উপযুক্ত
আমরা রাজনীতিকে ভালো মানুষের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসতে চায় না। কারণ আমরা রাজনীতিকে তাদের জন্য উপযুক্ত করতে পারিনি, আকর্ষণীয় করতে পারিনি।
তিনি বলেন, নষ্ট রাজনীতিকরা নষ্ট রাজনীতিকে বাঁচিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে সরকার: সেতুমন্ত্রী
রবিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের জাতীয় পার্টির (জেপি) ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ছাত্র রাজনীতির সুনামের ধারা হারিয়ে গেছে বলে ওবায়দুল কাদের বলেন, খারাপ লোকদের হাতে রাজনীতি থাকলে দেশটি খারাপ হয়ে যাবে। চরিত্রবানদের রাজনীতিতে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া ভালো, সৎ ও মেধাবীদের রাজনীতিতে আনতে হবে, না হয় রাজনীতি চরিত্রহীন হয়ে যাবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। বিজয়কে সুসংহত করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে।
এছাড়া তিনি গণতন্ত্রকে বাঁচাতে শক্তিশালী বিরোধীদলের প্রয়োজনীয়তাকে জোর দেন তার বক্তব্যে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ১৯৭৫ এর হত্যাকাণ্ড বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। চার নেতার হত্যার মাধ্যমে রাজনৈতিক দেয়াল তৈরি হওয়া শুরু হলো, রাজনীতিতে সে দুরত্ব ঘোচাতে সেতু নির্মাণ করতে ব্যর্থ।
তিনি সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তার বক্তব্যে।
জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সম্মেলন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মধ্যে মেনে নেয়ার মতো দাবি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী
সিন্ধুর মধ্যে বিন্দুর পদত্যাগে কিছু আসে-যায় না: সেতুমন্ত্রী
১ বছর আগে
‘উপযুক্ত’ সময়ে নির্বাচনকালীন সরকারের ফর্মুলা উন্মোচন করবে বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাদের 'উপযুক্ত' সময়ে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারে একটি 'ফর্মুলা' উন্মোচন করবে যা সংবিধানে যুক্ত করা বর্তমান সরকারের দায়িত্ব। সময় এলে আমরা অবশ্যই সেই (নির্দলীয় সরকারের) ফর্মুলা উপস্থাপন করব।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে তারপর ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরা বান্ধব: মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংশোধনের কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ তাদের (সরকার) নিতে হবে। কারণ তারা সংকট তৈরি করেছে এবং সমস্যা থেকে উত্তরণের দায়িত্বও তাদের। যেহেতু এটা জনগণের দাবি, তাই তাদের দাবি মেনে নিতে হবে।
তিনি স্মরণ করে বলেন, বিএনপি ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করেছিল। তারা (বর্তমান সরকার) একইভাবে করতে পারে।
১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তত্ত্বাবধানে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা চালায় এবং ১৯৯৬ সালে তীব্র আন্দোলনের মুখে বিএনপিকে তা মেনে নিতে বাধ্য করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৩তম সংশোধনীকে বেআইনি বলে বাতিল করে দেয়ায় ২০১১ সালে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়।
এছাড়া গত দুটি সাধারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরুল বলেন, তারা আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করবেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য হাস্যকর: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, খুব শিগগিরই তারা 'একযোগে' আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরবেন।
বিএনপির বিরুদ্ধে ২৫ হাজার নতুন মামলা
ফখরুল বলেন, গত ৩১ জুলাই থেকে জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের দলের পাঁচ নেতা- ভোলার নূর-ই-আলম ও আবদুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আবদুল আলীম-আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত হন।
তিনি জানান, এর মধ্যে পুলিশের গুলিতে চারজন এবং ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডারদের’ হাতে আরও একজন নিহত হয়েছে।
এছাড়া ওই সময়ে বিএনপির দুই হাজার ৭৬৮ নেতাকর্মী আহত ও ২৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, সরকার তাদের দলের প্রায় ২৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৭৫টি ‘মিথ্যা মামলা করেছে।
আমরা এই ধরনের মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানাই।
এছাড়া এই অনির্বাচিত সরকার জনগণের ন্যায্য দাবিতে চলমান আন্দোলনকে দমন করতে হত্যা, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: অচিরেই দেশব্যাপী সরকার পতন আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে: মির্জা ফখরুল
২ বছর আগে