নিশ্চিত
প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: খায়রুল কবির
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের পরিচয় আমরা সবাই বাংলাদেশি। তাই দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সদর উপজেলা, নরসিংদী পৌর ও মাধবদী পৌর বিএনপির আয়োজনে অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে খায়রুল কবির খোকন এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও নতুন ইসি চায় বিএনপি
খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যাতে কোনো অপশক্তি ষড়যন্ত্র করতে না পারে এজন্য আমাদের দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থাকতে হবে।’
নরসিংদীতে দুর্গাপূজা নিরাপদভাবে উদযাপন এবং সার্বিক সহযোগিতায় সনাতন ধর্মবলম্বীদের পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেছে বিএনপি।
নরসিংদী-১ সংসদীয় আসনের ৮২টি পূজামণ্ডপ কমিটির সভাপতির হাতে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ৭ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান বিতরণ করেন।
জেলা পূজা উদযাপন মনিটরিং সেলের আহ্বায়ক এমএ জলিলেল সভাপতিত্বে আর্থিক অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেলের সদস্য সচিব আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সালেহ চৌধুরী, নরসিংদী শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবীর কামাল, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসীন হোসাইন বিদ্যুত।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, বহিষ্কার ৪
২ মাস আগে
দ্বৈত শাসনব্যবস্থার বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, দ্বৈত শাসনব্যবস্থার বিলোপ না হলে বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে না।
তিনি বলেন, ‘বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা তত দিন পর্যন্ত নিশ্চিত হবে না, যত দিন না বিচার বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান দ্বৈত শাসনব্যবস্থা অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার সম্পূর্ণরূপে বিলোপ করে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। আর এটিই হবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রথম ধাপ।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘একটি ন্যায়ভিত্তিক বিচারব্যবস্থার কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে স্বল্প সময় ও খরচে বিরোধের মীমাংসা নিশ্চিত করে জনগণ, সমাজ, রাষ্ট্রকে সুরক্ষা দেওয়া। এ জন্য বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা থেকে পৃথক ও স্বাধীন করা সবচেয়ে জরুরি। কেননা শাসকের আইন নয়, বরং আইনের শাসন করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের মতো বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পরিপূর্ণ প্রস্তাব প্রস্তুতক্রমে আমরা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। এই প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আমি প্রধান উপদেষ্টা ও মঞ্চে উপবিষ্ট আইন উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই যে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মধ্যে প্রধান সমস্যা হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ কার্যকররূপে পৃথক না হওয়া। এর কুফল আমরা সবাই ভোগ করেছিলাম দেড় দশক ধরে। এ ছাড়া আছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব। মামলা অনুপাতে বিচারকের নিদারুণ স্বল্পতা, বার ও বেঞ্চের মধ্যে...মনোভাবের ঘাটতি, আদালতগুলোর অবকাঠামোগত সংকট, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা না থাকা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে কোনো আইন না থাকা এবং প্রথাগত জ্যেষ্ঠতার নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ইত্যাদি বিষয়গুলো, যা আমাদের বারবার পিছিয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: আমরা ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে আছি, নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে: প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগ যেন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে বিচার বিভাগের কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহযোগিতা কামনা করেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, ‘এই সংস্কারের উদ্দেশ্য হবে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট হয়েছে, তা দ্রুত দূর করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী, আধুনিক, দক্ষ ও প্রগতিশীল বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বর্তমানে বিচারকদের পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে কোনো ঘোষিত নীতিমালা নেই। ফলে পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময়ই বিচারকেরা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে যথোপযুক্ত নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন করব। শুধু বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করলেই হবে না, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসেবে সংবিধানের ৯৫(২) অনুচ্ছেদে যে বিধান রয়েছে কেবল সেটুকু নিশ্চিত করে বিচারক নিয়োগের ফলে সুপ্রিম কোর্টে এক অভূতপূর্ব অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনেক ক্ষেত্রেই রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে পালন করেছে। এটি ন্যায়বিচারের ধারণার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।’
তাই উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে অন্যান্য দেশে অনুসৃত আধুনিক পদ্ধতিগুলো বিবেচনায় নিয়ে দেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে একটি কলোজিয়াম ব্যবস্থা চালু করতে আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি।
