সাদিয়া ফয়জুননেসা
চিলির প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা ৪ নভেম্বর সান্টিয়াগোতে অবস্থিত প্যালেসিও ডি লা মোনেদা’তে চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিচ ফন্ট-এর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট বরিচ রাষ্ট্রদূত হিসেবে সাদিয়া ফয়জুননেসার পরিচয়পত্র সাদরে গ্রহণ করেন এবং চিলিতে বাংলাদেশের অনাবাসিক সমবর্তী রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের প্রেক্ষিতে উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
পরিচয়পত্র পেশের পর অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের সুদীর্ঘ ইতিহাস, গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব ও অবদান সম্পর্কে প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। ল্যাটিন আমেরিকার কিংবদন্তী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো যে বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়সম তুলনা করেছিলেন তা জেনে বরিচ আবেগাপ্লুত হন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবগত হয়ে তিনি অত্যন্ত শোকাহত ও ব্যাথিত হন।
বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে অর্জিত বিভিন্ন মাইলফলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব সম্পর্কে জেনে গ্যাব্রিয়েল বরিচ অভিভূত হন।
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ও চিলিতে প্রায় একই সময়ে রাজনৈতিক সংগ্রাম চলছিল। সে কথা স্মরণ করে বরিচ বাংলাদেশ ও চিলি দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন। স্বল্পসময়ে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যে বরিচ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশকে পথিকৃৎ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও আর্থসামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে আরও জানার গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ সফরের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করতে ভবিষ্যতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বৈঠকে চিলির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টোনিয়া উরেজোলা নগুয়েরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপতি কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদের পরিচয়পত্র পেশ
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দিলেন শাহাবুদ্দিন আহমদ
২ বছর আগে
বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসার পরিচয়পত্র পেশ
ব্রাজিলে নিযুক্ত দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা লাপাজে অবস্থিত গ্র্যান্ড পিপলস হলে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আলবার্তো আর্সে কাতাকোরার নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা ব্রাসিলিয়াস্থ দূতাবাসে নিযুক্ত থেকে অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে বলিভিয়ার সমবর্তী দায়িত্ব পালন করবেন।
ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর পরিচয়পত্র পেশের পর প্রেসিডেন্ট আলবার্তোর সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের এক সংক্ষিপ্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, গণহত্যা, গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান প্রেসিডেন্ট আলবার্তোকে অবহিত করেন।
ল্যাটিন আমেরিকার কিংবদন্তি নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বন্ধুত্ব ও ফিদেল কাস্ত্রো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর হিমালয়সম তুলনা জেনে প্রেসিডেন্ট আলবার্তো আবেগতাড়িত হন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডেরর বিষয়ে অবগত হয়ে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত হন।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে রোহিঙ্গা বিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য রোধে ব্যর্থ হয়েছে মেটা, অ্যামনেস্টির নিন্দা
রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত এ সময় জাতিসংঘের বিভিন্ন উন্নয়ন ফোরামে বাংলাদেশ ও বলিভিয়ার সহযোগিতা তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানান।
আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সাফল্যে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিভূত হন।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও বলিভিয়া উন্নয়ন-সহযোগী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন এবং অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সফরের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ অংশীদার বলিভিয়ার সঙ্গে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট এবং রাষ্ট্রদূত উভয়ই সম্মত হন। বিশেষ করে ওষুধ রপ্তানি, গার্মেন্টস ও নীটওয়্যার, প্লাস্টিক ও চামড়াজাত পণ্যে সম্ভবনাময় বলিভিয়ার বাজার সম্প্রসারণে রাষ্ট্রদূত কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং বাংলাদেশের লোকশিল্পের নিদর্শন হিসেবে নকশী কাঁথা উপহার হিসেবে প্রদান করেন।
এ সময় বলিভিয়ার ভাইস-মিনিস্টার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স এরউইন ফ্রেডি মামানি মাচাকা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বক্তৃতা দিলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে: রাষ্ট্রদূত
২ বছর আগে