আরসা
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ আরসার কমান্ডার আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে একটি জি থ্রি রাইফেল ও ১০টি গুলিসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডারকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ এপিবিএন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উখিয়া পালংখালী ক্যাম্প-১৩ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম (৪৫) ১৩ নম্বর ক্যাম্পের গুলা হোসেনের ছেলে।
৮ আমর্ড পুলিশ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, নুরুল দীর্ঘদিন ধরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার হিসাবে ক্যাম্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমর্ড পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সূত্রে ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র আসার গোপন খবরে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালানো হয়। এসময় নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি জি থ্রি রাইফেল ও ১০টি গুলি জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরসার কমান্ডার হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম। তাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ মাস আগে
উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৪ ‘আরসা’ সদস্য আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় শুক্রবার সকালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) চার সদস্যকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আটককৃতরা হলেন-মো. জোবায়ের (২০), নুর মোহাম্মদ (২৫), জামিলা বেগম (৪৮) ও বিবি (১৬)। তারা সকলেই উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা।
১৪-এপিবিএন কমান্ডার সৈয়দ হারুনুর রশিদ সাক্ষরিত এপিবিএন মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী ছামিউদ্দিনসহ ১০ থেকে ১৫ জন আরসা সদস্য সেখানে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়নটি ক্যাম্পের ৭ নম্বর ব্লকের জি ব্লকে অভিযান চালায়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা এপিবিএন সদস্যদের ওপর গুলি চালায় বলে বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, এসময় তারা (এবিপিএন সদস্যরা) নিজেদের জীবন রক্ষার স্বার্থে পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয়; এ ঘটনায় একজন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
আরও জানানো হয়, বন্দুকযুদ্ধের পরে এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প নং সি ব্লকে আরেকটি অভিযান চালায়, কারণ তারা জানতে পারে যে ছামিউদ্দিনসহ আরসা কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ছামিউদ্দীনসহ সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গুলিবিদ্ধ একজনসহ চারজনকে অস্ত্রসহ আটক করে এবিপিএন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই বাড়ি থেকে দেশীয় তৈরি চারটি ওয়ান শুটারগান, চাইনিজ রাইফেলের ৩০ রাউন্ড গুলি, ২৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, শটগানের পাঁচটি কার্তুজ, তিনটি ফাঁকা ম্যাগাজিন, চারটি ওয়াকিটকি, পাঁচটি মোবাইল ফোন সেট ও একটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানানো হয়েছে।
১ বছর আগে
কক্সবাজারে ৫ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডারসহ পাঁচজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আরসা কমান্ডার ডা. রফিক (৫৪), সদস্য মোহাম্মদ রফিক (২০), নুরুল আমিন (৩৪), মোহাম্মদ রফিক (২১) খায়রুল আমিন (৩২)। তারা সবাই উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উখিয়া বাজারে আরসা’র আহত সদস্যদের জন্য ওষুধ সংগ্রহ করতে এলে অভিযান চালায় আর্মড পুলিশ ও র্যাবের দল। এসময় পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ও পুলিশ লাঞ্ছিতসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তাদের মামলা দিয়ে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৫ ‘হুজি জঙ্গি’, ১ ‘আল কায়েদা সদস্য’ গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
১ বছর আগে
কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
পারিবারিক বিরোধ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশনের (ইউএনএইচসিআর) সাব-অফিসের সামনে পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন রোহিঙ্গা যুবক আবুল ওসমান। বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে শহরের হোটেল-মোটেল সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আবুল ওসমান উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরের ই ব্লকের ৪০ নম্বর শেডের বাসিন্দা এহসানুল হকের ছেলে। এসময় তার সাথে ছিলেন তার স্ত্রী, সন্তান ও মা ফাতেমা বেগম।
ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা আবুল ওসমানের দাবি, তার সৎ মায়ের সাথে তার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। কিন্তু সৎ মা সাবেরা খাতুনের এনজিও সংস্থা ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে সখ্য থাকায় তিনি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তার অভিযোগ, সৎ মায়ের কথা শুনে ক্যাম্প সিআইসি ও পুলিশ তার পরিবারকে নিয়মিত হয়রানি করছে।
কথিত আরসার নেতাদের হুমকি পেতে হচ্ছে জানিয়ে এ যুবক জানান, নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে নিরাপত্তা দেয়ার কথা থাকলেও তারা কোনো কিছুই করছে না। বারবার অভিযোগ করার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এমনকি, নিবন্ধিত শরণার্থী হিসেবে যে সকল সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তাকে তার কিছুই দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
রোহিঙ্গা যুবক জানান, তিনি বারবার সৎ মায়ের বিরুদ্ধে বিচার চেয়েছেন। কিন্তু কেউ তার কথা শোনেনি। তাই বিচার চাইতে তিনি ইউএনএইচসিআরের সাব অফিসে এসেছেন। এর বিচার না করলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন তিনি। পরে রাস্তায় শুয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন।
তার মা ফাতেমা বেগম বলেন, ওসমানদের বাবা আরেকটি বিয়ে করেছেন। ওই নারী তার সন্তানদের হত্যার উদ্দেশ্যে বারবার হামলা করে লোকজন নিয়ে। এ নিয়ে বার বার অভিযোগ দেয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন পুরো পরিবার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
উল্টো অভিযুক্তরা তার ছেলেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে হেনস্তা করছে ভলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইউএনএইচসিআর অফিসে কয়েক দফা বলার পরও সমাধান হচ্ছে না বা করছে না তারা।
ইউএনএইচসিআর কার্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন বলেন, সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আবুল ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বের হন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার কার্যালয়ের লিয়াজোঁ অফিসার ইখতিয়ার উদ্দিন বায়েজীদ বলেন, নিবন্ধিত রোহিঙ্গা পরিবার বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা এক পর্যায়ে তিনি অফিসের সামনের সড়কে বেরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ২
২ বছর আগে
মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে সাম্প্রতিক একাধিক মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ওপর দায় চাপিয়েছে মিয়ানমার।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের মহাপরিচালক জ ফিও উইন সোমবার ইয়াঙ্গুনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় মহাপরিচালক বলেন, আরাকান আর্মি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে’ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে মিয়ানমার বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবক আহত
জ ফিও উইন বলেন, অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সীমান্তের কাছাকাছি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মিয়ানমার সব সময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি মেনে চলে এবং বাংলাদেশসহ সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে’ আরাকান আর্মি ও আরসার সন্ত্রাসীদের পরিখা এবং ঘাঁটির তথ্য অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সেই সব স্থাপনা ও ঘাঁটি ধ্বংসে প্রয়োজনীয় এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মিয়ানমারের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
সাক্ষাতে মহাপরিচালক বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের কাছে মিয়ানমারের ঘটনা সম্বলিত একটি আন অফিসিয়াল পেপার হস্তান্তর করেন।
পড়ুন: মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপ: বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা রাষ্ট্রদূতের
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
২ বছর আগে