ক্ষমতাবাজী
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে: ইনু
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সারাদেশে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক-অযৌক্তিক ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে বাজার সিন্ডিকেট দমন, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের দমন, দলবাজী ও ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ফেনীর গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতির বর্তমান অস্থিরতা, সংঘাত ও সংঘর্ষ নতুন নয়, এটা ৫২, ৭১ ও ৭৫-এর পুরাতন বিরোধের বহিঃপ্রকাশ। ৫২ ও ৭১-এ মীমাংসিত বিষয়গুলোকে অমীমাংসিত করা ও ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করার রাজনীতিই এই বিরোধের মূল কারণ।
এছাড়া ১৯৭৫ সাল থেকে মুশতাক-জিয়া এই ৫২ ও ৭১ বিরোধী, বাংলা-বাঙালি-বাংলাদেশ-স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাকিস্তানপন্থার রাজনীতি রাষ্ট্র-রাজনীতি-সমাজে চাপিয়ে দিয়ে জাতিকে বিভক্ত করে বিরোধের রাজনীতিকে স্থায়ী রূপ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচনটা ভোট যুদ্ধ নয়, বিএনপি-জামায়াত বর্জনের যুদ্ধ: ইনু
জাসদ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গীবাদী, উগ্রবাদী শক্তিগুলো এই বিরোধের রাজনীতির ধারক ও বাহক। এরা বাঙালির আত্মপরিচয়, ভাষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান মানে না। এরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহনীর গণহত্যার পক্ষে, রাজাকার-আলবদর-যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পক্ষে সাফাই গায়। এরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক ধারাকে নিশ্চিহ্ন করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, কর্নেল তাহেরকে হত্যা করেছে ও শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাঙালি-বাংলা-বাংলাদেশ-মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যতদিন রাজনীতির মাঠে থাকবে, ততদিন দেশের রাজনীতির অস্থিরতা-সংঘর্ষ-সংঘাত-অশান্তির অবসান হবে না।
ইনু বলেন, বাংলা-বাঙালি-বাংলাদেশ-মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার বিপক্ষের অপশক্তি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চিরশত্রুদের রাজনৈতিকভাবে পরাজিত-দমন-ধ্বংস করেই রাজনীতি ও সমাজে স্থায়ী শান্তি অর্জন করতে হবে।
সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের চিরশত্রু পাকিস্তানপন্থার রাজনীতির ধারক-বাহক বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক-জঙ্গীবাদী-উগ্রবাদী শক্তিকে বর্জন ও ধ্বংস করার দায়িত্ব নিতে হবে।
এছাড়া সমগ্র জাতিকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশ আফিগানিস্তান-পাকিস্তানের মত তালেবানি পথে যাবে, নাকি ধর্মের নামে সংঘাত-সংঘর্ষ-অশান্তি-খুনাখুনি-রক্তারক্তির পথে যাবে, নাকি শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়নের পথে যাবে?
ফেনী জেলা জাসদের সভাপতি নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিনিধি সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, মীর হোসাইন আখতার, সহ-সভাপতি নুরুল আকতার, শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, আব্দুল্লাহিল কাইয়ুম, মো. মোহসীন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, মো. নুরুন্নবী, জসিম উদ্দিন বাবুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিয়াউল হক মুক্তা, কোষাধ্যক্ষ মো. মনির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সহ-দপ্তর ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশীদ সুমন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সেলিম, সমাজসেবা সম্পাদক কাজী সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য তৈয়বুর রহমান, কক্সবাজার জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রাম মহানগর জাসদের সহ-সভাপতি মফিজর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসদের সভাপতি বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন, বান্দরবন জেলা জাসদের সভাপতি সুযশময় চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুল হক বকশী, লক্ষীপুর জেলা জাসদের মাহবুবুল আলম, কুমিল্লা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইমুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, চাঁদপুর জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন।
আরও পড়ুন: বিএনপি একটি সাম্প্রদায়িক তালেবানী চক্র: ইনু
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকিদাতারা চিহ্নিত রাজনৈতিক মোল্লা: ইনু
২ বছর আগে