যুবকে
যুবকের কবজি কেটে নেয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২
নড়াইলের কালিয়ায় যুবকের কবজি কেটে নেয়ার ঘটনায় কালিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
কবজি হারানো আবদুর রহমানের বড় ভাই লায়েক শেখ বাদী হয়ে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় উপজেলার চাঁচুড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌরুত মোল্যাসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কলেজ শিক্ষকের ডান হাতের কবজি কেটে নিলো দুর্বৃত্তরা
এদের মধ্যে মামলার অন্যতম আসামি যুবলীগের সাবেক নেতা তৌরুত মোল্যা ও তার সহযোগী কাতেবার মোল্যাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে যুবলীগ নেতা তৌরুত মোল্যা তার সহযোগী কাতেবার মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধের জেরে ধারালো অস্ত্রের কোপে সাফায়েত শেখ ওরফে সারাফ শেখ (৪২) নামে একজনের বাম হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে প্রতিপক্ষরা।
একই সঙ্গে ডান হাতের কবজি ও দুই পা কেটে শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করেছে হামলাকারীরা।
এ সময় সারাফের সহোদর ফুল মিয়া শেখ (৫০), শামীম শেখ (২৭), লোকমান হোসেন (৩৫) ও পলাশ (২৭) নামে আরও চারজনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চন্দ্রপুর গ্রামে মহাসীন মোল্যা ও রবিউল মোল্যা গ্রুপের সঙ্গে আতাউর মৃধা ও লায়েক শেখ গ্রুপের বিরোধ চলে আসছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
হাতের কবজি ও পা বিচ্ছিন্ন হওয়া ওই যুবক উপজেলার চাঁচুড়ী বাজারের একটি পরিবহন কাউন্টাররম্যান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তিনি চন্দ্রপুর গ্রামের মরহুম ছলেমান শেখের ছেলে।
আহত সারাফ শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ও গুরুতর আহত শামীম শেখকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়েছে।
আহত অন্যদেরকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বলেন, আমাদের কাছে অপরাধীদের একটাই পরিচয়, সে অপরাধী।
এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের কেটে নেয়া কবজি সফলভাবে প্রতিস্থাপিত
১ বছর আগে
জৈন্তাপুরে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের জৈন্তাপুরে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশউদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার পরাখলা গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুহুল আমিন (২৫) উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের টিপরাখলা গ্রামের খোকন আহমদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১১টায় খাওয়া-দাওয়া শেষে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায় রুহুল আমিন। কিছুক্ষণ পর ঘরের লোকজন ঘরে ঢুকে দেখতে পান তীরের সঙ্গে তার নিথর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এসময় পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হন।
তাৎক্ষণিক থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করলে রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নিহতের বাবা জৈন্তাপুর রিক্সা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়ার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রুহুল আমিন কি কারণে আত্মহত্যা করেছে, বুঝতে পারছেন না তার পরিবার।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন বলছে ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে জনি (৩৪) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. জনি (৩৪) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হাফিজুল প্রামাণিকের ছেলে।
সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ মার্চ বিকালে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে দণ্ডপ্রাপ্ত জনি। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে জনি পালিয়ে যায়।
ওই দিনই ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে জনিকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: আশুলিয়া শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ দৌলতপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় অস্ত্র মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত ও স্পেশাল ট্রাইবুনাল-২ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত মো. লিটন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি পূর্বপাড়া এলাকার মো. মকবুল সরদারের ছেলে।রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শিশু ধর্ষণের দায়ে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাহিরমাদি পূর্বপাড়া এলাকায় রোকনুজ্জামানেরর দোকানের সামনে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসা দুইজন যুবক পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় এক যুবক পালিয়ে গেলেও পুলিশ মো. লিটনকে আটক করে এবং তার দেহ তল্লাশি করে একটি কালো রংয়ের বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও ২ টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে।
পরে দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক গৌতম কুমার মণ্ডল।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, দৌলতপুর থানার অস্ত্র মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বাক্ষ্য শুনানি শেষে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিকে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিশু ধর্ষণের দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে