বামপন্থী
ঢাবিতে প্রথম আলোর সাংবাদিক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর
প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্র ইউনিয়ন ও অন্যান্য বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দেন।
প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে বিক্ষোভকারীরা কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রলয় গ্যাং: অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিস্কার
আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ‘প্রতিবাদ করতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আপনারা জানেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়। তাহলে কেন তারা শামসকে গ্রেপ্তার করল? আমরা এমন একটি দেশে বাস করছি যেখানে আমরা ‘স্পেডকে স্পেড’ বলতে পারি না। যখন কেউ জনগণের দুর্দশার বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে, তখন সে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। তখন অন্য কিছু মিডিয়া এই ধরনের প্রতিবেদনের ভুল প্রমাণের চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু তারা বিভিন্ন সেক্টরে অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার মতো অপরাধের প্রতিবেদন করে না।’
শামসের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীরা বলেন, রাজনৈতিক পটভূমি নির্বিশেষে এখন এর বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় এসেছে। পরে তারা একটি শোভাযাত্রা বের করে টিএসসি এলাকা প্রদক্ষিণ করে জাতীয় জাদুঘর পর্যন্ত যায়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
১ বছর আগে
ইতালিতে ভোট: ঐতিহাসিক জয়ের পথে কট্টর ডানপন্থী মোলোনি
ইতালিতে ভোটে ঐতিহাসিক জয়ের পথে কট্টর ডানপন্থী জর্জিয়া মোলোনি। ইউরোপের সংকটময় সময়ে ইতালির ডানপন্থী রাজনীতিকে তীব্রভাবে এগিয়ে নিতে রবিবার ভোট দিয়েছে দেশটির নাগরিকরা। যা ইউক্রেন যুদ্ধের সময় রাশিয়ার আকাশচুম্বী জ্বালানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় পশ্চিমাদের সংকল্পের অনুসরণ করে।
দেশটিতে স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয় এবং দুপুর নাগাদ শেষ হবে। যা ২০১৮ সালে ইতালির শেষ সাধারণ নির্বাচনের একই সময়ের তুলনায় ভোটের পরিমাণ ছিল সমান বা সামান্য কম। ভোট গ্রহন বন্ধ হওয়ার পরপরই স্থানীয় সময় রাত ১১টায় কাগজের ব্যালট গণনা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে আংশিক ফলাফল প্রকাশ হতে পারে।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর
দেশটিতে নির্বাচনের আগে দুই সপ্তাহের মধ্যে জনমত জরিপ ও প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তার আগে জরিপগুলো দেখিয়েছে নব্য-ফ্যাসিস্ট কট্টর-ডানপন্থী নেতা জর্জিয়া মেলোনি এবং তার ব্রাদার্স অব ইতালি পার্টি সবচেয়ে জনপ্রিয়। ইতালীয়রা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার ডানপন্থী সরকারকে ক্ষমতায় আনতে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। পিছনে ছিলেন সেন্ট্রাল লেফট ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেটা।
রবিবার সকালে এক টুইট বার্তায় মেলোনি বলেন, ‘আজ আপনারা ইতিহাস লিখতে সাহায্য করতে পারেন’।
তিনি ব্যালটবক্সের সঙ্গে নিজের ছবি জুড়ে দিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। আর লিখেছেন ‘ভালো, ভোট দিন’
আরও পড়ুন: আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান সীমান্তে সংঘর্ষে ৯৯ সেনা নিহত
মেলোনি অভিবাসী বিরোধী লীগ নেতা মাত্তেও সালভিনি এবং সিলভিও বারলুসকোনির সঙ্গে একটি ডানপন্থী জোটে রয়েছেন। বারলুসকোনি ইতালির তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং তিন দশক আগে ফোরজা ইতালিয়া দলের প্রধান ছিলেন। ইতালির জটিল নির্বাচনী আইন ডেমোক্র্যাটদের সুবিধাবঞ্চিত করে। কারণ তারা জনপ্রিয় বামপন্থী এবং সেন্ট্রাল লেফট ডেমোক্রেটদের সঙ্গে একইভাবে বড় জোট নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মেলোনি প্রধানমন্ত্রী হলে তিনিই হবেন ইতালির প্রথম নারী যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তবে একটি কার্যকর ক্ষমতাসীন জোট হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
প্রায় পাঁচ কোটি এক লাখ ভোটার ছিল। যদিও জরিপকারীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে রেকর্ড-সেটিং সর্বনিম্ন ৭৩ শতাংশের চেয়েও কম ভোটার হতে পারে। তারা বলে যে ইউরোপের অনেক সংকট সত্ত্বেও, অনেক ভোটার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন। যেহেতু ইতালিতে তিনটি জোট সরকার ছিল, তাই গত নির্বাচনে প্রত্যেকটি জোট এমন একজনের নেতৃত্বে ছিল, যিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ৩টি তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ নিল জার্মানি
২ বছর আগে