নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
যশোরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
যশোরের শার্শা উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের সাত নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরালী এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান (৬০), ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন আলম (৪০), শার্শা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও ইউপি সদস্য আবদুল খালেক (৫৪), বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মুকুল হোসেন (৪৪), শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী আক্তারুজ্জামান (৫৪), শার্শা সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি হায়দার আলী (৩৭) ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাহেব আলী (৫৫)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ডাকাতির সরঞ্জামসহ গ্রেপ্তার ৬
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা, শার্শা ও বেনাপোল থানায় নাশকতার একাধিক মামলা আছে। সোমবার দুপুরে সাত নেতাকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
২১৪ দিন আগে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন—ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমদ নির্ঝর (২৮), মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক কামরুল আহসান নিশাদ (২৮), শাহবাগ থানার ২০ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ওরফে কালু (২৫), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল হোসেন ওরফে জীবন (৩০), মোহাম্মদপুর থানার ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওহিদ এম আর রহমান (৫০), আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শামীম শাহরিয়ার (৫৮), ডেমরা থানার পাইটি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন (৬৪), ৩৩ নং বংশাল ইউনিট যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মাছুম (৫৮), ঢাকা মহানগর উত্তর ২৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হাসান রতন (৩৪) ও উত্তর বাড্ডা এলাকার ছাত্রলীগ কর্মী রবিন দেওয়ান (২৯)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টায় উত্তর বাড্ডা এলাকা থেকে রবিন দেওয়ানকে ও দুপুর ১টায় মিরপুর-১০ এলাকা থেকে সাব্বির আহমদ নির্ঝরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া দুপুর ১২টায় ফুলবাড়িয়ার আনন্দ বাজার থেকে ইব্রাহিম খলিল ওরফে কালুকে এবং সন্ধ্যা ৬টায় উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকা থেকে কামরুল আহসান নিশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে শাকিল হোসেন ওরফে জীবনকে এবং রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ওহিদ এম আর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বংশাল এলাকা থেকে মোহাম্মদ হোসেন মাছুমকে এবং রাত ১টায় মগবাজার এলাকা থেকে হাবিবুল হাসান রতনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, শনিবার রাত পৌনে ১২টায় মগবাজার এলাকা থেকে শামীম শাহরিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে ১১টা ৫০ মিনিটে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ইলিয়াস কাঞ্চনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে দাবি করেছে। তারা নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
২৩০ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় নাশকতার মামলায় বিএনপি-যুবদলের ২১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গা সদরে নাশকতার মামলায় বিএনপি ও যুবদলের ২১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার আলমডাঙ্গার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরআগে আদালত চত্বরে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ ১৩০০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১৩
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল ও আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বরের বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় নাশকতার প্রস্ততির সময় উপস্থিত থাকায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত আলমডাঙ্গার বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। ১৭ বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা আমলী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তারা আরও জানান, এছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারির মাসের নাশকতা প্রস্তুতিসহ বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
৯৩০ দিন আগে
ফরিদপুর চাঁদাবাজির অভিযোগে ৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের সালথায় কক্সবাজার যাওয়ার কথা বলে ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল খান (২৫), উপজেলা ছাত্রলীগের আরেক সহ-সভাপতি আবু মুসা প্রিন্স (২২) ও জসীম মোল্যা (২০) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী।
গ্রেপ্তার সবার বাড়িই উপজেলা সদরের মাঠ সালথা নামক এলাকায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় জোড়া খুন: গ্রেপ্তার ৪
এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সালথা উপজেলা সদরের মাঠ সালথা কলেজ রোড এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজ করছেন ‘তাসা কনস্ট্রাকশন’- নামে ফরিদপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ওই কাজের মালামালের ট্রলি ঠেকিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ৮-১০ জন যুবক। দাবি করা চাঁদা না দেয়ায় তারা ট্রলির ড্রাইভারকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয় তাসা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন,ওই এলাকার কয়েকজন যুবক কক্সবাজারে যাবার খরচ চেয়ে রাস্তার মালামালের ট্রলি গাড়ি আটকিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এর আগে তাদের পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে দাবি এ ঠিকাদারের।
পরে চাঁদা দাবির বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে থানাতে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু মুসার ভাই ইলিয়াস মোল্যা বলেন,‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার ভাইসহ স্থানীয় কয়েকজন ছেলেপেলে প্রতিবাদ করেন। তাদের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি ভিত্তিহীন।’
সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় বলেন,‘ছাত্রলীগ ভালো কাজ করলে সুনাম হয়। আবার খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত হলে দুর্নাম পুরো সংগঠনের ওপর পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি বিষয়টি শুনেছি। সেখানকার একটি পক্ষ বলছে রাস্তার নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে কাজের বাঁধা দেয়া হয়েছে। আবার আরেকটি পক্ষ বলছে ট্রলি থামিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজীর অভিযোগে থানাতে একটি এজাহার দায়েরের পর তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কি-না তা আমার জানা নেই।
দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের ফরিদপুরের কোর্টে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
সিলেটে বিজিবির ধাওয়া খেয়ে পিকআপ ভ্যান উল্টে আহত ৫, গ্রেপ্তার ২
১১৬২ দিন আগে