নিশ্চিত
ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
ক্ষমতার অপব্যবহার যাতে না হয়, তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সব বিচারককে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা ও দায়িত্ব একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষমতার চর্চায়ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
শুক্রবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে 'একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশীয় সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষা' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মমতাজ উদ্দিন ফকির অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
অমর একুশে: ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাই তারা জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বরিশাল, সিলেট ও খুলনা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি: মুজিবুল হক চুন্নু
পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার দল নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তারা দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে।
দলের জন্য প্রার্থীদের অবদান, তাদের নাম-খ্যাতি, জনগণের প্রতি ভালোবাসা এবং সর্বোপরি দেশের প্রতি শ্রদ্ধা বিবেচনা করে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান যাতে ভোটাররা ভোট দিতে পারে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে এবং ২৭ নভেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আইনজীবী সালমা ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই: মুজিবুল হক চুন্নু
মানুষের নির্বিঘ্নে চলাফেরা নিশ্চিত করবে পুলিশ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধ চলাকালে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে যারা এর আগেও সারা দেশে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ছিল তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় স্বার্থান্বেষী একটি মহল জড়িত দাবি করে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘কেউ যদি কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চায়, সে অধিকার তার রয়েছে। তবে মানুষেরও অবাধে রাস্তায় চলাচল করার অধিকার রয়েছে। সুতরাং, মানুষ যাতে অবাধে চলাফেরা করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস আইজিপি’র
২৮ অক্টোবর বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান আইজিপি। পরিদর্শন শেষে বুধবার (১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এদিকে কোনো প্ররোচনা ছাড়াই পিকেটাররা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আরেকটি বাসে হামলা চালায়। তারা ইচ্ছাকৃত মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নৃশংস হামলায় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম নিহত হন।
এ ছাড়া ওই দিন রাজধানীর মতিঝিল কাকরাইল ও নয়াপল্টনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে ৪১ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, আহত ২২ পুলিশ সদস্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে এবং ১৯ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজেকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি ও বিএনপি কার্যালয়ে আনা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনও কিছু প্রকাশ করতে চাই না।’
মঙ্গলবার সাভার থেকে সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে রবিবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরেফিকে আটক করা হয়।
সোমবার ডিবি কার্যালয়ে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হিসেবে দাবি করা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি বলেন, ‘লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী আমাকে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। তারা আমাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিল।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ: আইজিপি
দেশপ্রেমের চেতনায় দায়িত্ব পালন করুন: ক্যাডেট উপরিদর্শকদের উদ্দেশে আইজিপি
এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের সুপার ফোর কি নিশ্চিত?
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের জায়গা নিশ্চিত না-কি অনিশ্চিত, এ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে ভীষণ চাপে ছিল বাংলাদেশ। কারণ ম্যাচটি হারলে এশিয়া কাপ থেকে বিদায়, জিতলেও রানরেট বাড়িয়ে নিতে হতো। সব চাপ সামলে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে বংলাদেশ।
সব সমীকরণ থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশ সুপার ফোরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুকূল অবস্থানেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক আর নেই
কারণ এশিয়া কাপের বি গ্রুপে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশও। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দুটি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে একটি জয় ও একটি পরাজয়ে দুই পয়েন্ট পেয়েছে।
বিপরীতে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান উভয়েই একটি করে ম্যাচ খেলেছে।
এছাড়া শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি হয়ে জয়লাভ করেছিল। যেখানে আফগানিস্তান তাদের একমাত্র ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে।
এই গ্রুপের মূল ম্যাচটি হলো- আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার আসন্ন লড়াই। এই লড়াইয়ে আফগানিস্তান জয়ী হলে বি গ্রুপের প্রতিটি দল সমান দুই পয়েন্ট নিয়ে দাঁড়াবে।
