অপবাদ
মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
বগুড়া সদরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে সাওয়াল নামে এক অটোরিকশাচালককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত অটোরিকশা চালক সাওয়াল সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া পশ্চিমপাড়ার আজিজুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
এ ঘটনায় এক দম্পতিকে তাদের মেয়েসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নিহতের প্রতিবেশী রেজাউল করিম, তার স্ত্রী সানু বেগম ও মেয়ে আশা খাতুন।
বৃহস্পতিবার রাতেই নিহতের বাবা আজিজুল হক গ্রেপ্তার তিনজনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বগুড়া সদর থানার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, সাওয়ালের প্রতিবেশী রেজাউল নামে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালক সাওয়ালকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর রাতেই রেজাউলকে তার স্ত্রী ও মেয়েসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ১৪০০ টন ছোলা আমদানি হয়েছে
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি
৮ মাস আগে
সরাইলে চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চুরির অপবাদে জাহিদুল ইসলাম পরশ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত যুবক জাহিদুল ইসলাম পরশ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আবেদ মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত দুই দিন আগে পাশের বাড়ি আলমগীর মিয়ার বাড়িতে টিউবওয়েলের একটি পাম্প চুরি হয়। সেই চুরির অপবাদে জাহিদুলকে বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেহজনকভাবে প্রতিবেশী শফিক, মঈনুদ্দিন, বাবুসহ বেশ কয়েকজন মিলে মারধর করে।
পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
১০ মাস আগে
কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মসজিদপাড়া থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার পুলিশ।
নিহত যুবক আকরাম শাহ্ (২১) মসজিদপাড়া গ্রামের লালন শাহর ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার (৭ আগস্ট) উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের খন্দকার পাড়ার মৃত হেদায়েত আলীর বাড়িতে চুরি হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ১০ জন যুবক দুপুরের দিকে আকরামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গরু চুরির সালিশে দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ
এরপর হেদায়েত আলীর আম বাগানের একটি গাছে বেঁধে আকরামকে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। শারীরিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে বিকাল ৪টার দিকে আকরামকে তার এক আত্মীয়র হাতে তুলে দেয়।
বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত ১১টার দিকে আকরামের মৃত্যু হয়। এরপর পুলিশকে খবর দিলে রাত ১টার দিকে পুলিশ নিহত আকরামের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলতক রয়েছে। এ ছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডির মেট্রো শপিংমল থেকে ২ কোটি টাকার হীরার গয়না চুরি
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
১ বছর আগে
অনিয়মিত বিদেশফেরতদের প্রতি বৈষম্য কমাতে অপবাদ-বিরোধী প্রচারণা শুরু
ইউরোপ থেকে জোরপূর্বক বা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসা অনিয়মিত বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রতি নানা ধরনের অপবাদ বা কলঙ্ক কমানো এবং সমাজে তাদের সফল পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে একটি নতুন অপবাদ-বিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছে।
‘দ্য মাইগ্র্যান্ট প্রোজেক্ট’-নামে একটি প্রকল্প বিদেশ ফেরত অভিবাসী ও জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজের মাধ্যমে প্রচারণাটি এগিয়ে নেবে।
একটি আন্তর্জাতিক সামাজিক উদ্যোগ ‘সিফার’পাঁচ মাসব্যাপী এই প্রকল্পটি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করছে।
এটি অভিবাসীদের জেনে-বুঝে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন করে।
এই প্রচারণার লক্ষ্য, ইউরোপ ফেরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের মনো-সামাজিক সহায়তা (সাইকোসোশ্যাল সাপোর্ট) এবং সমাজে তাদের সফল পুনর্মিলনে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করা।
এরই অংশ হিসেবে, ২০০ জন বিদেশ ফেরত অভিবাসী মাইগ্র্যান্ট প্রোজেক্টের অভিজ্ঞ ও পেশাদার কাউন্সেলিং দল থেকে বিনামূল্যে ও গোপনীয় কাউন্সেলিং সেবা পাবেন।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত ৮৭ শতাংশের আয়ের কোনো উৎস নেই: ব্র্যাক
অনলাইনে একটি ফর্ম পূরণ-
(ফর্মের লিংক: https://malto-crm.org/bn/forms/181) করে অথবা সরাসরি কাউন্সেলরদের ফোন করে (+৮৮০ ১৫৩৭-৩১৫৭৭০, +৮৮০ ১৯৬৯-৮৩৫৫০৫) অভিবাসীরা এই কাউন্সেলিং সেবা পেতে পারেন।
বিদেশ ফেরতরা যে ধরনের সীমাবদ্ধতার মুখোমুখি হয় সেগুলো আরও ভালোভাবে বোঝা এবং দেশে ফেরার পরে সামাজিকভাবে যেসব অপবাদের মুখোমুখি হয় তা কমাতে প্রচারণাটি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।
‘সিফার’র গবেষণা বলছে, ইউরোপ থেকে ব্যর্থ হয়ে দেশে ফিরে বাংলাদেশি অনিয়মিত অভিবাসীরা প্রায়ই নানা ধরনের অপবাদ বা কলঙ্কের মুখোমুখি হন। প্রায় অর্ধেক অভিবাসী নানা ধরনের অপবাদ বা কলঙ্কের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও এলাকার মানুষের কাছ থেকে বেশ খারাপ আচরণের সম্মুখীন হয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির ২০২১ সালের একটি গবেষণা আরও বলছে, ইউরোপে যাওয়ার জন্য পরিবার থেকে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করা হয়, তাই অভিবাসীরা যখন খালি হাতে ফিরে আসে তখন বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখা হয় না।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত ৭০ শতাংশ বাংলাদেশি জীবিকা সংকটে: আইওএম
এর মধ্যে, অনেককেই বিদেশে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, শোষণ, কঠিন কাজ ও নানান বাজে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সব মিলিয়ে একজন অভিবাসী অত্যন্ত মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশায় ভুগতে থাকেন।
ফ্রান্সফেরত একজন পুরুষ অভিবাসী বলেন, আমি জানতাম মানুষকে বোঝানো খুব কঠিন হবে। আমি ইউরোপে যেতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। সবাই এখন এই ব্যর্থতা এবং অর্থ অপচয়ের জন্য আমাকে দায়ী করে। আমাকে বিদেশ পাঠাতে আমার বাবা-মা তাদের জমি-জমা বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলেন।
যেসব দেশ থেকে অভিবাসীরা অনিয়মিতভাবে সবচেয়ে বেশি ইউরোপে যায়, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম।
‘সিফার’র গবেষণা বলছে, ২০২১ সালে প্রায় ৯ হাজার বাংলাদেশি অনিয়মিতভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এছাড়াও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে অসংখ্য অভিবাসীকে ইউরোপ থেকে জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’র (আইওএম) একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৯৬ শতাংশ বিদেশফেরত বাংলাদেশি অভিবাসী চাকরির সুযোগের অভাব, অপর্যাপ্ত আয় ও আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন।
আরেক বিদেশফেরত যিনি অনিয়মিতভাবে ইউরোপে গিয়েছিলেন তিনি বলেন, আপনি যদি ফিরে আসেন, তাহলে এর মানে আপনি একজন ব্যর্থ। মানুষ আপনাকে করুণা করে, বন্ধুরা আপনাকে নিয়ে হাসে।
পরিবারের সদস্যরা কখনই বুঝতে পারে না, আপনি কীভাবে এত বছর ইউরোপে বেঁচে ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশফেরত শ্রমিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা
২ বছর আগে