জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
সরকার ওজনস্তর রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে: জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষায় সরকার ওজনস্তর রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
সোমবার 'পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল-জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল' প্রতিপাদ্যে বিশ্ব ওজন দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানান, ওজনস্তর সুরক্ষায় গৃহীত মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় গৃহীত সকল কর্মসূচি ও প্রকল্প সরকার বিশেষ গুরুত্ব সহকারে যথাসময়ে অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করে চলছে। এছাড়া বাংলাদেশে এইচসিএফসি-এর ব্যবহার রোধের দিক নির্দেশনা সংবলিত ন্যাশনাল কুলিং প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ অতি শিগগিরই কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: বনমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী জানান, বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় এয়ারকন্ডিশনার, অগ্নি নির্বাপন ও থার্মাল ফোম সেক্টরে ব্যবহৃত হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন (এইচসিএফসি) ফেজ আউট করার কাজ চলছে। এলক্ষ্যে আমরা এইচসিএফসি ফেজ আউট ম্যানেজমেন্ট প্লান দুই বাস্তবায়ন করছি।
এর বিকল্প প্রযুক্তি একই সঙ্গে ওজনস্তর এবং জলবায়ুবান্ধব হবে। এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৬৭ দশমিক ৫০ শতাংশ এইচসিএফসি-এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। এর ফলে বাংলাদেশ এয়ারকুলার উৎপাদনের ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে। উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত হবে।
মন্ত্রী আরও জানান, বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিং পণ্য উৎপাদকদের জন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ প্রদান করছে। রূপান্তরিত এসি গুলো যাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয় তার প্রতি বিশেষ নজর দিবেন।
এতে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, ওডিএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জিয়াউল হক প্রমূখ।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট; বিশেষজ্ঞবর্গ; সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা এশিয়া প্যাসেফিক রিজিওনাল ওজোনটুক্লাইমেট আর্ট কনটেস্ট বিজয়ীগণের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: ২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছ না কাটার আহ্বান বনমন্ত্রীর
২ বছর আগে