১০ বছর পর
বিয়ের ১০ বছর পর একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম, বেঁচে রইল না কেউ
বিয়ের ১০ পর একে একে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন সালেমা খাতুন। কিন্তু বিধিবাম, পাঁচ সন্তানের একজনও বেঁচে রইলো না। সবাইকে কাঁদিয়ে তারা চলে গেলো না ফেরার দেশে।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এ্যাপোলো ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পাঁচ সন্তান প্রসব করেন গৃহবধূ সালেমা। প্রসবের কিছুক্ষণ পর একে একে পাঁচ সন্তানই মারা যায়। তবে প্রসুতি সালেমা খাতুন সুস্থ আছেন।
সালেমা খাতুন (২৭) উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের ঝন্টু মিয়ার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
বিষয়টি নিশ্চিত করে চিকিৎসক মাসুমা ফেরদৌস বলেন, বাচ্চাদের বয়স সাড়ে চার মাস ছিল। মূলত জরায়ুর সমস্যার কারণে প্রসব করেন তিনি। একটি মেয়ে, দুটি ছেলে এবং বাকি দুটি একসঙ্গে জোড়া থাকায় চিহ্নিত করা যায়নি। প্রসুতি সালেমা খাতুন চিকিৎসাধীন এবং সুস্থ আছেন।
সালেমার খাতুনের স্বামী ঝন্টু মিয়া বলেন, বিকালে স্ত্রীর পেট ব্যথা হলে ক্লিনিকে নিয়ে আসি। এরপরই একে একে পাঁচটি সন্তান প্রসব করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাঁচ সন্তানই আল্লাহপাক ডাকে সাড়া দিয়েছে। বিয়ের ১০ বছর পর সন্তানের মুখ দেখলাম। কিন্তু কেউ বেঁচে রইল না। বর্তমানে আমার স্ত্রী সুস্থ আছেন।
এ্যাপোলো ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মামুন আর রশীদ বলেন, সন্ধ্যার আগে স্বামীর সঙ্গে ওই প্রসুতি বিকালে পেট ব্যাথা নিয়ে ক্লিনিকে আসেন। ক্লিনিকে ঢোকার পরই প্রথমে একটি সন্তান প্রসব করেন। চিকিৎসকের সহযোগিতায় বাকি চার সন্তান প্রসব করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পাঁচ নবজাতকের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম