জেরে
বোয়ালমারীতে পরকীয়ার জেরে মেয়ের সামনে মাকে কুপিয়ে হত্যা!
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর এলাকায় পরকীয়ার জেরে স্বামীর হাতে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুপুর আক্তার (২৫) নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নুর নবী খানের মেয়ে ও তার স্বামী মুসা মোল্যা (৩৫) ব্রিটিশ ট্যোবাকো সিগারেট কোম্পানিতে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন।
মুসা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেরগাতি এলাকার কাওসার মোল্যার ছেলে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার ক্যাম্পে আরও এক রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে হত্যা
জানা গেছে, অল্প বয়সে বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই নুপুর তার মায়ের সঙ্গে মধ্যেরগাতির নানার বাড়িতে থাকতেন। মা পারভীন আক্তার মহিলা আওয়ামী লীগের পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি। ফারিয়া নামে নুপুর-মুসা দম্পতির ১৩ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ফারিয়া বোয়ালমারী জর্জ একাডেমির সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বছর দুই বছর ধরে নুপুর একই এলাকার রেজাউল মোল্যার ছেলে নাঈম মোল্যা ওরফে লাদেনের (২২) সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। নাঈম বোয়ালমারী পৌরসভার একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কর্মরত। গত এক বছরে নুপুর আক্তার তিনবার নাঈমের সঙ্গে চলে যান এবং ফিরে আসেন। নাঈমের সঙ্গে তার বিয়েও হয় বলে এলাকাবাসী জানান।
গত ৭ অক্টোবর এ নিয়ে স্থানীয় সালিশের সিদ্ধান্তানুযায়ী তিন মাস নুপুর আক্তার নিজ বাড়িতে থাকার কথা। এসময় মুসা কিংবা নাঈম কারো সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতে পারবেন না। তিন মাস পর নুপুর তার সিদ্ধান্ত জানাবেন যে তিনি কার সঙ্গে সংসার করবেন। সে মোতাবেক স্থানীয় মাতব্বররা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন।
কিন্ত নাঈম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নানার বাড়ি মায়ের সাথে দেখা করতে এসেছে- মেয়ে ফারিয়ার এমন ফোন পেয়ে মুসা নুপুরের নানা বাড়ি যান। এ সময় নাঈম পালিয়ে গেলেও উত্তেজিত মুসা হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দিয়ে নুপুরকে মেয়ের সামনেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। পরে নুপুরকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকায় নেয়ার পথে ভোর ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর মৃত্যু হয় নুপুরের।
ঘটনার পর থেকে মুসা ও নাঈম উভয়েই পলাতক রয়েছেন।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। এখনো কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
২ বছর আগে
পাবনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিবেশিকে কুপিয়ে হত্যা!
পাবনা সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শরিফুল ইসলাম(৩৪) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের ভাঁড়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শরিফুল একই গ্রামের সামাদ সরদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির পাশের একটি বাঁশঝাড় নিয়ে আগে থেকেই প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল নিহত শরিফুলের। সকালে শরিফুল সেই বাঁশঝাড়ে বাঁশ কাটতে গেলে প্রতিবেশি চাচা মজনু সরদারের দুই ছেলে স্বপন ও শাহীন তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, তাদের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধ পূর্ব থেকেই চলে আসছিল। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদেও তারা এসেছিল। কিন্তু আদালতে মামলা চলমান থাকায় আমাদের পক্ষ থেকে মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকালে বাঁশঝাড়ে গেলে তাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ধারালো কুড়াল দিয়ে হত্যা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, হত্যার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাবেক মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
আলমডাঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
২ বছর আগে