সাফজয়ী
সাতক্ষীরায় সাফজয়ী ৩ খেলোয়াড়ের সংবর্ধনা
টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন দেশের নারী ফুটবলাররা। ২০২২ সালে নেপালের দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে রচিত হয়েছিল নতুন এক গল্প। একই মাটিতে ২০২৪ সালে সেই গল্পের নতুন অধ্যায় লেখে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। এবারের সাফল্যে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন সাতক্ষীরার তিন কৃতি সন্তান, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, ডিফেন্ডার মাছুরা পারভীন ও আফঈদা খন্দকার প্রান্তি।
সাফ জয়ের পর প্রথমবারের মতো সাতক্ষীরায় পা রাখলেন তারা। আর নিজ জেলায় পৌঁছেই পেলেন গণসংবর্ধনা। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন, ক্রীড়া সংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নতুন এই অধ্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় নিজ জেলায় শুরু হয়েছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
তবে সেখানে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বক্তব্য রাখতে গিয়ে আক্ষেপ করে বলেন, ‘শুধু ফুটবলে নয়, বিভিন্ন খেলায় সাতক্ষীরার ছেলেমেয়েরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমার ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায় সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে বড় ধরনের কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়নি, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরবর্তী প্রজন্মের সাবিনা, মাছুরা-প্রান্তিদের উঠিয়ে আনার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই সাতক্ষীরা থেকে আরও ভালো ভালো খেলোয়াড় উঠে আসুক। পরে তাদের যেন আমরা সম্মানিত করতে পারি। আমি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাব, ফুটবলের পাশাপাশি যেন অন্যান্য খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে সঠিক পরিচর্যা করা হয়।’
সাবিনা বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের পেছনে পুরো জাতির দোয়া এবং পরিবারের সমর্থন ছিল। সাতক্ষীরার মানুষ সবসময় আমাদের পাশে থেকেছেন। আপনাদের এই ভালোবাসা আমাদের আরও বড় স্বপ্ন দেখতে সাহস যোগায়।’
সেখানে মাছুরা পারভীন এবং আফঈদা খন্দকার প্রান্তি তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করার আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘এই তিন মেয়ে শুধু সাতক্ষীরার নয়, পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তাদের সাফল্য নতুন প্রজন্মকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। এ সময় সাতক্ষীরার খেলোয়াড়দের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।’
অনুষ্ঠান শেষে সাতক্ষীরার এই তিন গর্বিত কন্যাকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট এবং সংবর্ধনা স্মারক দেওয়া হয়। এই আয়োজনে ফুটবলপ্রেমীদের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন বয়সি মানুষজনের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
২৩ ঘণ্টা আগে
সিরাজগঞ্জে সাফজয়ী নারী ফুটবলার আঁখিকে সংবর্ধনা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে তাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভক্তদের উদ্দেশ্যে আঁখি খাতুন বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। আজ আমার খুশির দিন। আমাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। এখন কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে সাফজয়ী ৫ নারী ফুটবলারকে উষ্ণ সংবর্ধনা
তিনি বলেন, আপনারা আমার পাশে ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। আপনাদের সমর্থন আগামী দিনে আমার মনোবল দৃঢ় করবে।
এ সময় স্থানীয় এমপি অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা বলেন, আঁখি খাতুন সিরাজগঞ্জের গর্ব। নারীদের পথ চলা সহজ ছিল না। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে মেয়েরা আজ জয়ী হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সাফল্যের যাত্রা সবে শুরু হলো। এ যাত্রা যেন থেমে না যায়। নারী খেলোয়াড়দের হাত ধরে একদিন বিশ্বজয় করবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সাবেক নারী ফুটবলার রেহেনার খাদ্য সহায়তা অব্যাহত
জানুয়ারি থেকে নিয়মিত বেতন পাবেন নারী ফুটবলাররা
২ বছর আগে
দেশে ফিরলেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দল
ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে দলটি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছায়।
এদিকে নারী ফুটবল দল ঢাকায় অবতরণের আগেই হাজার হাজার ফুটবলভক্ত তাদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। তারা নারী ফুটবলারদের নাম দিয়ে স্লোগান দিচ্ছিল।
আসরে মালদ্বীপ, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এই ইভেন্টে বাংলাদেশ ২৩ গোলের বিপরীতে ফাইনালে মাত্র একটি গোল হজম করেছে।
পড়ুন: বাঘিনীদের বিজয়যাত্রা: ছাদখোলা বিজয়ীদের বাস যে রুট দিয়ে যাবে
২ বছর আগে