তোয়াব খান
সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার এক শোক বার্তায় তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেন।
শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দৈনিক বাংলা’-এর সম্পাদক তোয়াব খান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বেতার কেন্দ্রের একজন শব্দ নায়কের ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি এতে আরও উল্লেখ করেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গণমাধ্যমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
তোয়াব খান দৈনিক বাংলার সম্পাদক, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক এবং দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজীবনের এই যোদ্ধা ও প্রতিভাবান সাংবাদিক তার নিজের কাজের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর ইউনাইটেড হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় মারা যান ৮৭ বছর বয়সী তোয়াব খান।
খান ১৯৫৩ সালে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন এবং ১৯৫৫ সালে দৈনিক সংবাদে যোগ দেন।
২ বছর আগে
বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শনিবার এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের পথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে দেশের গণমাধ্যমে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কখনও পূরণ হবে না।
রাষ্ট্রপতি মরহুম তোয়াব খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আর নেই
করতোয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত এবং মিঠামইনের আ.লীগ নেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান মারা গেছেন
দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান মারা গেছেন। তার বয়স ৮৭ বছর।
শনিবার দুপুর ১২টা৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সাংবাদিক তোয়াব বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্র মারা গেছেন
২০১৬ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত তোয়াব খান ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তানে যোগ দেন। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠানটি নিয়মিত প্রচারিত হয়। দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর তিনি নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন।
২ বছর আগে