এই পরিস্থিতিতে দলগুলোর সুপার ফোর নির্ধারিত হবে নিজ নিজ নেট রানরেট দ্বারা।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কার রান রেট +০.৯৫১ এবং বাংলাদেশের +০.৩৭৩। যেখানে আফগানিস্তান -১.৭৮০ রান রেট নিয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
এতে বোঝায যায়, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র জয় পেলেই আফগানিস্তানের সুপার ফোরে নিশ্চিত হবে না। এজন্য তাদের রানের বড় ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে।
তখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে ওঠে, সুপার ফোরে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবধানে আফগানিস্তানকে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যার মধ্যে রয়েছে- তাদের রানের সংখ্যা এবং তারা কত ওভার খেলতে পেরেছে।
তবে, গ্রুপের ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বিজয়ী হলে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ উভয়েই সুপার ফোরে তাদের জায়গা নিশ্চিত করবে। আর এবারের এশিয়া কাপ ২০২৩-এ আফগানিস্তানের যাত্রা শেষ হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: মেহেদি-শান্তর সেঞ্চুরি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড রান
এশিয়া কাপ: আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জামানত হিসেবে এক হাজার ৬শ’ ডলার দিতে হয়। মালয়েশিয়ার জন্য এ পরিমাণ ৫’শ ডলার। এই বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত ব্রুনেইয়ের অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সরকারের বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালার কারণে বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে আদর্শ গন্তব্য। এদেশে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি চীন-ভারতের ২৭০ কোটি মানুষের বাজারও ধরা যাবে। কেননা দুটি দেশেই বেশিরভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম ব্রুনেইকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মানবসম্পদ নেয়ার আহ্বান জানন।
এছাড়াও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর জন্য আলাদা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তুাব দিয়ে ব্রুনেইকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে ব্রুনেইয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দাতো সেরি সেটিয়া ড. আওয়াং হাজী মোহাম্মদ আমিন লিউ আবদুল্লাহ তার দেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহারের জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ব্রুনেইয়ের বন্দর ব্যবহার করলে চীনের সঙ্গে দূরত্ব অনেক কমবে। এতে খরচ ও সময় সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশী কর্মীদের প্রশংসা করে ব্রুনেইয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি পাদুকা আওয়াং হাজি আহমাদদিন বিন হাজী আবদুল রহমান বলেন, ব্রুনেইয়ের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এসব কর্মীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
এছাড়াও বৈঠকে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফিকি’র সভাপতি নাসের এজাজ। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো.আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর ও মো.হাবীব উল্ল্যাহ ডন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের ব্রুনেইয়ের হালাল খাদ্যপণ্য বিপণনে দেশটির ঘানিম ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশের জেডইএস ট্রেডিংয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ঘানিম ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে সিইও নূর রহমান ও জেডইএস ট্রেডিংয়ের পক্ষে এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডিমের ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য নিশ্চিত করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ডিমের ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য নিশ্চিত করা হবে। এতে উৎপাদনকারী উপকৃত হবে, বিপণনে জড়িতরা উপকৃত হবে এবং ভোক্তারা উপকৃত হবে। আর অসঙ্গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরে রাষ্ট্র উপকৃত হবে।
শুক্রবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’- ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গণমাধ্যম বড় সহায়ক শক্তি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স (ওয়াপসা) বাংলাদেশ শাখা ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
তিনি বলেন, পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাজার ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইং এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডিমের মূল্য বৃদ্ধিজনিত সমস্যার সমাধান করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, একটা সময় সবাই নিয়মিত ডিম খেতে পারতো না। পোল্ট্রি উৎপাদন খাতে সম্পৃক্তরা এগিয়ে আসায় ডিম ও মাংস উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এটা আমাদের জাতিগতভাবে সহায়তা করেছে, অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে, প্রাণিজ পুষ্টি ও আমিষের চাহিদায় বড় যোগান দিচ্ছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে, খাবারের বড় যোগান দিচ্ছে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ডিম উৎপাদনে ব্যয় বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে যারা পোল্ট্রি ও ডিম উৎপাদনে সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। এ খাতে যারা বিনিয়োগ করেছে তাদের ক্ষয়ক্ষতি ভুলে গেলে চলবে না। পোল্ট্রি