পুলিশ ক্লোজড
চুয়াডাঙ্গায় হাতকড়া খুলে আসামির পলায়ন, ৩ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে আজিজুল শেখ নামে ডাকাতির মামলার এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এ ঘটনার তদন্তে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
পলাতক আসামি আজিজুল শেখ (৩৮) গোপালগঞ্জের মকছেদপুর থানার জলিরপাড় আবাসনের ফজল শেখের ছেলে। তিনি দামুড়হুদা থানার একটি ডাকাতি মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।
প্রত্যাহার হওয়া তিন পুলিশ সদস্য হলেন-সহকারী শহর উপপরিদর্শক (এটিএসআই) মো. আনোয়ার হোসেন, কনস্টেবল মো. মিলন হোসেন ও মোছা. বেনজির নাহার।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, ডিবি) আলমগীর কবীর ও রিজার্ভ অফিসের পরিদর্শক আবদুল বারেক।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গরুর খামারে ডাকাতি: ৬ পুলিশ প্রত্যাহার
এসপি জানান, তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে আদালতে নেয়া হয় আসামি আজিজুলকে। সেখানে ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতের গারদে নেয়ার সময় কৌশলে হাতকড়ার লক খুলে পালিয়ে যান তিনি। পরে তার পেছনে ধাওয়া করেও ধরতে পারেননি পুলিশ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে বগুড়ায় ২ পুলিশ প্রত্যাহার
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়েছেন আজিজুল শেখ। তাকে গ্রেপ্তারে এরই মধ্যে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের অবহেলার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২ বছর আগে
কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, কর্তব্যে অবহেলার অভিযাগে ৩ পুলিশ ক্লোজড
কুমিল্লার মুরাদনগরের চাপিতলা গ্রামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সোমবার তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাঙ্গরা বাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই ) আতাউর রহমান ও কনস্টেবল মামুন।
জানা যায়, উপজেলার চাপিতলা গ্রামে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ভুক্তভোগী ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ৮/১০ জনের একটি দল। এসময় তারা ভুক্তভোগীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে। এসময় দুর্বৃত্তরা ওই নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য পেটে লাথি মেরে আহত করে। ঘটনার পরদিন গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ বিষয় থানায় অভিযোগ করতে গেলে, প্রকৃত সত্য ঘটনাকে আড়াল করে সাধারণ চুরির অভিযোগ নিয়ে সময়ক্ষেপণের মাধ্যম ঘটনার প্রধান আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় রবিবার বিকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই পুলিশ সদস্যদেরকে বাঙ্গরা বাজার থানা থেকে ক্লোজড করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন।
ওসি বলেন, এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গাফিলতির কারণে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ, যুবক আটক
খুলনায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা: প্রাইভেট শিক্ষকের ৩ দিনের রিমান্ড
২ বছর আগে