সংযোগ বিচ্ছিন্ন
বিল বকেয়া থাকায় চমেক-রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রামে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি)।
এতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রতিষ্ঠান দুটির সংশ্লিষ্টরা। এদিকে দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছে পিডিবির বকেয়া বিল বাবদ পাওনা রয়েছে ৩ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
জানা গেছে, এক কোটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এবার সাড়ে ৩ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য আড়ৎদারদের
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় কলেজের প্রশাসনিক ভবন, দুটি হোস্টেল, ভেনম রিসার্চ সেন্টার, ফরেনসিক ভবন, লাইব্রেরি বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, আমাদের কিছু বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল, যার কারণে বিদ্যুৎ অফিস লাইন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের চিঠি দিচ্ছি যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়। বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য মন্ত্রণালয়েও আমরা চিঠি দিয়েছি। আমাদের মূল বকেয়া বিল ৭১ লাখ টাকা। বিভিন্ন চার্জ মিলে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, তাদেরকে কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবুও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু একাডেমিক ভবনের বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। ছাত্রাবাসে বিদ্যুৎ আছে। চমেক কর্তৃপক্ষ এখনও যোগাযোগ করেনি
এদিকে বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় এক মাস পর আবারও বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল অফিসের।
সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রেল পূর্বাঞ্চলের সিআরবি অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ দক্ষিণাঞ্চল। ২ কোটি ১২ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল অফিসের বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুৎ বিভাগ।
এর আগে গত মাসের (মে) ১৯ তারিখেও রেল পূর্বাঞ্চলের সিআরবি ও পাহাড়তলী অফিসের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয় পিডিবি।
পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে বিল পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলে ওইদিন বিকালে বিদ্যুতের লাইনে পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ উন্নয়নে বোর্ডের (পিডিবি) জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. আকবর হোসেন বলেন, ২ কোটি ১২ লাখ টাকা বিল বকেয়া থাকায় রেলওয়ের সিআরবি অফিসের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে ছাই ১৮টি বাড়ি-ঘর, ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি
চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচসহ সব সবজির দাম বাড়তি
৫ মাস আগে
সময়মতো বিদ্যুৎ বিল শোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা অবৈধভাবে বিদ্যুতের লাইনের সঙ্গে তাদের নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বিদ্যুৎ বিভাগ বা কোনো বিতরণকারী সংস্থা তার দায় নিবে না।
বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসি) এলাকার একটি ঘটনা উল্লেখ করে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, ডব্লিউজেডপিডিসি ৭ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাকে তার এলাকার অধীনস্ত ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার জন্য একটি নোটিশ পাঠিয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলো যদি বকেয়া বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তবে ডব্লিউজেডপিডিসি বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ এর ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিলে কোনো অসামঞ্জস্য থাকলে পরের মাসে সমন্বয় করা হবে: বিদ্যুৎ বিভাগ
ডব্লিউজেডপিডিসি নোটিশের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়া সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ৭৫টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
১৬টি সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার বকেয়া বিল হিসেবে তিন কোটি ৩৪ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।
বিতরণ সংস্থাটি আরও বলেছে, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কিছু সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা ডব্লিউজেডপিডিসি এর সঙ্গে যোগাযোগ না করে অবৈধভাবে তাদের নেটওয়ার্কগুলোকে বিদ্যুতের লাইনের সঙ্গে পুনরায় সংযুক্ত করছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে, ‘এই পুনঃসংযোগের সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে বিদ্যুৎ বিভাগ বা এর বিতরণ কোম্পানি দায় নিবে না।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বকেয়া বিল পরিশোধ না করে বিদ্যুতের লাইনের এই ধরনের অবৈধ ও বেআইনি পুনঃসংযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিদ্যুৎ বিভাগ আরও উল্লেখ করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নোটিশ পাওয়ার পরও কোনো গ্রাহক বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনার পর বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন সব বিতরণ কোম্পানিকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল থাকা গ্রাহকদের নোটিশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিরসনে টাস্কফোর্স পুনর্গঠনের দাবি ক্যাবের
২ বছর আগে