪ জন ও ঝালকাঠিতে ৭২ জন রয়েছে।অপরদিকে বহিষ্কৃতদের মধ্যে- বরিশালে তিনজন, ভোলায় দুইজন এবং পটুয়াখালীতে একজন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসির বাংলা ১মপত্র খারাপ হওয়ায় খুলনায় পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
বাড়িতে মায়ের লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলো সুমাইয়া!
২ বছর আগে