ও ডিম উৎপাদনে যারা প্রান্তিক পর্যায়ে সম্পৃক্ত তাদের করোনাসহ অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নগদ প্রণোদনা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি, বিচক্ষণতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দেশপ্রেমের কারণে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা আমাদের বিপন্ন অবস্থায় ফেলতে পারেনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে, অসাধু কারবারি আছে, তারা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি করে। বাজার ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের সঙ্গে পোল্ট্রি বা ডিম উৎপাদনে সম্পৃক্তদের একাকার করে অভিযুক্ত করলে বিষয়টি নির্দয় আচরণ হয়ে যায়। উৎপাদন ও বিপণন দুটি আলাদা অংশ। করোনা ও রমজানের সময় ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় কম দামে গরুর মাংস, ডিমসহ অন্যান্য পণ্য আমরা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। ভর্তুকি না দিয়েও কম দামে অনেক পণ্য সর্বত্র দেয়া হয়েছে। বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নজরদারিতে নিলে আরও ভারসাম্যপূর্ণ মূল্য ডিমের ক্ষেত্রে আসবে।
ডিমের দাম সবার জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে উদ্যোগ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সময় মন্ত্রী জানান, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আপেক্ষিক। দেশে একেক শ্রেণির মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেক পর্যায়ের। জীবনযাত্রাও ভিন্ন ভিন্ন। রাষ্ট্র পোল্ট্রি খাতে সম্পৃক্তদের সহায়তার চেষ্টা করছে। দেশে কেউ প্রাণী ও মাছের খাবার তৈরির কারখানা বা শিল্প স্থাপন করতে চাইলে সরকার আমদানির কর মওকুফ করে দিচ্ছে। বৈশ্বিক সংকটের সমাধানে সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সরকারের সুযোগ করে দেয়ার ক্ষেত্রে কোন ঘাটতি থাকলে সেটা বিবেচনা করা হবে। সরকারের সাধ্যের মধ্যে পোল্ট্রি ও ডিম উৎপাদনে সম্পৃক্তদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আবার স্বাধীনতাবিরোধী রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চলছে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ডিমের মূল্য বৃদ্ধিতে কোথাও সিন্ডিকেট থাকলে বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের সঙ্গে কথা বলে সেটা দূর করা হবে। মনোপলি ব্যবসার মাধ্যমে ডিমের দাম নির্ধারণ করে জনগণকে জিম্মি করার কোন ব্যবসায়িক প্রচেষ্টা যদি থাকে নিশ্চয়ই সরকার সেটা মেনে নেবে না। পাশাপাশি এটা মনে রাখতে হবে, উৎপাদনে যে প্রকৃত ব্যয় হচ্ছে, যারা প্রচুর বিনিয়োগ করছেন তাদের ব্যয়ের চেয়ে কম মূল্যে ডিম বিক্রি করতে বলা যায় না। অনুরূপভাবে অতি মুনাফালোভীরা ইচ্ছেমতো মুনাফা করবে, আর মানুষকে জিম্মি করে রাখবে এটা করতে দেয়া হবে না।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ।
অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিপিআইসিসি ও ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে ‘ডিম: প্রকৃতির এক বিস্ময়কর সৃষ্টি’- শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বজলুর রহমান মোল্লা।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডা. রেয়াজুল হক ও বারডেম হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির জন্য সুপার ফুড ডিম। ডিম হচ্ছে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যের উৎকৃষ্ট একটি প্রাণিজ আমিষ। বিগত বছরগুলোর তুলনায় দেশে ডিমের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। আমরা চাই দেশের মানুষ যেন কম দামে ডিম খেতে পারে। ডিম দিয়ে তৈরি ভ্যালু অ্যাডেড পণ্য রপ্তানির কথাও ভাবতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতিকীভাবে ডিম খাওয়ান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
এ বছর বিশ্ব ডিম দিবসের শ্লোগান ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দুর্গা পূজায় দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ: আইজিপি
দেশে দুর্গাপূজা উদযাপনকালে দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন বিদায়ী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)ড. বেনজীর আহমেদ।
সোমবার নগরীর পুলিশ সদর দপ্তরে দুর্গাপূজা উদযাপন সংক্রান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক এক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, পূজার আগে ও পূজা উদযাপনের সময় এবং পূজার পরে পুলিশ তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে৷
আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার: আইজিপি
পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজা মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টর এবং আর্চওয়ে গেট, সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যবস্থা, পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান, মণ্ডপ ও বিসর্জনের স্থানে যথাযথ আলোকসজ্জা নিশ্চিত করতে জেনারেটর প্রস্তুত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে নামাজ ও আযানের সময় উচ্চ শব্দ ব্যবহার না করার কথাও বলেন তিনি।
পূজা উদযাপনের সময় যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি পরিষেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করা হয়েছে।
আইজিপি কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের এবং দাঙ্গা পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করার অনুরোধ জানান।
এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের অফুরান সম্ভাবনা আছে: আইজিপি
র্যাবের বর্তমান ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ নতুন আইজিপি