সৌহার্দ্য
দুর্গাপূজা: এমন উৎসব যা বাংলাদেশকে এক করে
প্রেম ও সৌহার্দ্যের চেতনায় পরিপূর্ণ দুর্গাপূজা বাংলাদেশে একতার উৎসব।
সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ঠ যেই হোক না কেন, এই উৎসবে মণ্ডপে ভিড় করার, ঢাকের (একটি বিশেষ বাজনা যন্ত্র) ধ্বনিতে নাচার ও মনোরম ভোগ নেয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন না।
ফরিদপুর, নেত্রকোণা ও খুলনাসহ সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হিন্দু দেবদেবীর প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত দিন পার করছেন ‘পাল’ নামে পরিচিত প্রতিমা কারিগররা।
১ অক্টোবর উৎসব শুরু হবে ষষ্ঠী উপলক্ষে দুর্গার অবতারণার মাধ্যমে এবং প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে ৫ অক্টোবর।
প্রতিমাগুলো যেন সময়মতো প্রস্তুত হয় তা নিশ্চিত করতে পালরা দিনরাত কাজ করে চলেছে। উৎসব দরজায় কড়া নাড়ছে বলে প্রতিমার কারিগররা প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা কাজ করছে।
ফরিদপুর জেলার প্রতিমা কারিগর সুকুমার পাল বলেন, ‘প্রতিমা তৈরির কাঁচামালের দাম অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিটি প্রতিমার জন্য ৪০ হাজার টাকা নিচ্ছি, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।’
তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সবকিছুর দাম বাড়লেও আমাদের আয় তেমন বাড়েনি।
এ ব্যাপারে জেলার বেলেশ্বরের বিশ্বজিৎ পাল জানান, শোভারামপুর বোর্ড অফিসের সামনে তিনি প্রতিমা তৈরি করছেন। এবছর প্রতিটি প্রতিমা তৈরি করতে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন। মোট আটটি প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। এর মধ্যে ফরিদপুর শহরে একটি প্রতিমা তিনি গড়াচ্ছেন। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে তার প্রতিমা বেশি।
তিনি বলেন, এবছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে এই টাকা নেবার পরও তার হাতে তেমন কিছু থাকবে না।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলার ৯টি উপজেলার ৮২৯টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি জানান, ‘শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে পূজা উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
২ বছর আগে