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূল্যবোধকে বিনষ্ট ও বিকৃত করা হয়েছে। শঠতা, বঞ্চনা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। অথচ বিচার বিভাগের সবচেয়ে শক্তির জায়গা হচ্ছে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। তাই নতুন এই বাংলাদেশে আমরা একটা বিচার বিভাগ গড়তে চাই যেটি, সততা ও অধিকারবোধের নিশ্চয়তার একটি নিরাপদ দুর্গে পরিণত হবে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের প্রতি প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা
৩ মাস আগে
মন্ত্রণালয়ের কোনো কার্যক্রম যেন থেমে না থাকে নিশ্চিত করতে হবে: শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘যার যে দায়িত্ব সেই বিভাগ কিংবা ডিপার্টমেন্টকে সক্রিয় করুন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আমাদের কাজের অনেক সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কার্যক্রম যেন স্থবির অবস্থার মধ্যে না থাকে সেটা আগে নিশ্চিত করুন। আশা করি বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে আমরা দেশের মানুষ ও দেশের জন্য ভালো কিছু উদ্যোগ নিতে পারব।’
আরও পড়ুন: বাজারে চাপ কমাতে যতটুকু সম্ভব অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি করতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
রবিবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘দেশের মানুষ ও দেশের জন্য ভালো উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নে আপনাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চাই। অনেক কিছুই স্থবির হয়ে আছে। সবকিছু আবার সক্রিয় করতে হবে।’
এসময় মন্ত্রণালয়ের ভিশন, মিশন ও কার্যাবলি উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। এছাড়াও, চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন ও দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি করতে বাংলাদেশে নির্মিত হবে স্পোর্টস ইনস্টিটিউট: আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
৭ দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হবে: উপদেষ্টা ফাওজুল
৪ মাস আগে
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে পুলিশকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান
কর্মবিরতির গুজবের মধ্যেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে ধীরে ধীরে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ কে এম শহীদুর রহমান।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে রাজারবাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
কর্মবিরতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিত্তিহীন গুজব উপেক্ষা করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান এআইজি।
জননিরাপত্তায় পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, 'পুলিশ জনগণের বন্ধু, জনগণের জন্য কাজ করে। পুলিশ ছাড়া সমাজ কল্পনা করা যায় না। তাই আমি আমাদের পুলিশ সদস্যদের আবারও অনুরোধ করছি, তারা যেন এই গুজব উপেক্ষা করে পর্যায়ক্রমে তাদের কাজে ফিরে যান। যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথভাবে থাকে তা নিশ্চিত করুন।’
আরও পড়ুন: বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
পুলিশ বাহিনীর বর্তমান সংকটময় পর্যায়ের কথা উল্লেখ করে এআইজি সারা বাংলাদেশে তার সহকর্মী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে জোরদার করার আহ্বান জানান। তিনি ইউনিট কর্মকর্তাদের তাদের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ দেন এবং উদ্ভূত পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার সময় কর্মকর্তাদের ধীরে ধীরে তাদের ভূমিকা পুনরায় শুরু করতে উৎসাহিত করেন।
পাশাপাশি নিহত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধারের বিষয়ে আপডেট দিয়েছেন এআইজি। তিনি জানান, বিভিন্ন থানায় পাওয়া লাশ সংগ্রহ করে রাজারবাগে আনা হয়েছে। অন্যান্য স্টেশন থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, তাদের দ্রুত দাফন এবং তাদের নিজ নিজ ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল
৪ মাস আগে
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বুধাবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবার সমস্যা সৃষ্টি করা ঠিক হবে না। আগে পরিবেশ তৈরি করা হবে। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হবে।’
বারবার আল্টিমেটামের ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে নওফেল বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়েছেন এবং রায় অনুযায়ী সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।’
তিনি বলেন, 'বর্তমানে মূল দুশ্চিন্তার বিষয় এইচএসসি পরীক্ষা। ২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।’
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত সব শিক্ষা বোর্ডের ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২৮ জুলাই থেকে অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠেয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা এগিয়ে নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
৪ মাস আগে
জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বৈশ্বিক সহযোগিতার বাড়ানোর আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসন ও পরিবেশগত অবনতির জটিল সমস্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সংহতির গুরুত্ব তুলে ধরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জলবায়ু ন্যায়বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বেলজিয়ামের লিজ শহরে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট মোবিলিটিস নেটওয়ার্কের (ইসিএমএন) দ্বিতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ‘কলোনাইজিং দ্য ফিউচার: ক্লাইমেট জাস্টিস, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ, জলবায়ু সহযোগিতা জোরদারের আশা
জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অন্যতম কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি হলেও এটি বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য একটি হুমকি। এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে ১৭ শতাংশ উপকূলীয় এলাকা তলিয়ে যেতে পারে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বাড়লে ৪০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
কপ আলোচনায় বাংলাদেশের প্রথম সারির ভূমিকা, বিশেষ করে ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলার বিষয়ে প্রশংসা করেন প্যানেলিস্টরা। বৈশ্বিক আর্থিক ও গভর্নিং মেকানিজমের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও কথা বলেন তারা।
এছাড়াও উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও অর্থপূর্ণ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা, আস্থা পুনর্গঠন এবং একটি ন্যায্য, আরও গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক শাসনের কথা তুলে ধরেন প্যানেলিস্টরা।
বেলজিয়ামের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও গবেষক ফ্রাঁসোয়া গেমেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ইতিহাসবিদ এবং লেখক ডেভিড ভ্যান রেইব্রুক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের মহাসচিব ও মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন স্যান্ড্রিন ডিক্সন-ডেক্লেভ, ক্লাব অব রোমের সহসভাপতি এবং আর্থ ৪অল-এর নির্বাহী পরিচালক এবং সেন্ট্রাল ইউরোপের ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্যাটারিনা সেফালভায়োভা।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইইউতে মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি: পরিবেশমন্ত্রী
বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিতে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ডিজিটাল যুগের সুবিধা সবার জন্য নিশ্চিতের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের একটি মূল লক্ষ্য হলো- উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, ব্রডব্যান্ড অবকাঠামো, ডিজিটাল সাক্ষরতা প্রশিক্ষণ দেওয়া। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য ডিজিটাল বিভাজন দূর করে নিরাপদ সংযোগ তৈরিতে সহায়তা করতে পারে।
শুক্রবার (১৭ মে) আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এই আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, 'আসুন এই আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ তথ্য সংঘ দিবসে ডিজিটাল যুগ থেকে সব দেশের মানুষ যাতে লাভবান হতে পারে তা নিশ্চিত করতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি আমরা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, তারা জীবনকে আরও ভালোভাবে পরিবর্তন করতে যোগাযোগ সরঞ্জামের শক্তি উদযাপন করেছেন।
এবারের প্রতিপাদ্য টেকসই উন্নয়ন ও এসডিজি অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবনের মূল ভূমিকা তুলে ধরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে এবং চিকিৎসকদের তাদের রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা করতে পারে। এটি এখন মৌলিক হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থা এবং টেকসই শহর গড়ে তোলার জন্য।
আরও পড়ুন: সবার উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে লিঙ্গ সমতা জরুরি: গুতেরেস
তিনি বলেন, এসব উদ্ভাবন শুধু ধনী দেশগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। উন্নয়নশীল অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের ধাক্কাও বহন করে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এই চ্যালেঞ্জগুলো কমাতে সহায়তা করতে পারলেও তারা প্রায়শই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়।
গুতেরেস বলেন, বৈশ্বিক সমর্থন ও সমন্বয়েরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ‘এটি আইটিইউ-এর এআই ফর গুড’ উদ্যোগেরও চেতনা, এআই সম্পর্কিত আমার উচ্চ পর্যায়ের উপদেষ্টা সংস্থার অন্তর্বর্তীকালীন সুপারিশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যা এআই প্রযুক্তি সকলের উপকার নিশ্চিত করতে সক্ষম করে তোলা দায়িত্বশীল শাসন কাঠামোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানায়।’
এর আগে সেপ্টেম্বরে ‘সামিট অব দ্য ফিউচারে’ তিনি বলেন, মানবকল্যাণের জন্য শক্তি হিসেবে প্রযুক্তি সুরক্ষার লক্ষ্যে দেশগুলো একটি ‘গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট’র বিষয়ে একমত হবে।
গুতেরেস বলেন, 'এসডিজিকে সমৃদ্ধ করতে এবং কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল প্রশাসনকে এগিয়ে নিতে ডিজিটাল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এটি একটি অনন্য সুযোগ হবে।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি: গুতেরেস
৭ মাস আগে
তথ্য অধিকার আইনে গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য অধিকার আইনের আওতায় গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন সরকার নিশ্চিত করতে চায়। এই আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাশ করা হয়েছে।
বুধবার (০৮ মে) দুপুরে রাজধানীর দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘তথ্য অধিকার আইন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অপতথ্য রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা জানালেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সরকার নিজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য এই আইন করেছে। তবে যেকোনো একটি আইন সমাজে তৈরি হলে, সে আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। এই আইনে যারা তথ্য নেবেন বা যারা তথ্য দেবেন- দুই পক্ষেরই কিছু বোঝাপড়ার অভাব থাকতে পারে। এ আইন শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী করেছে। কিন্তু সে অস্ত্রের ব্যবহার না অপব্যবহার হবে সেটা বোঝা এবং এ আইনে যাদের কাছে তথ্য চাওয়া হবে, তাদের মধ্যে একটি সংস্কৃতিগত রূপান্তর দরকার। তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় জড়তা থাকে। যেগুলো জনসম্পৃক্ত তথ্য, জনগণের যেটা অধিকার সে তথ্য দেওয়ার বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করতে চায়। গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে পেশাদার আচরণ (অ্যাপ্রোচ) থাকা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিকার আইনের অধীন যে তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে সে বিষয় নিয়ে অনেক সময় যারা তথ্য চাইবেন তাদের পক্ষ থেকেও কিছু ভুল বোঝাবুঝি থাকে। কোন তথ্য সর্বসাধারণের জন্য এবং কোন তথ্য গোপন তথ্য সেটার পার্থক্য করতে পারা জরুরি। কিছু তথ্য আছে স্পর্শকাতর যেগুলো গোপন আইনের অধীন রক্ষিত আছে। এগুলো সর্বসাধারণের জন্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ এ ধরনের অন্যান্য স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এসব কৌশল বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত অনেক সময় গোপন রাখতে হয়। এগুলো প্রকাশ করলে অনেক সময় বৃহত্তর স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এক্ষেত্রে সাংবাদিকতা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো এবং স্পর্শকাতর তথ্য এসবগুলোর মধ্যে ভারসাম্য করতে হয়। সেখানে প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ ও মিথস্ক্রিয়া সকল পক্ষের করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, জনগণের কাছে তথ্য পৌঁছানো ও অপতথ্য মোকাবিলা করতে হবে। তবে সর্বসাধারণের জন্য তথ্য এবং জাতীয় স্বার্থে যেগুলো পৃথিবীর সকল দেশে স্পর্শকাতর ও গোপন তথ্য হিসেবে ধরা হয় সেগুলোর মধ্যে পার্থক্য নিরূপণের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আমরা সরকার ও প্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিতে চাই। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অঙ্গীকার।
আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার র্যাংকিং নির্ধারণ পদ্ধতির ভুল তুলে ধরা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য অধিকার আইনকে আমরা আরও প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা চাই, সাংবাদিকরা যেন এই আইন ব্যবহার করে আরও ক্ষমতাপ্রাপ্ত হোন, এই আইনের পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারেন এবং তার উপযোগিতা আমরা সমাজে পাই। একইসঙ্গে এই আইনের আমরা দায়িত্বশীল ব্যবহার দেখতে চাই। যাদের এই আইনের অধীনে তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে, যেন তথ্য চাওয়া হলে সেটি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, জনগণের পক্ষ থেকে যখন গণমাধ্যম তথ্য চাইবে, সে তথ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক তথ্য যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা হবে, তত গুজব বা অপপ্রচারের সুযোগ কমবে।
তিনি আরও বলেন, যে তথ্য জনগণের বলে তথ্য অধিকার আইন নিশ্চিত করছে, সেই তথ্য গণমাধ্যমকে দিতে হবে। এই তথ্যগুলো যত দ্রুততার সঙ্গে সহজলভ্য করা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এই ধরনের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য তত ভালো। আমাদের সবার এই মানসিকতা তৈরি করা দরকার যে, সঠিক তথ্য যত দ্রুত জনগণের কাছে চলে আসবে, এটা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় তথ্য অধিকার আইনের আওতায় যারা তথ্য দেবেন,তাদের মধ্যে যেন কোন ধরনের জড়তা বা মানসিক বাধা না থাকে। সরকার আরও চায় সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দ্রুততম সময়ের মধ্যে তথ্য সহজলভ্য করুক। আর যারা তথ্য চাইবেন আমরা চাই তথ্য অধিকার আইন তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই আইন ব্যবহারের সক্ষমতা তৈরি হোক সেটাও আমরা চাই যাতে এই আইনের অপব্যবহার কেউ না করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য দেওয়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য সহজলভ্য করা হবে।
তিনি আরও বলেন, অপসংবাদিকতা হলে তার সবচেয়ে বড় শিকার হয় পেশাদার সাংবাদিকরা। অপপ্রচার হলে পেশাদার সাংবাদিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সকল আইনেই কিছু অসৎ ব্যক্তি অপব্যবহারের সুযোগ নিতে চায়। সেটা আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) ব্যবহার করে কোনো সাংবাদিকতার চর্চা আটকে দেওয়ার সুযোগ নেই। সিএসএ পেশাদার সাংবাদিকতাকে সুরক্ষা দেবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. খুরশীদ আলম।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
ক্ষমতার অপব্যবহার যাতে না হয়, তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সব বিচারককে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা ও দায়িত্ব একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষমতার চর্চায়ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
শুক্রবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে 'একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশীয় সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষা' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মমতাজ উদ্দিন ফকির অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
অমর একুশে: ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৯ মাস আগে
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাই তারা জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বরিশাল, সিলেট ও খুলনা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি: মুজিবুল হক চুন্নু
পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার দল নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তারা দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে।
দলের জন্য প্রার্থীদের অবদান, তাদের নাম-খ্যাতি, জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং সর্বোপরি দেশের প্রতি শ্রদ্ধা বিবেচনা করে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৭ নভেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আইনজীবী সালমা ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই: মুজিবুল হক চুন্নু
১ বছর আগে